প্রতিরোধমূলক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে দরকার কার্যকর, টেকসই ব্যবস্থাপনা 

বাসস
প্রকাশ: ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ২২:৫১
রোববার রাজধানীর পিকেএসএফ ভবনে ‘টেকসই স্বাস্থ্য ও পুষ্টি উন্নয়নে করণীয়’ শীর্ষক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: পিকেএসএফ

ঢাকা, ২৭ এপ্রিল, ২০২৫ (বাসস): আয়ুক্ষয় রোধের মাধ্যমে দারিদ্র্য পরিস্থিতির উন্নয়নে প্রতিরোধমূলক স্বাস্থ্যসেবা প্রসারের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তারা বলেছেন, প্রতিরোধমূলক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজন কার্যকর, টেকসই ব্যবস্থাপনা। স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ব্যয় নির্বাহের চাপ মানুষের দারিদ্র্য নিরসনের অন্যতম প্রধান অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তারা।

আজ রোববার রাজধানীর পিকেএসএফ ভবনে আয়োজিত ‘টেকসই স্বাস্থ্য ও পুষ্টি উন্নয়নে করণীয়’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে বক্তারা এ অভিমত ব্যক্ত করেন। সভায় জাতীয় পর্যায়ের জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশনের প্রতিনিধি, সহযোগী সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ও পিকেএসএফ-এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।

পিকেএসএফ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফজলুল কাদের বলেন, ‘পিকেএসএফ টেকসইভাবে মানুষের আয়বৃদ্ধির মাধ্যমে দারিদ্র্য নিরসন এবং দারিদ্র্য-পরবর্তী উন্নয়নকে প্রাধান্য দেয়। কিন্তু বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে তার চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে মানুষের নিজের পকেট থেকে যে পরিমাণ ব্যয় করতে হয়, তা তাদের আয়ক্ষয়ের অন্যতম প্রধান কারণ। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দেশব্যাপী প্রতিরোধমূলক স্বাস্থ্যসেবা সম্প্রসারণ করতে হবে। 

স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশনের সদস্য ড. আহমেদ এহসানূর রহমান বলেন, ‘স্বাস্থ্যসেবাকে রাজনৈতিক অঙ্গীকারের অংশ করতে হবে। প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা মানুষের মৌলিক অধিকার। সরকারকে আইন প্রণয়ন করে এ অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। আইনে স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকতে হবে রাষ্ট্র নাগরিকদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে কী ভূমিকা নেবে।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আব্দুল হামিদ বলেন, ‘বর্তমানে তিন বছরের শিশুও স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে। ৩০-৩৫ বছর বয়সী মানুষ ডায়াবেটিসে ভুগছে। এগুলো জনস্বাস্থ্যের জন্য অশনিসংকেত। এর জন্য দায়ী অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস, জীবনাচরণ এবং মাদকের অপব্যবহার। এ সমস্যা সমাধানে স্কুলভিত্তিক সচেতনতামূলক প্রচার কার্যক্রম জরুরি। যা দীর্ঘমেয়াদে স্বাস্থ্যবান্ধব সমাজ গঠনে সহায়ক হবে।’

ওয়াটারএইড-এর আঞ্চলিক পরিচালক ড. খায়রুল ইসলাম বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশে ব্যক্তিগত খরচে স্বাস্থ্য ব্যয়ের হার ৭৩ শতাংশ, যা তাদের দারিদ্র্য নিরসনে বড় বাধা।’

সভায় পিকেএসএফ-এর স্বাস্থ্য ও পুষ্টি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কার্যক্রমের অগ্রগতি, সাফল্য ও চ্যালেঞ্জ তুলে ধরা হয়। উন্মুক্ত আলোচনা ও প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশগ্রহণকারীরা মাঠপর্যায়ের বাস্তব অভিজ্ঞতার আলোকে কার্যকর সুপারিশ তুলে ধরেন। 

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ ব্রেস্টফিডিং ফাউন্ডেশন-এর সভাপতি ড. এস. কে. রয়, সাজেদা ফাউন্ডেশন-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জাহেদা ফিজ্জা কবির এবং সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট ইনোভেশন এন্ড প্র্যাকটিসেস (সিদীপ)-এর নির্বাহী পরিচালক মিফতা নাইম হুদা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
দ্বীন প্রতিষ্ঠায় নারীদের ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করতে হবে : ডা. শফিকুর রহমান
২০২৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় ক্যাডেট কলেজসমূহের ঈর্ষণীয় ফলাফল অর্জন
মা ইলিশ সংরক্ষায় ৩৮ জেলার ১৭৮ উপজেলায় অভিযান: আইন ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা
বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে দিলেন ঐকমত্য কমিশনের সদস্যরা
বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেবে ইরাক ঢাকায় জয়েন্ট কমিটির বৈঠক
নির্বাচনের প্রস্তুতি: ইসি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল
৩১ অক্টোবরের মধ্যেই সরকারের কাছে সুনির্দিষ্ট, সুস্পষ্ট ও পূর্ণাঙ্গ সুপারিশ দেয়া হবে: আলী রীয়াজ
জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচারের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
সুর ও ছন্দে ঢাবিতে শরৎ উৎসব উদযাপন
জুলাই সনদ স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে উৎসবমুখর নির্বাচনের দিকে যাত্রা শুরু করবো: ফারুকী
১০