তারেক রহমান সব মামলায় খালাস পাওয়ায় সন্তুষ্টি প্রকাশ ইউট্যাবের

বাসস
প্রকাশ: ২৯ মে ২০২৫, ১০:৩১

ঢাকা, ২৯ মে, ২০২৫ (বাসস): বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সব মামলায় খালাস পাওয়ায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে ইউনিভার্সিটি টিচার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব)।

তারেক রহমান সব মামলায় খালাস পাওয়ায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করে ইউট্যাব এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সকল মামলায় খালাস পাওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সংগঠন ইউট্যাব সন্তুষ্ট।’

সংগঠনের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম ও মহাসচিব অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান এক বিবৃতিতে বলেন, জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় তারেক রহমান ও তার স্ত্রী বিশিষ্ট কার্ডিওলোজিস্ট ডা. জুবাইদা রহমান গতকাল আদালতে খালাস পেয়েছেন। দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আপিল মঞ্জুর করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার এ রায় দেন।

ইউট্যাবের শীর্ষ দুই নেতা বলেন, জিয়া পরিবারকে হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর তারেক রহমানসহ অন্যদের বিরুদ্ধে রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা করেছিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। শুধু তাই নয় মামলা দায়েরের পরের বছর তাদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। এমনকি এই মামলায় ২০২৩ সালের ২ আগস্ট রায় দেন ঢাকা মহানগরের সিনিয়র বিশেষ জজ। রায়ে দুটি ধারায় তারেক রহমানকে ৯ বছরের কারাদণ্ড (৬ ও ৩ বছর, একসঙ্গে চলবে) এবং জুবাইদা রহমানকে ৩ বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের শীর্ষ সংগঠন ইউট্যাব নেতৃবৃন্দ বলেন, রায়ের আগে এই মামলায় স্বৈরাচার শেখ হাসিনার অবৈধ শাসনামলের আদালত দুই মাসের ভেতর মাত্র ২১ দিনে ৪২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেয়। এমনকি রাতের বেলা মোমবাতি জ্বালিয়ে বেআইনিভাবে সাক্ষ্য নেওয়া হয়। প্রকৃতপক্ষে দুদকের দায়েরকৃত মামলাটি ছিল মিথ্যা ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। যা তারেক রহমান ও তার স্ত্রীকে খালাস দেওয়ার মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে। মূলত ওই মামলায় সাজা স্থগিত করে গত বছরের ৪ নভেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল। 

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সাজা স্থগিত চেয়ে বিবাদির করা আবেদন এবং আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মতামতের আলোকে বিবাদির বিরুদ্ধে করা মামলায় দেওয়া দণ্ডাদেশ এক বছরের জন্য স্থগিত করা হলো। অতঃপর বিবাদী আপিল করার জন্য ৫৮৭ দিন বিলম্ব মার্জনা চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন, যা গত ১৩ মে মঞ্জুর করেন আদালত। বিলম্ব মার্জনার আবেদন মঞ্জুরের পর তিনি আপিল এবং জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি নিয়ে ১৪ মে হাইকোর্ট আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ এবং জামিন মঞ্জুর করেন। এই আপিলের ওপর শুনানি শেষে গতকাল বুধবার রায় দিলেন হাইকোর্ট। 

এমনকি আদালত বলেছেন যে তারেক রহমান ও অন্য বিবাদির ক্ষেত্রে এই মামলায় পলিটিক্যাল পারসিকিউশন (রাজনৈতিক নিপীড়ন) এবং ম্যালিশাস প্রসিকিউশন করা হয়েছে। এজন্য বিবাদী পক্ষকে তাদের মর্যাদা এবং সুনাম ফিরিয়ে দেওয়া হোক।

ইউট্যাবের শীর্ষ দুই নেতা বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সকল মামলা থেকে আদালত কর্তৃক খালাস পাওয়ায় শিক্ষক সমাজ অত্যন্ত আনন্দিত এবং মহান আল্লাহর কাছে সন্তুষ্টি প্রকাশ করছে। অতি শিগগিরই দেশে ফিরে এসে জনগণের সেবায় নিজেকে আবারও সম্পৃক্ত করবেন তারেক রহমান এমন প্রত্যাশা করেন ইউট্যাব নেতারা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে আটক শহিদুল আলমের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ প্রেস সচিবের
বাংলাদেশ সফরে আয়ারল্যান্ড টেস্ট দলে পাঁচ নতুন মুখ
দিনাজপুরে জাতীয় কন্যাশিশু দিবসে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
স্ত্রী ও ছেলেসহ সাবেক মন্ত্রী রুহুল হকের ৫৬টি ব্যাংক হিসাব জব্দ
মাদ্রিদে ভবন ধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪
কিশোরগঞ্জে পুকুর থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার
জুলাই সনদ যথাযথ বাস্তবায়ন না হলে সংকট দূর হবে না : সারজিস আলম
ফ্লোটিলা আটকের ঘটনাকে ‘জলদস্যুতা’ বলে নিন্দা তুরস্কের
সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রের নির্মাণশৈলী উন্নত করতে হবে : তথ্য উপদেষ্টা
বাণিজ্য চুক্তির পর ভারতে বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী স্টারমার
১০