বিশ্বব্যাপী টিকা-প্রতিরোধযোগ্য রোগ বৃদ্ধির বিষয়ে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ

বাসস
প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১৫:২৩

ঢাকা, ২৪ এপ্রিল, ২০২৫ (বাসস) : ভুল তথ্য ও আন্তর্জাতিক সাহায্যে কাটছাঁটের মধ্যে বিশ্বব্যাপী হাম, মেনিনজাইটিস ও হলুদ জ্বরের মতো টিকা-প্রতিরোধযোগ্য রোগের প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জাতিসংঘ ও গ্যাভি ভ্যাকসিন জোট বুধবার সতর্ক করেছে।

জাতিসংঘ থেকে এএফপি জানায় ,‘গত পাঁচ দশকে টিকা ১৫ কোটিরও বেশি জীবন বাঁচিয়েছে,’ উল্লেখ করে ডব্লিউউএইচও প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যসেবায় তহবিল হ্রাস এই কষ্টার্জিত অর্জনগুলোকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে।’ টেড্রোস আরো বলেন, বিশ্বজুড়ে ক্রমবর্ধমান প্রাদুর্ভাব ‘জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলছে এবং দেশগুলোকে রোগের চিকিৎসার ব্যয় বৃদ্ধির সম্মুখীন করছে।’

উদাহরণস্বরূপ, হামের প্রকোপ ‘বিশেষ করে বিপজ্জনকভাবে ফিরে আসছে।’ ২০২১ সাল থেকে প্রতি বছর হাম আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং ২০২৩ সালে এর সংখ্যা আনুমানিক ১ কোটি ৩ লাখে পৌঁছেছে, যা ২০২২ সালের পর থেকে ২০ শতাংশ বৃদ্ধি। এই প্রবণতা ২০২৪ ও ২০২৫ সালেও অব্যাহত থাকবে বলে সংস্থাগুলো মনে করছে ।

বিবৃতিতে বলা হয়, গত ১২ মাসে, ১৩৮টি দেশে হামের প্রাদুর্ভাবের কথা জানা গেছে, যার মধ্যে ৬১টিতে বড় বা বিঘ্নিত প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। ২০১৯ সালের পর থেকে ১২ মাসের মধ্যে এটি সর্বোচ্চ সংখ্যা।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, জাতিসংঘের শিশু তহবিল ইউনিসেফ ও গ্যাভি যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছে। ২৪-৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বিশ্ব টিকাদান সপ্তাহের শুরুতে বুধবার  বৃবৃতিটি প্রকাশিত হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালে আফ্রিকায় মেনিনজাইটিস ও হলুদ জ্বরের আক্রান্তও উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

ক্রমবর্ধমান ভুল তথ্য, জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও মানবিক সংকটের মধ্যে এসব রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটছে।

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অধীনে মার্কিন মানবিক সহায়তায় ব্যাপক হ্রাসের কথা স্পষ্টভাবে উল্লেখ না করে গোষ্ঠীগুলো বলেছে, তহবিল হ্রাস অগ্রগতিকে বিপন্ন করে তুলেছে এবং লাখ লাখ শিশু ও প্রাপ্তবয়স্কদের ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে।

ইউনিসেফের প্রধান ক্যাথেরিন রাসেল আরো জানান, ‘বিশ্বব্যাপী তহবিল সংকট ভঙ্গুর ও সংঘাত-প্রবণ দেশগুলোয় হামের বিরুদ্ধে ১ কোটি ৫০ লক্ষাধিক ঝুঁকিপূর্ণ শিশুকে টিকা দেওয়ার আমাদের ক্ষমতাকে মারাত্মকভাবে সীমিত করছে।’

কোভিড-১৯ মহামারীর পরে দেশগুলো তাদের টিকাদানের বাধাসমূহ পূরণ করার চেষ্টা করা সত্ত্বেও নিয়মিত টিকাদান থেকে বঞ্চিত শিশুদের সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
২০২৩ সালে, আনুমানিক ১ কোটি ৪৫ লাখ শিশু তাদের সমস্ত নিয়মিত টিকা ডোজ থেকে বাদ পড়েছে, যা ২০২২ সালে ছিল ১ কোটি ৩৯ লাখ।

এই প্রেক্ষাপটে, ২০২৬-২০৩০ সালের মধ্যে কমপক্ষে ৮০ লাখ জীবন বাঁচাতে ও ৫০ কোটি শিশুকে টিকা দেয়ার লক্ষ্য নিয়ে গ্যাভি ২৫ জুনের প্রতিশ্রুতি শীর্ষ সম্মেলনের আগে কমপক্ষে ৯ বিলিয়ন ডলার তহবিলের আহ্বান জানিয়েছে।’

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
দ্বীন প্রতিষ্ঠায় নারীদের ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করতে হবে : ডা. শফিকুর রহমান
২০২৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় ক্যাডেট কলেজসমূহের ঈর্ষণীয় ফলাফল অর্জন
মা ইলিশ সংরক্ষায় ৩৮ জেলার ১৭৮ উপজেলায় অভিযান: আইন ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা
বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে দিলেন ঐকমত্য কমিশনের সদস্যরা
বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেবে ইরাক ঢাকায় জয়েন্ট কমিটির বৈঠক
নির্বাচনের প্রস্তুতি: ইসি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল
৩১ অক্টোবরের মধ্যেই সরকারের কাছে সুনির্দিষ্ট, সুস্পষ্ট ও পূর্ণাঙ্গ সুপারিশ দেয়া হবে: আলী রীয়াজ
জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচারের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
সুর ও ছন্দে ঢাবিতে শরৎ উৎসব উদযাপন
জুলাই সনদ স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে উৎসবমুখর নির্বাচনের দিকে যাত্রা শুরু করবো: ফারুকী
১০