বাসস
  ০৩ আগস্ট ২০২৩, ১৪:৪৪

স্টপেজ টাইমের গোলে লিভারপুলকে ৪-৩ ব্যবধানে পরাজিত করেছে বায়ার্ন

সিঙ্গাপুর, ৩ আগস্ট ২০২৩ (বাসস/এএফপি) : জার্মানির  ২০ বছর বয়সী তরুণ  মিডফিল্ডার ফ্র্যান্স ক্রাটিজের স্টপেজ টাইমের দুর্দান্ত গোলে সিঙ্গাপুরে লিভারপুরকে প্রাক-মৌসুম প্রীতি ম্যাচে ৪-৩ ব্যবধানে  পরাজিত করেছে বায়ার্ন মিউনিখ। দুইবার পিছিয়ে পড়েও দারুনভাবে ফিরে এসে জার্মান চ্যাম্পিয়নরা নাটকীয় ম্যাচে জয় নিশ্চিত করে। 
সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে প্রায় ৫০ হাজার উচ্ছসিত সমর্থকদের সামনে দুই দলই কাল সমান তালে লড়াই করেছে। শেষ পর্যন্ত ম্যাচের নায়ক হিসেবে সকলের মনে দাগ কেটেছে তরুণ ক্রাটিজের পারফরমেন্স। 
ম্যাচ শুরুর ২ মিনিটের মধ্যে কোডি গাকপোর গোলে এগিয়ে গিয়েছিল ইংলিশ জায়ান্টরা। দলের নতুন অধিনায়ক ভার্জিল ফন ডাইকের হেডে ২৮ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুন হয়। কিন্তু বিরতির আগে সার্জি গ্যানাব্রি ও লেরয় সানে বায়ার্নকে সমতায় ফেরান। দ্বিতীয়ার্ধের মাঝামাঝিতে আবারো লিভারপুলকে লিড এনে দেন লুইস দিয়াজ। ৮০ মিনিটে জোসিপ স্টানিসিচের গোলে বায়ার্ন পুনরায় সমতায় ফিরে। এরপর ম্যাচের একেবারে শেষভাগে ক্রাটিজ বায়ার্নকে দারুন এক জয় উপহার দেন। 
বায়ার্নের যুব দলের লেফট-ব্যাক ক্রাটিজ প্রাক-মৌসুম এশিয়া সফরের পুরোটাই নিজেকে মেলে ধরেছেন। তার পারফরমেন্সে কোচ থমাস টাচেলও দারুন খুশী। আরো বেশী করে তাকে এ্যাটাকিং পজিশনে খেলানোর প্রত্যাশা করে টাচেল বলেছেন, ‘এখনই খুব বেশী উত্তেজিত হবার প্রয়োজন নেই। কিন্তু তারপরও বলতে হয় তার মধ্যে যথেষ্ঠ সম্ভাবনা আছে। প্রথমত ক্রাটিজ মানুষ হিসেবে চমৎকার। একইসাথে একজন ভাল ফুটবলার। দারুন চতুরতার সাথে সে মাঠে খেলে থাকে। তাকে যখন আমরা অফেন্সিভ পজিশনে পরিবর্তন করে নিয়ে আসলাম তখন সে দৃঢ়তার সাথে নিজের দায়িত্ব পালন করেছে। আমি জানতাম না ঐ পজিশনে সে কতটুকু ভাল করতে পারে। কারন সাধারণত সে দলে একজন বিশেষজ্ঞ ডিফেন্ডার হিসেবে খেলে থাকে। কিন্তু প্রাক-মৌসুম সফরের প্রথম দিন থেকেই অনুশীলনে সে ভাল করেছে। একইসাথে টোকিওতে ম্যানচেস্টার সিটি ও কাওয়াসাকি ফ্রনটেলের বিরুদ্ধেও ভাল খেলেছে। আজ তো দুর্দান্ত ম্যাচ ফিনিশার হিসেবে নিজেকে প্রমান করলো।’
গত রোববার একই ভেন্যুতে লিস্টার সিটিকে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছিল লিভারপুল। মাত্র ১১২ সেকেন্ডে প্রথম গোল করে তারা জার্মান চ্যাম্পিয়নদের বিরুদ্ধেও ভাল কিছু করার আগাম বার্তা দিয়েছিল। দিয়োগো জোতার সাথে বল আদান প্রদান করে গাকপো জোড়ালো শটে ইয়ান সোমারকে পরাস্ত করলে এগিয়ে যায় লিভারপুল। ১০ মিনিটে বায়ার্ন সমতায় ফেরার বড় সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু মাত্র পাঁচ গজ দুর থেকে বেঞ্জামিন পাভার্ডের হেড পোস্টে লেগে ফেরত আসে। ফিরতি বলের শটটিও ক্রসবারের উপর দিয়ে বাইরে চলে যায়। ২৮ মিনিটে ডানদিক থেকে এন্ডি রবার্টসনের কর্ণারে অনেকটাই ফাঁকায় দাঁড়ানো ফন ডাইকের হেডে ব্যবধান দ্বিগুন করে লিভারপুল। পাঁচ মিনিট পর কিম মিন-জায়ের এ্যাসিস্টে গ্যানাব্রি ডান পায়ের শটে গোলরক্ষক এ্যালিসনকে বোকা বানালে এক গোল পরিশোধ করে বায়ার্ন। বিরতির তিন মিনিট আগে বায়ার্নকে সমতায় ফেরানোর পিছনে গ্যানাব্রি গুরুত্বপূর্ন ভুমিতকা রাখেন।  বামদিন থেকে এই জার্মান উইঙ্গারের থ্রু বলে সানে জোড়ালো শটে বল জালে জড়ান। 
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই বদলী খেলোয়াড় ডারউইন নুনেজের হেড অল্পের জন্য পোস্টের বাইরে দিয়ে চলে গেলে এগিয়ে যাওয়া হয়নি লিভারপুলের। অন্যদিকে জামাল মুসিয়ালার শট দারুন দক্ষতায় রুখে দেন এ্যালিসন। ৬৬ মিনিটে মোহাম্মদ সালাহ অসাধারণ পাসে দিয়াজ আবারো লিভারপুলকে এগিয়ে দেন। ম্যাচ শেষের ১০ মিনিট আগে বায়ার্ন আবারো লড়াইয়ে ফিরে আসে। ক্রাটিজের শক্তিশালী হেডে দারুনভাবে রুখে দেন এ্যালিসন। কিন্তু ফিরতি বল পোস্টের খুব কাছে থেকে জালে জড়ান স্টানিসিচ। এরপর নুনেজ লিভারপুলের চতুর্থ গোলের সহজ সুযোগ নষ্ট করেন। এই সুযোগে মাথিস ডি লিটের কাছ থেকে লম্বা বল পেয়ে প্রথম টাচেই যে শটটি নিয়েছিলেন ক্রাটিজ তা ধরার সাধ্য ছিলনা এ্যালিসনের।