
ঢাকা, ৯ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : বাংলাদেশে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত ইয়ং-সিক পার্ক আজ বলেছেন যে, ঢাকা ও সিউলের মধ্যে প্রস্তাবিত সার্বিক অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি (সিইপিএ) দুই দেশের ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক সহযোগিতার ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে।
‘চলমান সিইপিএ আলোচনা, যা আমাদের ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বের কাঠামো হিসেবে কাজ করবে, কোরিয়া-বাংলাদেশ সম্পর্ককে এগিয়ে নেওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হবে,’ তিনি বলেন।
রাষ্ট্রদূত পার্ক আজ রোববার দুপুরে ঢাকার একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত ‘ভূ-রাজনৈতিক গতিশীলতার মধ্যে পথপ্রদর্শন: কোরিয়া-বাংলাদেশ ভবিষ্যৎ অংশীদারিত্বের দিকে’ শীর্ষক ‘কোরিয়া-বাংলাদেশ নীতি বিষয়ক সেমিনার’-এ এই মন্তব্য করেন।
তিনি কোরিয়ার দীর্ঘমেয়াদি বাংলাদেশের উন্নয়ন সহায়তা ও দ্বিপক্ষীয় অংশীদারিত্বের পরবর্তী পর্যায়ের জন্য প্রস্তুতির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ‘কোরিয়ার উন্নয়ন অভিজ্ঞতা অনন্য। আমরা একসময় সাহায্যগ্রহিতা দেশ ছিলাম এবং পরবর্তী সময়ে দাতা দেশ হিসেবে রূপান্তরিত হয়েছি। ঠিক যেমনভাবে আমাদের আরএমজি খাতে সহযোগিতা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রেখেছে, তেমনি কোরিয়া ভবিষ্যতেও বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে সহযোগিতা সম্প্রসারণ করবে।’
সেমিনারে নীতি বিশেষজ্ঞ, একাডেমিক, উন্নয়ন সহযোগী এবং বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। সেখানে দুই দেশের মধ্যে কৌশলগত ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার উপায় নিয়ে আলোচনা হয়।
সাবেক রাষ্ট্রদূত ফারুক সোবহান সেমিনারের সঞ্চালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বাংলাদেশ থেকে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ছিলেন রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবীর, রাষ্ট্রদূত মুস্তাফিজুর রহমান, অধ্যাপক ড. পারভেজ করিম আব্বাসী এবং ড. সেলিম রাইহান। কোরিয়া থেকে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ছিলেন ড. সং কিউংজিন, ড. লি সুন-চুল এবং ড. সং চি-উং।
অংশগ্রহণকারীরা লক্ষ্য করেন যে, এই আলোচনা গত পাঁচ দশকে কোরিয়া-বাংলাদেশ সম্পর্কের ধারাবাহিক বৃদ্ধির প্রতিফলন। এছাড়া তারা ভবিষ্যতে উন্নত উৎপাদন, অবকাঠামো (সড়ক, বন্দর ও বিদ্যুৎ), ডিজিটাল রূপান্তর, এবং মানুষ-মানুষের বিনিময় খাতে সহযোগিতা সম্প্রসারণের প্রয়োজনীয়তাও তুলে ধরেন।