ঢাকা, ১৫ আগস্ট, ২০২৫ (বাসস) : ওয়াল স্ট্রিটে শেয়ারবাজার বৃহস্পতিবার প্রায় অপরিবর্তিত অবস্থায় লেনদেন শেষ করেছে। তবে ইউক্রেন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া শীর্ষ বৈঠকের আগের দিন তেলের দাম তীব্রভাবে বেড়েছে।
নেতিবাচক সূচনার পর, জুলাই মাসের পাইকারি মূল্যসূচক প্রকাশের পর প্রধান মার্কিন সূচকগুলো ধীরে ধীরে সমতা ফিরে পায়।
নিউ ইয়র্ক থেকে এএফপি এ সংবাদ জানিয়েছে।
উৎপাদক মূল্য সূচক (পিপিআই) মাসওয়ারি ভিত্তিতে ০.৯ শতাংশ বেড়েছে। যা বিশ্লেষকদের প্রত্যাশার চেয়ে অনেক বেশি। এর আগে প্রকাশিত ভোক্তা মূল্যসূচক তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল ছিল।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক নর্থলাইট অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের প্রধান বিনিয়োগ কর্মকর্তা ক্রিস জাকারেলি বলেন, আজ সকালে উৎপাদক মূল্যসূচকের বড় উল্লম্ফন দেখাচ্ছে যে মুদ্রাস্ফীতি অর্থনীতির ভেতরে ছড়িয়ে পড়ছে, যদিও তা এখনো ভোক্তাদের কাছে তেমনভাবে অনুভূত হয়নি।
তিনি বলেন, এটি সম্ভবত আগামী মাসে ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার কমানোর বিষয়ে থাকা নিশ্চিত আশাবাদকে দ্বিধায় ফেলে দেবে।
এদিকে ক্রেসেট ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্টের জ্যাক অ্যাবলিন মন্তব্য করেন, ফিউচারস বাজারে এখনও এক চতুর্থাংশ শতাংশ সুদহার কমানোর বাজি ধরা হচ্ছে। তবে পিপিআই তথ্যের কারণে বড় অর্ধ শতাংশ কাটছাঁট এখন সম্ভাবনার বাইরে।
তিনটি প্রধান মার্কিন সূচকই দিনের শুরুতে যেখানে ছিল, প্রায় সেখানেই লেনদেন শেষ করেছে।
ইউরোপে প্যারিস, ফ্রাঙ্কফুর্ট ও লন্ডনের প্রধান বাজারগুলো দিনের শেষে ইতিবাচক ফলাফলে বন্ধ হয়েছে।
লন্ডন আগের ধস থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। কারণ তথ্য দেখিয়েছে যে ট্রাম্পের শুল্ক কার্যকর হওয়ায় যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি দ্বিতীয় প্রান্তিকে মন্থর হয়েছে। তবে এই শুল্প কার্যকর হলে অর্থনীতি যতটা মন্থর হবে বলে আশঙ্কা করা হয়েছিল, তার চেয়ে কম হয়েছে।
এদিকে, ইউক্রেন ইস্যুতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বৈঠকের আগে তেলের দাম প্রায় দুই শতাংশ বেড়েছে।
ইউরোপীয় নেতারা আশঙ্কা করছেন, পুতিন ট্রাম্পকে চাপ দিয়ে ইউক্রেনের ওপর সমঝোতা চাপিয়ে দিতে পারেন।
তবে তেল ব্যবসায়ীদের শঙ্কা অন্য জায়গায়।
বাজার এখন খুবই স্নায়ুচাপে রয়েছে উল্লেখ্য করে শর্ক গ্রুপের স্টিফেন শর্ক বলেন, ‘যদি বৈঠক ভালো না হয়, তাহলে আমরা রুশ তেলের ওপর আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা দেখতে পারি, যা বিশ্বের জন্য এই তেল পাওয়া কঠিন বা অসম্ভব করে তুলবে।
ব্লুমবার্গ নিউজের একটি প্রতিবেদনের পর স্বতন্ত্র কোম্পানিগুলোর মধ্যে, ইন্টেলের শেয়ার ৭.৪ শতাংশ বেড়েছে।
ব্লুমবার্গ নিউজে বলা হয়েছে যে, ট্রাম্প বিপর্যস্ত এই চিপ কোম্পানিতে সরকারি অংশীদারিত্বের বিনিময়ে বিনিয়োগের কথা বিবেচনা করছেন। তবে এ ধরনের চুক্তি ব্যবসায়ের প্রতি মার্কিন সরকারের ঐতিহ্যগত ‘লেসে ফেয়ার’ (হস্তক্ষেপহীন) নীতি থেকে ট্রাম্পের সাম্প্রতিক বিচ্যুতির আরেকটি উদাহরণ হবে।
ব্রেন্ট নর্থ সি অপরিশোধিত তেল, ব্যারেল প্রতি ১.৮ শতাংশ বেড়ে ৬৬.৮৪ ডলার হয়েছে। আর ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট ব্যারেল প্রতি ২.১ শতাংশ বেড়ে ৬৩.৯৬ ডলারে এ পৌঁছেছে।