রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো পরিচালনা পর্ষদের ১৪৮তম সভা অনুষ্ঠিত

বাসস
প্রকাশ: ১৮ আগস্ট ২০২৫, ১৮:৫৭
ছবি: রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ফেসবুক পেইজ

ঢাকা, ১৮ আগস্ট, ২০২৫ (বাসস): রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) পরিচালনা পর্ষদের ১৪৮তম সভা আজ রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ইপিবির সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন সভায় সভাপতিত্ব করেন। 

অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবুর রহমান, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন ,অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) আব্দুর রহিম খান, বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স এন্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সভাপতি মাহমুদ হাসান খান এবং মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি কামরান তানভীর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

সভায় রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ব্যবস্থাপনায় আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় অংশগ্রহণের লক্ষ্যে ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের মেলা ক্যালেন্ডার এবং ২০২৬-২০২৭ অর্থবছরের আংশিক মেলা ক্যালেন্ডার অনুমোদন দেওয়া হয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।

দেশের বাইরে আয়োজিত মেলায় অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন,  প্রত্যেকটা মেলা সম্পর্কে আমাদের একটি বিশ্লেষণ থাকা দরকার। যেখানে আমাদের দেশের পণ্যের বাজার সম্প্রসারণ প্রয়োজন সেখানে কার্যকরভাবে অংশগ্রহণ করতে হবে। শুধু অংশগ্রহণ নয় যাতে দেশের উন্নতি হয়, ব্যবসাটা বৃদ্ধি পায় সেদিকে মনোযোগ দিতে হবে।

রপ্তানিমুখী শিল্পখাত ও উৎপাদকদের জন্য বৈশ্বিক বাজার সম্প্রসারণের লক্ষ্যে এবং সরকারের বাজার বহুমুখীকরণ কৌশলের সাথে সামঞ্জস্য রেখে, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো একটি স্বতন্ত্র আন্তর্জাতিক সোর্সিং ফেয়ার আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে সভায় নভেম্বর মাসে  ‘সোর্সিং বাংলাদেশ ২০২৫’ মেলা আয়োজনের অনুমোদন দেওয়া হয়।

সোর্সিং মেলা আয়োজনের যৌক্তিকতা তুলে ধরে  বাণিজ্য সচিব বলেন , সোর্সিং মেলা আয়োজন না করলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশীয় পণ্যের পরিচিত বাড়বে না,আমাদের সক্ষমতাও তৈরি হবে না। এসময় তিনি বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে সোর্সিং মেলার প্রচারণা বাড়ানোর উদ্যোগ গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

সভায় ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা (ডিআইটিএফ) এর নাম পরিবর্তন করে ঢাকা বাণিজ্য মেলা (ডিটিএফ) করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। 

নাম পরিবর্তনের কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়, ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা ১৯৯৫ সাল থেকে প্রতি বছর আন্তর্জাতিক ও দেশীয় ক্রেতা-বিক্রেতাদের সমন্বয়ে আয়োজনের উদ্দেশ্যে শুরু হয়েছিল। লক্ষ্য ছিল বিদেশি প্রতিষ্ঠানসমূহের সরাসরি অংশগ্রহণের মাধ্যমে গুণগত মানসম্পন্ন পণ্য ও প্রযুক্তি প্রদর্শন এবং স্থানীয় বাজারের সাথে পরিচিতি করানো।

কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, অনেক বিদেশি প্রতিষ্ঠান দূতাবাস বা সরকারি প্রতিনিধি দলের মাধ্যমে অংশগ্রহণ না করে স্থানীয় এজেন্ট বা ব্যক্তির মাধ্যমে অংশ নিচ্ছে। ফলে পণ্য ও সেবার মান যাচাই করা যাচ্ছে না, অনেক সময় মানহীন বা স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পণ্য বিদেশি ব্র্যান্ড নামে উপস্থাপন করা হচ্ছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
এ্যাস্টন ভিলা থেকে রামসেকে দলে নিল নিউক্যাসল
৪৩তম জাতীয় ‘বি’ দাবা চ্যাম্পিয়নিশিপের ষষ্ঠ রাউন্ড শেষে দুইজন শীর্ষে
ঢাকায় মার্শাল
বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনে ‘জাতীয় উদ্‌যাপন’ কমিটি গঠন 
আগামীকাল ক্রিকেটারদের সাথে দেখা করবেন বিসিবি সভাপতি
উডের অধীনে পাওয়ার-হিটিংয়ে উন্নতি করতে আগ্রহী জাকের
টাঙ্গাইলে নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারী জাল ধ্বংস 
সাতক্ষীরা সীমান্তে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় ওষুধ জব্দ
ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ডিএমপির ১,৯৫৪ মামলা
৮৫ জন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে চাকরিতে পুনর্বহাল করেছে ইসি
১০