বাসস
  ০৫ নভেম্বর ২০২৩, ২০:২৮

সৌদি ব্যবসায়ীদের আরো বেশি মানবসম্পদ নিতে আহবান ডিসিসিআই’র  

ঢাকা, ৫ নভেম্বর, ২০২৩ (বাসস) : ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) এবং আল মদিনা আল মনোয়ারা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’র  মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য আলোচনা সভা সম্প্রতি মদিনা চেম্বারের কার্যালয়ে অুনষ্ঠিত হয়েছে। উল্লেখ্য, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্ভাবনা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি ব্যারিস্টার মো. সামীর সাত্তারের নেতৃত্বে ৬১ সদস্যের বেসরকারি খাতের একটি বাণিজ্য প্রতিনিধিদল এখন সৌদি আরব সফরে রয়েছেন।
ডিসিসিআই সভাপতি সামীর সাত্তার বলেন, দীর্ঘ দিন যাবত বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি কর্মী সৌদি আরবে বিভিন্ন খাতে কাজে নিয়োজিত আছেন এবং বাংলাদেশের মোট রেমিট্যান্সের প্রায় ৩০ শতাংশ সৌদি আরব হতে আসে। ‘সৌদি ভিশন ২০৩০’-এর আওতায় সৌদি সরকার বহুমুখী উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে উল্লেখ করে তিনি বাংলাদেশ হতে বিশেষ করে লজিস্টিক, অবকাঠামো, তথ্য-প্রযুক্তি ও আউটোর্সিং প্রভৃতি খাতে আরও বেশি হারে দক্ষ মানব সম্পদ নেওয়ার জন্য মদিনা চেম্বারের উদ্যোক্তাসহ সৌদি সরকারের প্রতি আহবান জানান। সেই সাথে তিনি জানান, বাংলাদেশের স্বাস্থ্য সেবা, পর্যটন সহ অন্যান্য সামাজিক সেবা খাতে সৌদি উদ্যোক্তারা বিনিয়োগ করতে পারেন। ঢাকা চেম্বারের সভাপতি বলেন, বাংলাদেশের বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে সরকার বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে নানাবিধ প্রণোদনা ও নীতি সহায়তা প্রদান করছে, যেগুলোর সুবিধা গ্রহণ করে সৌদি ব্যবসায়ীরা বিনিয়োগে এগিয়ে আসতে পারেন। এমতাবস্থায়, ২০২৬ সালে বাংলাদেশের এলডিসি উত্তরণ পরবর্তী সময়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য বাজার সম্প্রসারণ খুবই জরুরী বিধায়, সৌদি আরবের বাজারে বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানিতে এগিয়ে আসার জন্য বাংলাদেশী উদ্যোক্তাদের প্রতিও তিনি আহ্বান জানান।
মদিনা চেম্বারের সহসভাপতি ড. খালিদ আব্দুল কাদের দাখাল বলেন, সৌদি সরকার ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণের লক্ষ্যে প্রাতিষ্ঠানিক সহযোগিতা বৃদ্ধি, নীতি সহায়তা ও উন্নত সেবা প্রদানের মত বেশ কিছু অগ্রাধিকারমূলক কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, দুদেশের ব্যবসায়িক কার্যক্রম বৃদ্ধিতে তাঁর চেম্বার কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণে সচেষ্ট হবে। তিনি জানান, সৌদি আরবের মোট জিডিপি’তে মদিনার অবদান প্রায় ৭ শতাংশ এবং এখানে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ কার্যক্রম সম্প্রসারণের সুযোগ ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমতাবস্থায়, তিনি বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, সিরামিক, পর্যটন, এগ্রোপ্রসেসিং, তৈরি পোষাক প্রভৃতি খাতে বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানান। সেই সাথে তিনি দু’দেশের উদ্যোক্তাদের মধ্যকার যোগাযোগ আরো বৃদ্ধির উপর গুরুত্বারোপ করেন।
ঢাকা চেম্বারে উর্ধ্বতন সহসভাপতি এস এম গোলাম ফারুক আলগমীর (আরমান), সহসভাপতি মো. জুনায়েদ ইবনে আলী, পরিচালনা পর্ষদের সদস্যবৃন্দসহ প্রতিনিধিদলের সদস্যগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।