ঢাকা, ৭ এপ্রিল, ২০২৫ (বাসস) : ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ রোববার কায়রো পৌঁছানোর পর মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির সাথে গাজা যুদ্ধকে কেন্দ্র করে আলোচনা শুরু করেন। কায়রো থেকে এএফপি খবর জানায়।
গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে ইসরাইলের হামলা পুনরায় শুরু করার প্রেক্ষিতে সোমবার, ম্যাখোঁ, সিসি ও জর্ডানের বাদশা দ্বিতীয় আবদুল্লাহ এক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন।
এই অঞ্চলের মানবিক বিপর্যয়ের কথা তুলে ধরতে ফরাসি নেতা মঙ্গলবার, গাজার কাছে মিশরের এল-আরিশ বন্দরে যাবেন।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ৪৮ ঘন্টার সফরে আগমণের পরপরই ম্যাখোঁ এবং সিসি কায়রোর একটি স্যুকে নৈশভোজে অংশ নেন।
ম্যাখোঁ ৩ জুলাই আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হতে যাওয়া নতুন গ্র্যান্ড ইজিপশিয়ান জাদুঘর পরিদর্শন করেন। সেখানে ১ লাখ ঐতিহাসিক নিদর্শন প্রদর্শিত হবে।
সোমবার সকালে বাদশাহ আবদুল্লাহর সাথে শীর্ষ সম্মেলনের আগে দুই প্রেসিডেন্ট আরো আনুষ্ঠানিক বৈঠক করবেন।
ফরাসি প্রেসিডেন্টের দপ্তর এই বৈঠক সম্পর্কে বলেছে, মিশর ও জর্ডান যুদ্ধের অবসানের গুরুত্বের ওপর জোর দিয়ে গাজার পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবে।
ইসরাইল ও হামাসের মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাতার ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে মিশর কাজ করছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যে জর্ডান ও মিশরকে গাজা থেকে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের গ্রহণ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
১৮ মার্চ হামাসের সাথে অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি ভেঙে যাওয়ার পর থেকে ইসরাইল গাজার ভূখণ্ড দখলের জন্য চাপ দিচ্ছে। তারা একে গাজায় আটক জিম্মিদের মুক্ত করতে জঙ্গিদের বাধ্য করার কৌশল বলে অভিহিত করেছে। একই সাথে, ইসরাইল লেবানন ও সিরিয়ার ওপর আক্রমণ বাড়িয়েছে।
গাজা উপত্যকা থেকে ৫০ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত এল-আরিশ বন্দর গাজায় আন্তর্জাতিক সাহায্য পৌঁছানোর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ট্রানজিট পয়েন্ট হয়ে দাঁড়িয়েছে। ম্যাখোঁ সেখানে মানবিক ও নিরাপত্তা কর্মীদের সাথে দেখা করবেন।
বেশিরভাগ আন্তর্জাতিক সাহায্য গাজা ও মিশরের মধ্যবর্তী রাফাহ ক্রসিং দিয়ে যেতো কিন্তু মার্চের শুরু থেকে ইসরাইল এটি স্থগিত করে রেখেছে।