জনবান্ধব ভূমি সেবা প্রতিষ্ঠায় মন্ত্রণালয় অঙ্গীকারাবব্ধ : সিনিয়র সচিব

বাসস
প্রকাশ: ২২ মে ২০২৫, ১৮:২১ আপডেট: : ২২ মে ২০২৫, ১৯:৩৩
এ এস এম সালেহ আহমেদ। ছবি : বাসস

ঢাকা, ২২ মে, ২০২৫ (বাসস) : ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ বলেছেন, হয়রানি মুক্ত ও জনবান্ধব ভূমি সেবা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে ভূমি মন্ত্রণালয় অঙ্গীকারাবব্ধ। তিনি বলেন, সে লক্ষ্য অর্জনে ভূমি মন্ত্রণালয় প্রযুক্তিগতভাবে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

আজ বৃহস্পতিবার ভূমি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ভূমি মেলা, ২০২৫ উপলক্ষ্যে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

এবারের ভূমি মেলার প্রতিপাদ্য ‘নিয়মিত ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করি, নিজের জমি সুরক্ষিত রাখি’। মেলা রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ভূমি ভবন প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে। মেলায় মোট ১৯ টি স্টল হতে নাগরিকগণদের ভূমি সংক্রান্ত সকল সেবা প্রদান করা হবে। এবারের ভূমি মেলার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে জনগণকে ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধে উদ্বুদ্ধ করা এবং সচেতন করা।

সংবাদ সম্মেলনে সিনিয়র সচিব বলেন, যেকোনো নাগরিক পৃথিবীর যেকোনো প্রান্ত থেকে যে কোনো সময় সপ্তাহের সাতদিনে দিবারাত্রি চব্বিশ ঘণ্টা কল সেন্টার ও নাগরিক ভূমি সেবা কেন্দ্রের মাধ্যমে সেবা গ্রহণ করতে পারছেন। নামজারি, ভূমি উন্নয়ন কর, পরচা ও নকশা সংগ্রহ ব্যবস্থাপনা শতভাগ অনলাইন ভিত্তিক ও ক্যাশলেস করা হয়েছে।

তিনি বলেন, দেশব্যাপী ভূমি উন্নয়ন কর শতভাগ অনলাইনে আদায়ের ফলে রাজস্ব আয় বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে অনলাইনে প্রতি মাসে প্রায় ৫ লাখ নামজারি মামলা নিষ্পত্তি করা হচ্ছে। সারা দেশের মোট ৫১৬টি উপজেলা ও সার্কেল ভূমি অফিস এবং ৩৪৬৭টি ইউনিয়ন ভূমি অফিসে ই-নামজারি চালু হয়েছে। এই সিস্টেম থেকে ২০২৪ সালের জুলাই থেকে গত ১৫ মে পর্যন্ত প্রায় ২৯০ কোটি ২২ লাখ ৩০ হাজার টাকা, ভূমি উন্নয়ন কর থেকে প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা এবং অনলাইন খতিয়ান থেকে প্রতিমাসে গড়ে ৩ লাখ ২১ হাজার টাকা সরকারি কোষাগারে জমা হচ্ছে। বর্তমানে ৬ কোটি ৫০ লাখের অধিক খতিয়ান অনলাইনে রয়েছে। এ পর্যন্ত প্রায় ৫ কোটি ৭০ লাখ হোল্ডিং ডাটা ম্যানুয়াল্ থেকে ডিজিটালে রূপান্তরিত হয়েছে। নাগরিককে অনলাইনে দাখিলা প্রদান করা হয়েছে প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ। প্রতিদিন সার্ভারসহ অন্যান্য ব্যবস্থা সচল থাকলে দিনে ১০ থেকে ১২ কোটি টাকা ভূমি উন্নয়ন কর আদায় করা সম্ভব।

সালেহ আহমেদ আরও জানান, প্রতিদিন ই-পর্চা থেকে সরকারের কোষাগারে প্রায় ১৪ থেকে ১৮ লাখ টাকা জমা হয়। গত বছরের জুলাই থেকে মে পর্যন্ত ই-পর্চা থেকে সরকারের কোষাগারে জমা পড়েছে ৪৫ কোটি টাকা। ডাক বিভাগের মাধ্যমে এ পর্যন্ত প্রায় ১২ লাখ খতিয়ান এবং ১১ হাজারের অধিক মৌজা ম্যাপ জনগণের ঠিকানায় পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। ইউনিয়ন ভূমি অফিসগুলোতে কর্মপরিবেশ উন্নতকরণ, রেকর্ডপত্র সংরক্ষণ সুবিধা বৃদ্ধিকরণের লক্ষ্যে সারা দেশে ১৩৩০ টি ইউনিয়ন ভূমি অফিস নির্মাণ করা হবে এবং ১৫০টি সমন্বিত উপজেলা ভূমি কমপ্লেক্স নির্মাণকল্পে ডিপিপি প্রণীত হয়েছে।

২০২৬ সাল নাগাদ ভূমি মন্ত্রণালয়ের লক্ষ্য উল্লেখ্য করে সিনিয়র সচিব বলেন, ভূমি জরিপ একটি জটিল কাজ। এই কাজটি কম সময়ে নির্ভুলভাবে করার জন্য ড্রোন ব্যবহার করে করা হবে। খুব প্রয়োজন ছাড়া ভূমি অফিসে যেতে হবে না। এনআইডি দিয়েই পাওয়া যাবে জমির সকল তথ্য। কৃষি ও বণভূমি রক্ষায় নীতিমালা প্রণয়নের কথাও জানান সিনিয়র সচিব।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান এ জে এম সালাউদ্দিন নাগরী, ভূমি আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান মুহম্মদ ইব্রাহিম, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সাইদুর রহমানসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
দেশীয় পশু দিয়েই বরিশালের কোরবানির পশুর চাহিদা মেটানো সম্ভব
রেলওয়েতে অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু
পল্টনে ঝটিকা মিছিল: ছাত্রলীগ নেতা রিপন-নাঈমসহ ১০ জন কারাগারে
কণ্ঠশিল্পী বাপ্পা মজুমদারের বাসায় অগ্নিকাণ্ড নিয়ে ভুয়া তথ্য প্রচার : বাংলাফ্যাক্ট
গত এক সপ্তাহে যৌথ বাহিনীর অভিযানে সারাদেশে আটক ২৫৮
পিরোজপুরে অপহরণ মামলায় তিন জনের কারাদণ্ড
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এখনি বিলুপ্ত হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই : অর্থ মন্ত্রণালয়
মিয়ানমারের সঙ্গে মানবিক করিডোর নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি : আজাদ মজুমদার
নির্বাচিত রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠা করাই এখন সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার : ড. খন্দকার মোশাররফ 
বিএসপিএ ও বাংলাদেশ-চায়না আপন মিডিয়া ক্লাবের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর
১০