বাসস
  ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ১৩:৩৩

সাবেক উপদেষ্টা বোল্টনের নিরাপত্তা সুরক্ষা প্রত্যাহার ট্রাম্পের

ঢাকা, ২২ জানুয়ারি, ২০২৫ (বাসস) : মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি  মঙ্গলবার তার সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এবং অন্যতম কট্টর সমালোচক জন বোল্টনের গোয়েন্দা বিভাগীয় সুরক্ষা প্রত্যাহার করেছেন। তিনি বলেন, ‘আপনি এটি আজীবন পেতে পারেন না।’

ওয়াশিংটন থেকে এএফপি এ খবর জানায়।

বোল্টনের নিরাপত্তা ছাড়পত্রও বাতিল করেছেন প্রেসিডেন্ট। ২০২০ সালে প্রকাশিত তার একটি সমালোচনামূলক স্মৃতিকথায় ‘তার সরকারের সময় থেকে সংগৃহীত সংবেদনশীল তথ্য’ প্রকাশ করার জন্য একটি নির্বাহী আদেশে তাকে অভিযুক্ত করেছেন তিনি।

ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে হোয়াইট হাউসে দায়িত্ব পালনকারী এবং ইরানের একটি কথিত হত্যা ষড়যন্ত্রের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হওয়া ৭৬ বছর বয়সী বোল্টন বলেন, তিনি প্রেসিডেন্টের পদক্ষেপে ‘হতাশ হয়েছেন কিন্তু অবাক হননি।’

হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের কাছে প্রদত্ত মন্তব্যে ট্রাম্প তার সিদ্ধান্তের পক্ষে কথা বলেন এবং তার সাবেক সহকারীর বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণাত্মক মন্তব্য করেন। তিনি বোল্টনকে ‘অত্যন্ত বোকা’ ও ‘নির্বোধ’ বলে অভিহিত করেন। প্রেসিডেন্ট বলেন, ’আমরা মানুষকে আজীবন নিরাপত্তা দেব না। আমরা কেন তা দেব?’ ‘আপনি এটি আজীবন পেতে পারেন না।’

ট্রাম্প আরো বলেন, ‘আমি ভেবেছিলাম তিনি বাকশক্তিহীন, তবে, আমি তাকে ভালোভাবে কাজে লাগিয়েছি, কারণ, সবসময় জনসভাগুলোতে লোকেরা বোল্টনকে আমার পিছনে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় দেখে ভাবতো তিনি তাদের উপর আক্রমণ করবেন, কারণ, তিনি ছিলেন যুদ্ধবাজ।’ 

বোল্টন এক্স-এ এক পোস্টে উল্লেখ করেন, বিচার বিভাগ ২০২২ সালে ইরানের বিপ্লবী গার্ডের একজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ‘আমাকে লক্ষ্যবস্তু করতে একজন খুনি ভাড়ার করার চেষ্টায় ফৌজদারি অভিযোগ দায়ের করে।’

তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে হত্যার চেষ্টাকারী একজনকে সম্প্রতি গ্রেপ্তারের মাধ্যমেও প্রমাণিত হয়েছে যে সেই হুমকি আজও রয়ে গেছে।

বোল্টন বলেন, যদিও তিনি সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জাতীয় নিরাপত্তা নীতির সমালোচক হওয়া সত্ত্বেও বাইডেন ২০২১ সালে তাকে সুরক্ষা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমেরিকান জনগণ নিজেরাই বিচার করবে কোন প্রেসিডেন্ট সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’

জাতিসংঘে নিযুক্ত সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূতও ছিলেন বোল্টন। তাকে হত্যার ষড়যন্ত্রের পেছনে থাকা কথিত ইরানি মূল পরিকল্পনাকারীকে গ্রেপ্তারে সহায়তায় তথ্যের জন্য ২০ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার ঘোষণা করে পররাষ্ট্র দপ্তর।

মার্কিন কর্মকর্তারা ইরানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন, তারা ২০২০ সালে মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত ইরানি জেনারেল কাসেম সোলাইমানি হত্যার প্রতিশোধ নিতে ট্রাম্পকে হত্যার চেষ্টা করছে।