
ঢাকা, ২৯ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস) : জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের চূড়ান্ত সুপারিশ বাস্তবায়ন, জুলাই জাতীয় সনদের আদেশ জারি ও আগামী নভেম্বর মাসেই গণভোট আয়োজনের দাবি জানিয়েছে জামায়াতসহ আন্দোলনরত ৮ রাজনৈতিক দল।
আজ বুধবার রাজধানীতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ ইউনুছ আহমদ। সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমেদ আবদুল কাদের, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সিনিয়র নায়েবে আমীর মাওলানা ইউসুফ আশরাফ, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির মহাসচিব মাওলানা মুসা বিন ইযহার, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের নায়েবে আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, জাগপার সহ-সভাপতি ও মুখপাত্র ইঞ্জিনিয়ার রাশেদ প্রধান এবং বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির মহাসচিব নিজামুল হক নাঈম উপস্থিত ছিলেন।
অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ১৬৬টি প্রস্তাবের মধ্যে ৮৪টি সিদ্ধান্ত আকারে গৃহীত হয়েছে। কমিশন প্রধান উপদেষ্টার নিকট জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশমালা জমা দিয়েছে। আমরা মনে করি, গণভোট ব্যতীত জুলাই জাতীয় সনদ আইনগত টেকসই ভিত্তি পাবে না। তাই নভেম্বর মাসের মধ্যেই গণভোট সম্পন্ন করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর গণহত্যার বিচার, রাষ্ট্র সংস্কার ও স্বৈরাচার ফিরে আসার সকল পথ রুদ্ধ করার প্রত্যয়ে কাজ করে যাচ্ছে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপও নির্ধারণ করা হয়েছে। আমরা অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও ভয়ভীতিমুক্ত নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিত করার আহ্বান জানাচ্ছি।’
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, নির্বাচনে কালো টাকার প্রভাব, কেন্দ্র দখল ও ভোট জালিয়াতি রোধ এবং প্রতিটি ভোটের যথাযথ মূল্যায়নের জন্য পিআর (Proportional Representation) পদ্ধতিতে নির্বাচন আয়োজন এখন সময়ের দাবি। দেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দল, শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক ও নাগরিক সমাজও এ দাবির প্রতি একমত হয়েছেন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন প্রস্তুতি নিচ্ছে, তবে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ পরিবর্তনের দাবিতে কিছু রাজনৈতিক দল যে প্রস্তাব দিয়েছে, তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’
সংবাদ সম্মেলনে ৫ দফা দাবির ভিত্তিতে ঘোষিত কর্মসূচি তুলে ধরা হয়। কর্মসূচিগুলো হলো- আগামীকাল ৩০ অক্টোবর নির্বাচন কমিশনের নিকট স্মারকলিপি প্রদান, ৩ নভেম্বর শীর্ষ নেতৃবৃন্দের বৈঠক এবং বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত নেতারা জনগণের দাবি আদায়ে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান।