কক্সবাজার সৈকতে পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়

বাসস
প্রকাশ: ০৯ জুন ২০২৫, ২০:১২
কক্সবাজার সৈকতে পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়। ছবি: বাসস

প্রতিবেদক: ইব্রাহিম খলিল মামুন

কক্সবাজার, ৯ জুন, ২০২৫ (বাসস) : পবিত্র ঈদুল আযহার টানা ছুটিতে লাখো পর্যটকের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত। সাগরের নোনাজলে বাঁধভাঙা আনন্দে মেতে উঠেছেন ভ্রমণ পিপাসু মানুষ। 

সোমবার বিকেল ৪টার দিকে কক্সবাজারের সুগন্ধা পয়েন্টে গিয়ে দেখা যায়, সৈকতে ব্যাপক ভিড়। প্রায় ৩ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে সৈকতে জড়ো হয়েছেন দুইলাখেরও বেশি পর্যটক।

ছুটির সুযোগে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পর্যটকেরা পরিবার-পরিজন নিয়ে কক্সবাজার ছুটে এসেছেন। কেউ সাগরের নোনাজলে ঝাঁপিয়ে পড়ছেন, কেউবা বালুচরে ছবি তোলা কিংবা খেলায় মেতে উঠেছেন।

ঢাকা থেকে আসা রাইসা বলেন, এবার ঈদের ছুটি দীর্ঘ হওয়ায় পরিবার নিয়ে কক্সবাজার এসেছি। সৈকতের ভিড় আর প্রাণচাঞ্চল্য দেখে মনে হচ্ছে আনন্দ আরও বেড়ে গেছে।

আরেক পর্যটক আব্দুল্লাহ বাকি বলেন, কক্সবাজার এমন একটি স্থান, যেখানে বারবার এলেও নতুন মনে হয়। বিচ বাইক, জেট স্কি, ঘোড়ায় চড়া—সব মিলিয়ে চমৎকার সময় কাটছে।

রুবিনা আলম নামে এক পর্যটক বলেন, মেরিন ড্রাইভ, হিমছড়ি, ইনানী—সব জায়গাই অনেক সুন্দর। ঈদের ছুটি কাটাতে এর চেয়ে ভালো জায়গা হতে পারে না।

এদিকে কয়েকদিন ধরে সাগর উত্তাল রয়েছে। কিছু অংশে গর্ত সৃষ্টি হয়েছে, আবার কোথাও উল্টো স্রোতের টান রয়েছে।ঝুঁকির কথা জানিয়ে সাগরসীমায় লাল পতাকা টানানো হলেও অধিকাংশ পর্যটক তা উপেক্ষা করে সমুদ্রে নামছেন।

লাইফ গার্ডের সিনিয়র কর্মী মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেন, তিনস্তরে দায়িত্ব পালন করছেন আমাদের কর্মীরা—টাওয়ার থেকে নজরদারি, বালিয়াড়িতে টহল, আর পানিতে বোট নিয়ে টহল। তবে নিরাপত্তার জন্য পর্যটকদেরই সচেতন হওয়া জরুরি।

হোটেল-রেস্তোরাঁ মালিকরা জানান, ৯, ১০ ও ১১ জুন টানা তিনদিনে কক্সবাজার সৈকত ভ্রমণ করবেন অন্তত চারলাখ পর্যটক। এই তিনদিনের জন্য ইতিমধ্যে শহরের পাঁচ শতাধিক হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট, গেস্টহাউস ও কটেজের ৯৫ শতাংশ কক্ষ অগ্রিম বুকিং হয়ে গেছে। ১২ থেকে ১৯ জুন পর্যন্ত সাত দিনে আরও পাঁচ লাখের বেশি পর্যটকের আসার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময়ের জন্য কক্ষ বুকিং হয়েছে ৮০ শতাংশ। সব মিলিয়ে ঈদের ছুটির ১০ দিনে সৈকতে অন্তত ৯ লাখ পর্যটক আসবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

কক্সবাজারের পাঁচ শতাধিক হোটেল, গেস্টহাউস, রিসোর্ট ও কটেজে দৈনিক সর্বোচ্চ ধারণক্ষমতা একলাখ ৮৭ হাজার। পর্যটকদের বরণে ইতিমধ্যে হোটেল-রেস্তোরাঁ, বিনোদনকেন্দ্রসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। 

ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাসুদুর রহমান জানান, সৈকতে দুইলাখের বেশি পর্যটক অবস্থান করছেন। তাই বালিয়াড়ি, হোটেল-মোটেল জোন ও বিনোদন স্পটে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। পর্যটকদের সমস্যাও দ্রুত সমাধান করা হচ্ছে।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ সালাহ উদ্দিন বলেন, পর্যটকের সার্বিক নিরাপত্তায় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে। অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত মাঠে রয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
রংপুর-২ আসনে এ টি এম আজহারুল ইসলামকে জামায়াতের প্রার্থী ঘোষণা
দেশে আরও ১৫ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত
কাপাসিয়ায় নিষিদ্ধ পলিথিন কারখানা সিলগালা; মালিকের তিন মাসের কারাদণ্ড
বন্যাদুর্গত এলাকার জন্য খাদ্য বরাদ্দ বাড়ানো হবে: খাদ্য উপদেষ্টা
দেশের সব প্রধান নদ-নদীসমূহের পানি সমতল কমছে
আনন্দ রয় বাসফোর হত্যাকাণ্ডের আসামি হৃদয় আহমেদ গ্রেফতার 
চট্টগ্রামে ২৪ ঘণ্টায় আরও একজনের করোনা শনাক্ত
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ১০৮ জন হাসপাতালে ভর্তি
উইম্বলডনের প্রাইজমানি ৭ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে
ফ্যাসিবাদী শক্তি ছাত্রশিবিরকে নির্মম নির্যাতন করেছে: জাহিদুল ইসলাম
১০