তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রস্তাবিত সংশোধনী দ্রুত পাসের দাবি

বাসস
প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩:১০
বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর মিরপুর ১০ এলাকায় ডরপ যুব ফোরাম এক মানববন্ধনের আয়োজন করে ।ছবি: বাসস

ঢাকা, ১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রস্তাবিত সংশোধনী দ্রুত পাসের দাবি জানিয়েছে ডরপ যুব ফোরাম। আগামী প্রজন্মকে তামাকের ভয়াবহ করাল গ্রাস থেকে রক্ষা করতে এই দাবি জানায় তারা।

বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর মিরপুর ১০ এলাকায় ডরপ যুব ফোরাম আয়োজিত এক মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়।

মানববন্ধনে তামাকবিরোধী যুব প্রতিনিধিরা বলেন, টোব্যাকো এটলাস ২০২৫’র তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে প্রতিবছর তামাকজনিত রোগে প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার মানুষ (প্রতিদিন গড়ে ৩৫৭ জন) মারা যায় এবং লাখ লাখ মানুষ অসুস্থ হয়। তামাকের কারণে অসংক্রামক রোগ, যেমন- হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, দীর্ঘমেয়াদি শ্বাসকষ্ট, ক্যানসার এবং কিডনি রোগ ক্রমেই বাড়ছে।

যুব প্রতিনিধিরা আরও বলেন, সম্প্রতি তামাক নিয়ন্ত্রণে সরকারের কিছু পদক্ষেপ নেওয়া সত্ত্বেও এখনো বাংলাদেশে তামাক ব্যবহারের হার দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি। প্রতিদিন মানুষ অসুস্থ হচ্ছে, মারা যাচ্ছে, যা অপূরণীয় ক্ষতি। এছাড়াও, তামাক ব্যবহারজনিত কারণে প্রতিবছর অর্থনৈতিক ক্ষতি হয় প্রায় ৩৯.২ হাজার কোটি টাকা। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রস্তাবিত সংশোধনীটি পাস হলে দেশে তামাকের ব্যবহার হ্রাস পাবে এবং এর মারাত্মক স্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক ক্ষতি কমানো সম্ভব হবে।

মানববন্ধনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আদিব বলেন, বাংলাদেশ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোব্যাকো কন্ট্রোল-এফসিটিসি’তে স্বাক্ষরকারী প্রথম দেশ। তামাকের মহামারি সম্পর্কিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ধূমপানমুক্ত পরিবেশ এবং তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন ও প্রণোদনা নিষিদ্ধ করার ক্ষেত্রে এখনো সর্বোত্তম মান অর্জন করতে পারেনি। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রণীত প্রস্তাবিত সংশোধনীটি পাস হলে বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের দুর্বলতাগুলো দূর হবে এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এফসিটিসি’র সুপারিশসমূহের কার্যকর বাস্তবায়ন এবং বৈশ্বিক সর্বোৎকৃষ্ট অনুশীলনের আলোকে বাংলাদেশের তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনটি বৈশ্বিক মানদণ্ডে উপনীত হবে।

মানববন্ধনে যুব প্রতিনিধিরা বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের ৬টি প্রস্তাবনা তুলে ধরেন। সেগুলো হলো-অধূমপায়ীদের সুরক্ষার জন্য সকল প্রকার পাবলিক প্লেস এবং পাবলিক পরিবহনে ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান বিলুপ্ত করা, তামাক পণ্যের প্রচার বন্ধ করার জন্য বিক্রয়কেন্দ্রে তামাকপণ্যের প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা, তামাক কোম্পানির সামাজিক দায়বদ্ধতা কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা, ই-সিগারেটের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে শিশু-কিশোর ও তরুণদের রক্ষা করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ, তামাকপণ্যের সকল প্রকার খুচরা ও খোলা বিক্রয় বন্ধ করা ও সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার আকার ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৯০ শতাংশ করা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
সংসদ নির্বাচনের একই দিনে পৃথক ব্যালটে গণভোট : ইসির প্রজ্ঞাপন
খালেদা জিয়ার সুস্থতায় দোয়া ও এতিম শিক্ষার্থীদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ 
স্থাপত্য মানুষের জীবন, আকাঙ্ক্ষা ও ভবিষ্যৎকে গড়ে তোলার সৃজনশীল কর্মযজ্ঞ : শিক্ষা উপদেষ্টা 
৩০০ আসনে রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ দিয়ে ইসির প্রজ্ঞাপন
পার্বত্য অঞ্চলের উন্নয়ন দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য : পার্বত্য উপদেষ্টা
স্কুলে হিজাব নিষিদ্ধের অনুমোদন দিল অস্ট্রিয়া পার্লামেন্ট
নির্বাচন উপলক্ষে আনসার-ভিডিপির জেলা ও উপজেলা কর্মকর্তাদের ব্যাপক রদবদল
গত দেড় বছরে হিন্দু ধর্মাবলম্বী অনেকে সরকারি চাকরি পেয়েছেন : বাংলাফ্যাক্ট
গভীর নলকূপের গর্ত থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার সাজিদকে হাসপাতালে মৃত ঘোষণা
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার দিনাজপুরে পর উৎসবমুখর পরিবেশ
১০