ঢাকা, ১৫ মার্চ ২০২৫ (বাসস) : বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের মধ্য দিয়ে ইংল্যান্ডের কোচ হিসেবে অভিষেক হতে যাচ্ছে থমাস টাচেলের। ক্লাব ফুটবলের অন্যতম জনপ্রিয় এই কোচের বিবেচনায় প্রথম দলেই ডাক পেয়েছেন মার্কোশ রাশফোর্ড ও জর্ডান হেন্ডারসন।
২০২৬ বিশ্বকাপের স্কোয়াডে রাশফোর্ড ও হেন্ডারসনের অন্তর্ভূক্তিরও ইঙ্গিতও দিয়েছেন টাচেল।
আলবেনিয়া ও লাটভিয়ার বিপক্ষে বাছাইপর্বের ম্যাচের জন্য প্রথমবারের মত জাতীয় দলে ডাক পেয়েছেন আর্সেনালের মাইলস লুইস-স্কেলি ও নিউক্যাসলের ডিফেন্ডার ড্যান বার্ন।
১৯৬৬ সালের পর প্রথমবারের মত বড় কোন টুর্নামেন্টে শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে ইংল্যান্ড চেলসি, বায়ার্ন মিউনিখ ও পিএসজির সাবেক কোচ টাচেলকে জাতীয় দলের দায়িত্ব দিয়েছে।
গ্যারেথ সাউথগেটের অধীনে ইউরোপীয়ান চ্যাম্পিয়নশীপের দুটি ফাইনালে হারের পর এবার আর সেই ভুল করতে চায়না ইংল্যান্ড।
থ্রি লায়ন্সদের হয়ে সর্বশেষ গত বছর মাঠে নেমেছিলেন রাশফোর্ড। কিন্তু ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকে জানুয়ারিতে ধারে এ্যাস্টন ভিলায় খেলতে গিয়ে নিজেকে নতুনভাবে ফিরে পেয়েছেন।
অন্যদিকে ৩৪ বছর বয়সী হেন্ডারসন ২০২৩ সালের নভেম্বরে সর্বশেষ তার ৮১তম আন্তর্জাতিক ম্যাচটি খেলেছেন। সাউথগেট ও অন্তর্বর্তীকালীন বস লি কার্সলির অধীনে লিভারপুলের সাবেক এই অধিনায়ক ক্রমশই নিজেকে হারিয়ে ফেলেছিলেন।
দল ঘোষণা করতে গিয়ে ওয়েম্বলিতে এক সংবাদ সম্মেলনে টাচেল বলেছেন, ‘আমাদের সাথে প্রথম এই ক্যাম্পে যারাই আছেন তারা সকলেই বিশ্বকাপে খেলার জন্য এগিয়ে রয়েছে। হেন্ডারসনের নেতৃত্ব, ব্যক্তিত্ব, চরিত্র, সাহস- সবকিছুই তাকে এগিয়ে রেখেছে।’
অন্যদিকে কঠোর পরিশ্রমই রাশফোর্ডকে আবারো জাতীয় দলে ফিরিয়ে এনেছে। ইউনাইটেডর বস রুবেন আমোরিমের অধীনে রাশফোর্ড নিজেকে হারিয়ে ফেলেছিলেন। কিন্তু ভিলায় গিয়ে আবারো পুরনো রাশফোর্ডকে সবাই দেখেছে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও এফএ কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ভিলার ওঠার পিছনে রাশফোর্ডের যথেষ্ঠ ভূমিকা রয়েছে। ইতোমধ্যেই এই দুই টুর্নামেন্টে ৯ ম্যাচে তিনি চারটি এ্যাসিস্ট করেছেন।
আর্সেনালের হয়ে ১৮ বছর বয়সী লুইস-স্কেলি যেভাবে নিজেকে প্রমান করেছেন তাতে জাতীয় দলে ডাক পাওয়া সময়ের ব্যপার ছিল। আর ধারাবাহিকতার পুরস্কার হিসেবে ৩২ বছর বয়সে প্রথমবারের মত ইংল্যান্ডের জার্সিতে খেলার সুযোগ পেয়েছেন বার্ন।
ফ্যাবিও ক্যাপেলো ও সভেন-গোরান এরিকসনের পর তৃতীয় বিদেশী কোচ হিসেবে ইংল্যান্ডের দায়িত্ব নিয়েছেন টাচেল।
স্কোয়াড :
গোলরক্ষক : ডিন হেন্ডারসন, জর্ডান পিকফোর্ড, এ্যারন রামসডেল, জেমস ট্রাফোর্ড
ডিফেন্ডার : ড্যান বার্ন, টিনো লিভরামেন্টো, লেভি কোলউইল, রেসি জেমস, মার্কা গুয়েহি, এজরি কোনসা, মাইলস লুইস-স্কেলি, জারেল কুয়ানশাহ, কাইল ওয়াকার
মিডফিল্ডার, জুড বেলিংহাম, এবেরেচি এজে, জর্ডান হেন্ডারসন, কার্টিস জোনস, কোল পালমার, ডিক্লান রাইস, মরগান রজার্স
ফরোয়ার্ড : জর্ডান বোয়েন, ফিল ফোডেন, এন্থনি গর্ডন, হ্যারি কেন, মার্কোস রাশফোর্ড, ডোমিনিক সোলাঙ্কে