বাসস
  ১০ আগস্ট ২০২৩, ১৮:৩৫

কলম্বিয়া নারী বিশ্বকাপ দলটি কয়েক বছরের ফসল   

সিডনি, ১০ আগস্ট ২০২৩ (বাসস/এএফপি): নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার যৌথ আয়োজনে চলমান নারী বিশ্বকাপ ফুটবলের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে কলম্বিয়া। প্রথমবারের মতো ল্যাতিন আমেরিকান দলটির এমন উত্থান বিস্মত করেছে অনেককে। তবে কোচ নেলসন আবাদিয়ার কাছে এটি  কয়েক বছরের  প্রচেস্টার ফসল।
আগামী শনিবার সিডনিতে কোয়ার্টার ফাইনালে ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের মোকাবেলা করবে দক্ষিন আমেরিকার দল কলম্বিয়া। অথচ ২০১৯ সালের বিশ্ব আসরে খেলার যোগ্যতাই অর্জন করতে পারেনি এই দলটি। তখনো দলটির কোচের দায়িত্বে ছিলেন আবাদিয়া। এই নিয়ে তৃতীয়বার বিশ্বকাপের আসরে খেলতে এসেছে কলম্বিয়া। অবশ্য আগের আসরে সুযোগ পায়নি তারা। তারপরও এক মুহুর্তের জন্যও ভীত না হয়ে বেশ দাপটের সঙ্গেই প্রথমবারের মতো শেষ আটে জায়াগা করে নিয়েছে দলটি।
কলম্বিয়ার টিনএজ ফরোয়ার্ড লিন্ডা কেসেডো চলমান  বিশ্বকাপে ইতোমধ্যে নিজেকে শীর্ষস্থানীয় তারকাদের  আসনে বসিয়েছেন। শুধু তাই নয়, শেষ ষোলর ম্যাচে জ্যামাইকার বিপক্ষে ১-০ গোলে জয় পাওয়া ম্যাচে শুরু থেকেই আরেক কিশোরি ডিফেন্ডার আনা গুজম্যানকে সুযোগ করে দিয়েছেন কোচ আবাদিয়া। দুই জনেরই বর্তমান বয়স ১৮ বছর। 
কলম্বিয় কোচ বলেন,‘ লিন্ডা ও আনা দুই জনই উঠে এসেছেন জাতীয় যুব দল থেকে। ১২ বছর বয়স থেকে তারা যুব দলের সঙ্গে যুক্ত। ১২ বছর বয়স থেকেই তারা একসাথে বেড়ে উঠেছে। এখন তারা তাদের এ  বেড়ে ওঠাকে সমৃদ্ধ করছে।’
প্রায় এক যুগ ধরেই জাতীয় নারী দলের সঙ্গে যুক্ত আছেন ৬৭ বছর বয়সি আবাদিয়া। শুরুতে তিনি কাজ করেছেন কোচ ফ্যাবিয়ান তাবোর্দার টেকনিক্যাল সহকারী হিসেবে। ২০১৭ সালে প্রধান কোচের দায়িত্ব পান তিনি। এরপর যুব দলের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগান তিনি।
২০১৯ সালে প্যান আমেরিকান গেমসে প্রথমবারের মতো নারী ফুটবলের স্বর্ন পদক লাভ করে কলম্বিয়া। গত বছর অনুষ্ঠিত কোপা আমেরিকা ফাইনালে  যুক্তরাস্ট্রের কাছে হেরে  হয়েছে রানার আপ। তবে বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে।
গত বছর অনুষ্ঠিত অনুর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপে নিজেদের গ্রুপে শীর্ষ স্থান লাভ করেছিল কলম্বিয়া। যেখানে মুল ভুমিকা পালন করেছেন কেসেডো ও গুজম্যান। ওই আসরে শুধুমাত্র আঞ্চলিক প্রতিপক্ষ ব্রাজিলের কাছে হেরেছে তারা। শেষ ষোলতে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের কাছে পরাজিত হয় কলম্বিয় নারীরা।  
আবাদিয়া বলেন, ১২ বছর বয়সি মেয়েদের নিয়েই আমরা কাজ শুরু করেছিলাম। অনুর্ধ্ব- ২০ বিশ্বকাপে অংশগ্রহনের সময় তাদের বয়স ছিল ১৭ বছর। আমাদের এই বিকাশ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে ২০১৭ সাল থেকে।