কর্নেল আকবর হোসেনের মৃত্যুবার্ষিকী আগামীকাল 

বাসস
প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৫, ২৩:৪৫
সাবেক মন্ত্রী কর্নেল (অব.) আকবর হোসেন বীর প্রতীক। ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা, ২৪ জুন, ২০২৫ (বাসস): সাবেক মন্ত্রী কর্নেল (অব.) আকবর হোসেন বীর প্রতীকের ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকী আগামীকাল বুধবার।  

নৌ-পরিবহণ মন্ত্রীর দায়িত্ব পালনকালে ২০০৬ সালে ২৫ জুন তিনি আকস্মিক মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে পরিবারের পক্ষ থেকে ঢাকা উত্তরার ৫ নম্বর সেক্টর, রোড ৪/এ,  বাড়ি  নম্বর ২৪-এ কোরআনখানি ও দোয়া, কুমিল্লা সংরাইশ সালেহা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে স্মরণ সভা ও দুস্থদের জন্য খাবার  আয়োজন করা হয়েছে। 

এছাড়া কুমিল্লা জেলা বিএনপির উদ্যোগে কান্দিরপার জামে মসজিদে দোয়া, লাকসাম মনোহরগঞ্জের চিতষীতে কর্নেল আকবর হোসেনের কবরে কুমিল্লা জেলা ও লাকসাম উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে পুষ্পস্তবক  অর্পণ ও স্মরণ অনুষ্ঠিত হবে। 

বীর প্রতীক আকবর হোসেন ১৯৪১ সালের ১৮ জানুয়ারি  জন্মগ্রহণ করেন এবং ২০০৬ সালের ২৫ জুন  মৃত্যুবরণ করেন। তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের একজন অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা রাজনীতিবিদ । তিনি নৌপরিবহণ, পরিবেশ ও বন এবং পেট্রোলিয়াম ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন । এছাড়াও ৫ বার  বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের নির্বাচিত সদস্য ছিলেন।

সেনাবাহিনী  থেকে অবসর গ্রহণের পর আকবর হোসেন রাজনীতিতে জড়িত হন এবং ১৯৭৪ সালের জানুয়ারিতে ইউনাইটেড পিপলস পার্টি (ইউপিপি) গঠনে সহায়তা করেন। তিনি  ইউপিপির সহ-সভাপতি হন। 

১৯৭৭ সালে ইউপিপি জাতীয়তাবাদী ফ্রন্টের সাথে একীভূত হয়, আকবর হোসেন পরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপিতে যোগ দেন এবং  বিএনপি প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তাকে প্রথমে বিশেষ সম্পাদক করা হয় এবং পরে যুগ্ম মহাসচিব পদে অধিষ্ঠিত হন।  মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বিএনপির সহ-সভাপতি এবং  কুমিল্লা জেলা বিএনপির  আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করেন। 

বলিষ্ঠ কণ্ঠের অধিকারী বাগ্মী হিসেবে  আকবর হোসেন দেশ ও জাতির স্বার্থে পার্লামেন্টে ঐতিহাসিক  বক্তব্য রাখেন এবং জাতীয় দৈনিক  পত্রিকায় প্রবন্ধ,  নিবন্ধ ও  রাজনৈতিক ভাষ্য ও সাক্ষাৎকার প্রদান করেন। তিনি জহির রায়হানকে নিয়ে নির্মাণ করেছিলেন ‘অবুঝ মন ‘ও ‘সোনার কাজল’ চলচ্চিত্র। 

আকবর হোসেন ১৯৭৮ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সদস্য ছিলেন। এ সময় জাপানের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বাংলাদেশ জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়। তিন বিঘা করিডর, ফারাক্কা ও চাকমা সমস্যা সমাধানে গঠিত কমিটির সদস্য ছিলেন তিনি। 

তিনি ১৯৯৩ সালের অক্টোবরে বন ও পরিবেশ মন্ত্রী এবং ২০০১ সালের ১০ অক্টোবর নৌ-পরিবহণ মন্ত্রীর দায়িত্ব পান।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
স্বৈরাচার সরকার উন্নয়নের নামে দেশের পরিবেশ ধ্বংস করে দিয়েছে : ড. আব্দুল মঈন খান
জাপানে বাংলাদেশ দূতাবাসে এনআইডি সেবা চালু
বুটেক্সিয়ান সোসাইটির ‘নির্মমতার আঁতুড়ঘর: প্রসঙ্গ বুটেক্স ছাত্রলীগ’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন
রাজনৈতিক নেতাকর্মীরাই আসল সমাজকর্মী ও সংস্কারক: এমরান সালেহ প্রিন্স
লালবাগে ডিএমপির অভিযানে ১৬ জনের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড
আগামী জাতীয় নির্বাচন গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ হবে : ডিএমপি কমিশনার
জনগণ পিআর পদ্ধতির সাথে পরিচিত নয় : রিজভী
কমলছড়ি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রাবাস নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন পার্বত্য উপদেষ্টার
ইসরাইলকে গাজার নাগরিকদের ‘মৌলিক চাহিদা’ নিশ্চিত করতে হবে : রেডক্রস
এশিয়া কাপে বাংলাদেশ দলে নুরুল-সাইফ; নেই মিরাজ
১০