শিরোনাম
ঢাকা, ১৯ জানুয়ারি, ২০২৫ (বাসস) : দক্ষিণ কোরিয়ার একটি আদালত রোববার দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের আটকের মেয়াদ বৃদ্ধি করায় সিউলের একটি আদালতে তার সমর্থকরা হামলা চালায়। সিউল থেকে এএফপি এ খবর জানায়।
শনিবার সিউল পশ্চিম জেলা আদালতের বাইরে ইউনের প্রতি সমর্থন জানাতে হাজার হাজার মানুষ জড়ো হয়েছিলেন। যিনি এই সপ্তাহে ভোরের দিকে গ্রেপ্তার হয়েছেন। তিনি দেশে সামরিক আইন জারির প্রচেষ্টা গ্রহণ করায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আদালত তার আটকের মেয়াদ বৃদ্ধি করার পর ভোর ৩:০০ টার দিকে (শনিবার ১৮০০ জিএমটি) প্রেসিডেন্টের সমর্থকরা ভবনের ভেতরে ছুটে যাওয়ার সময় জানালা এবং দরজা ভেঙে ফেলে।
এএফপি’র সাংবাদিকরা শত শত পুলিশ অফিসারকে আদালতে ঢুকতে দেখেন, পুলিশ বাহিনী কয়েক ডজনকে গ্রেপ্তার করে এবং 'অসহনীয় অবৈধ এবং সহিংস ঘটনার’ নিন্দা জানায়।
গত ৩ ডিসেম্বর ইউন সামরিক আইন ঘোষণা জারির প্রচেষ্টা করে এবং পার্লামেন্টে সৈন্য প্রেরণের পর থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক সঙ্কটের সর্বশেষ ঘটনা এটি।
বেসামরিক শাসন স্থগিত করার তার প্রচেষ্টা মাত্র ছয় ঘণ্টা স্থায়ী হয়েছিল, আইন প্রণেতারা তার প্রচেষ্টাকে ভোটে বাতিল করে দেন। পরে তারা প্রেসিডেন্টকে অভিশংসন করেন এবং তাকে দায়িত্ব থেকে বরখাস্ত করেন।
আটককৃত ইউন তার অভিশংসনের বিষয়ে সাংবিধানিক আদালতের রায় এবং বিদ্রোহের অভিযোগে ফৌজদারি তদন্তের মুখোমুখি হওয়া সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত লড়াই করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
তদন্তকারীরা ইউনকে আরও ২০ দিনের জন্য আটক রাখতে পারবে বলে ঘোষণা করে সিউল আদালত এএফপিকে জানিয়েছে তিনি মুক্তি পেলে প্রমাণ নষ্ট করতে পারেন বলে উদ্বেগ রয়েছে।
সিউল আদালতের ঘটনার পর, ভারপ্রাপ্ত পুলিশ প্রধান লি হো-ইয়ং বলেন, ’এই সহিংসতার সাথে যদি ডানপন্থী ইউটিউবাররা জড়িত থাকে তবে তা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত করা হবে।
ইউনের আইনজীবী সিওক ডং-হিয়ন আদালতের সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছে, পাশাপাশি প্রেসিডেন্টের সমর্থকদের পরিস্থিতি আরও খারাপ না করার জন্য সতর্ক করেছেন।
আইনজীবী এবং রাজনৈতিক কলামিস্ট ইউ জং-হুন বলেন, দক্ষিণ কোরিয়ায় আদালতে আক্রমণ অভূতপূর্ব এবং জড়িতদের সম্ভবত জেলের মুখোমুখি হতে হবে।
ইউ বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, বিদ্রোহের অভিযোগের সমর্থনে অসংখ্য প্রমাণের কারণে বিচারক প্রেসিডেন্টকে কারাগারে রাখবেন বলে আশা করা হয়।
শনিবার আদালতে হাজির হওয়ার পর ইউনকে কারাগারে পাঠানোর পর, প্রসিকিউটররা বিদ্রোহের জন্য একটি ফৌজদারি অভিযোগ আনুষ্ঠানিকভাবে দাখিল করবেন।
তদন্তকারীদের প্রশ্নের উত্তর দিতে অস্বীকৃতি জানানো এই নেতার দোষ প্রমাণিত হলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা মৃত্যুদণ্ড হতে পারে।
যদি আদালত তার বিরুদ্ধে রায় দেয়, তাহলে ইউন আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেসিডেন্ট পদ হারাবেন এবং ৬০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।