বাংলাদেশে উন্নত জিনোম সিকোয়েন্সিং-ভিত্তিক ক্যান্সার ডায়াগনস্টিকস চালু করবে আইসিডিডিআর’বি

বাসস
প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১৮:৫৫

ঢাকা, ২৩ এপ্রিল, ২০২৫ (বাসস): ক্যান্সারের চিকিৎসাকে আরো সুনির্দিষ্ট, সহজলভ্য এবং সাশ্রয়ী করার লক্ষ্যে, আইসিডিডিআর’বি আগামীকাল তাদের নেক্সট-জেনারেশন সিকোয়েন্সিং (এনজিএস)-ভিত্তিক ক্যান্সার ডায়াগনস্টিক পরিষেবা চালু করবে। 

আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা বলা হয়েছে। 

আইসিডিডিআর’বি জিনোম সেন্টার কর্তৃক প্রদত্ত এটি দেশের মধ্যে এই ধরনের সবচেয়ে ব্যাপক আণবিক পরীক্ষার পরিষেবা, যা ক্যান্সার বিশেষজ্ঞদের দ্রুত, আরো নির্ভুল এবং স্থানীয়ভাবে উপলব্ধ রোগ নির্ণয়ের মাধ্যমে স্বকীয়করণ চিকিৎসা পরিকল্পনা পরিচালনা করতে সহায়তা করার জন্য তৈরি করা হয়েছে।

এই উদ্যোগ বাংলাদেশের ক্যান্সার বিশেষজ্ঞদের দীর্ঘদিনের আহ্বানে সাড়া দিয়েছে, যাতে বিদেশি ল্যাবরেটরির ওপর নির্ভরতা কমানো যায়। বর্তমানে অনেক রোগী ফলাফলের জন্য চার থেকে পাঁচ সপ্তাহ অপেক্ষা করেন এবং প্রায়শই চড়া মূল্যে এবং রিপোর্টের মান ও প্রশ্নবিদ্ধ।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, বিপরীতে আইসিডিডিআর’বি দুই সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন সরবরাহ করবে, যা আন্তর্জাতিকভাবে প্রশিক্ষিত বিশেষজ্ঞ, অত্যাধুনিক সরঞ্জাম এবং আন্তর্জাতিক মান দ্বারা সমর্থিত।

আইসিডিডিআর’বি-এর সংক্রামক রোগ বিভাগের সিনিয়র বিজ্ঞানী এবং ভারপ্রাপ্ত সিনিয়র পরিচালক ডা. মো. মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশে সহজলভ্য এবং নির্ভুল ক্যান্সার চিকিৎসার দিকে একটি রূপান্তরমূলক পদক্ষেপ নিচ্ছি। আমরা বিশ্বব্যাপী প্রশিক্ষিত পেশাদার, কঠোর বৈধতা এবং বিশ্বমানের অবকাঠামোর মাধ্যমে সর্বোচ্চ মানের চিকিৎসা নিশ্চিত করছি। আমাদের প্রতিশ্রুতি হল ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ এবং রোগীদের সময়োপযোগী, বিশ্বস্ত সূক্ষ্মদৃষ্টি প্রদান করা যা ক্যান্সার চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।’

আইসিডিডিআর’বি-এর নির্বাহী পরিচালক ড. তাহমিদ আহমেদের নেতৃত্বে এই পরিষেবাটি বিকশিত হয়েছিল, যিনি জাতীয় ক্যান্সার চিকিৎসাকে শক্তিশালী করার জন্য জিনোম সেন্টারকে একটি কৌশলগত উদ্যোগ হিসেবে কল্পনা করেছিলেন।

ডা. তাহমিদ বলেন, ‘এটি এমন একটি ব্যবধান ছিল যা আমরা উপেক্ষা করতে পারি না। আমাদের লক্ষ্য হলো কোনো রোগীকে গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষার ফলাফলের জন্য সপ্তাহের পর সপ্তাহ অপেক্ষা করতে বা বিদেশ ভ্রমণ করতে না হয় তা নিশ্চিত করা। আমরা ক্যান্সার বিশেষজ্ঞদের আমাদের সাথে কাজ করার জন্য আমন্ত্রণ জানাই যাতে এই পরিষেবাটি আরো বেশি প্রয়োজন এমন লোকদের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়। এটি কেবল একটি পরিষেবা নয় - এটি বাংলাদেশে ক্যান্সার চিকিৎসা ও ব্যবস্থাপনায় সকল পক্ষের জন্য আশা, আস্থা এবং আরো ভালো ফলাফল প্রদানের প্রতিশ্রুতি।’

২০২৫ সালে বিএমইউ-এর দেশব্যাপী  এক গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশে প্রতি ১ লাখ লোকের মধ্যে ১০০ জনেরও বেশি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়। যার মধ্যে স্তন, মুখ, পেট, গলা এবং জরায়ুর ক্যান্সার সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। অনেক রোগীর রোগ নির্ণয়ে বিলম্ব হয়, তাই দ্রুত প্রাথমিক এবং নির্ভরযোগ্য পরীক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

আইসিডিডিআর’বি জিনোম সেন্টার ফলাফল উন্নত করতে এবং জাতীয় ক্যান্সারের বোঝা কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার জন্য উপযুক্ত অবস্থানে রয়েছে। এটি স্তন, ফুসফুস, কোলন, ডিম্বাশয় এবং রক্তের ক্যান্সারের পরীক্ষা প্রদান করে, যার ফলে চিকিৎসা সবচেয়ে কার্যকর হলে ডাক্তাররা হস্তক্ষেপ করতে পারেন।

রোগীদের সুবিধার্থে, মহাখালী, মিরপুর, মতিঝিল, ধানমন্ডি, উত্তরা, নিকেতন, গুলশান এবং বারিধারার যেকোনো আইসিডিডিআর’বি ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং বুথ থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হবে। 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
সিলেট বিমানবন্দরে ফ্রি ওয়াইফাই ও টেলিফোন সেবার উদ্বোধন করলেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব
চাঁদপুরে যৌথ বাহিনীর অভিযানে ১১ মাদক কারবারি গ্রেপ্তার
বগুড়ায় বিদেশি পিস্তলসহ এক ডাকাত গ্রেফতার
বান্দরবানে ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজে বিজ্ঞান মেলা
নওগাঁয় ছাত্রদলের ফ্রি ব্লাড ব্যাংক ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত
পাকিস্তানে বন্যার্তদের উদ্ধারকারী নৌকা ডুবে ৫ জনের প্রাণহানি
আগামীকাল শ্রদ্ধা জানাতে বদরুদ্দীনের মরদেহ নেওয়া হবে শহীদ মিনারে
রাশিয়া ইউক্রেনে ৮ শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে
শেখ হাসিনার মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী ছিলেন বদরুদ্দীন উমর : প্রসিকিউটর তামীম
নির্বাচনে কোনো বিশেষ দলের হয়ে কাজ না করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার আহ্বান
১০