ঢাকা, ২ আগস্ট, ২০২৫ (বাসস) : বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, ‘গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া উত্তরণের পথকে দীর্ঘায়িত করলে দেশের মানুষ আবার জেগে উঠবে।’
আজ শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।
মঈন খান বলেন, গণতন্ত্রের উত্তরণের যে প্রচেষ্টা নিয়ে দীর্ঘ পনেরো-ষোলো বছর ধরে বাংলাদেশের সকল গণতন্ত্রকামী মানুষ এবং রাজনৈতিক দলগুলো যে আন্দোলন করেছে, সেই প্রত্যাশা কি পূরণ হয়েছে- এ প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ৯০ দিনের ব্যবধানে একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। আমাদের চোখের সামনে সেই উদাহরণও আছে।
তিনি বলেন, ‘আমার মাঝে মাঝে মনে হয় নতুন বন্দোবস্ত, আবার যেন চিরস্থায়ী বন্দোবস্তয় পরিণত না হয়ে যায়। আমরা পরিবর্তন চাই, তবে সব পরিবর্তন কিন্তু পরিবর্তন নয়। ১/১১ এর সময় ঢাকা শহরের প্রত্যেক জায়গায় একটা গোষ্ঠী ব্যানার ফেস্টুন করে ছিল সবকিছু বদলে দাও, পাল্টে দাও।’
বিএনপির এ সিনিয়র নেতা বলেন, সংস্কার প্রসঙ্গেই বলেছি, সংস্কার কিন্তু সংস্কারের জন্য নয়। কসমেটিক পরিবর্তন দিয়ে বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন সম্ভব হবে না। সংবিধানের কিছু বাক্যের যদি আমরা পরিবর্তন করি, সংবিধানের পরিবর্তন কেন আপনারা যদি পুরো সংবিধান পাল্টেও দেন তাহলে কোনো লাভ হবে না।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, অতীতে তিন মাসের মধ্যেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার নির্বাচন করেছে, এক বছর পরেও কোনো নাগরিক এখনও পর্যন্ত আস্থা রাখতে পারছেন না কোথায় কোন পরিবেশে অবাধ সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচন করতে পারবো কি না! কিন্তু পুরো জিনিসটা এভাবে ছড়িয়ে ফেলবেন বর্তমান সরকার সেটা বুঝতে পারিনি। বৈষম্য তো বিলোপ হয়নি, বৈষম্য ছড়িয়ে পড়েছে। দারিদ্র বৃদ্ধি পেয়েছে, না খাওয়া মানুষের সংখ্যা বেড়েছে। কর্মহীনতা বেড়েছে। বিনিয়োগের পরিস্থিতি একটা নেতিবাচক জায়গায় এসে পৌঁছেছে।
তিনি বলেন, দুর্ভাগ্যজনক ভাবে গণঅভ্যুত্থানকে এক বছর পরেও সরকার ধারণ করতে পারেনি। অনেকেই চেতনার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে কথা বলছেন। বাংলাদেশ একটা বিরাট নিরাপত্তা ঝুঁকির মধ্যে আছে। নির্বাচন যত বিলম্বিত হবে বাংলাদেশের ভিতরে এবং বাহিরে নিরাপত্তা ঝুঁকি তত বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের সভাপতিত্বে গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নূরুল হক নূর, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা বক্তব্য রাখেন।