গাজায় তীব্র ইসরাইলি হামলার পরিণতির আশঙ্কায় জিম্মি পরিবারগুলো

বাসস
প্রকাশ: ০৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৪:৩৯

জেরুজালেম, ৯ এপ্রিল, ২০২৫ (বাসস) : গাজায় জিম্মি থাকা এক ইসরাইলি সৈন্যের মা তার ছেলের ফিরে আসার জন্য আকুল আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করেছেন, তিনি আশঙ্কা করছেন ভূখণ্ডে ইসরাইলের নতুন করে বোমাবর্ষণ তার জীবনকে আরো ঝুঁকির মধ্যে ফেলবে।

হেরুত নিমরোদি এএফপিকে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমাদের সন্তানরা বিপদের মধ্যে রয়েছে।’ ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর তারিখে যখন তার ছেলে তামিরকে গাজায় জিম্মি করা হয়, তখন তার বয়স ছিল মাত্র ১৮ বছর।

তিনি বলেন, ‘আমরা খুব বেশি কিছু জানি না, তবে একটি বিষয় নিশ্চিত যে গাজার ওপর সামরিক চাপ জিম্মিদের জন্য বিপদ ডেকে এনেছে।’

ইসরাইলের ওপর হামাসের নজিরবিহীন হামলার সময় আটক ২৫১ জন জিম্মির মধ্যে ৫৮ জন এখনো গাজায় বন্দি, ইসরাইলি সেনাবাহিনী বলেছে ওই বন্দিদের মধ্যে ৩৪ জন মারা গেছে।

১৯ জানুয়ারি থেকে ১৭ মার্চ পর্যন্ত চলা যুদ্ধবিরতির ফলে ফেরত আসা ৩৩ জন ইসরাইলি জিম্মির মধ্যে আটজন কফিন বন্দী। ইসরাইলের হাতে আটক প্রায় ১,৮০০ ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেওয়ার বিনিময়ে তারা ফিরে আসে।

কিন্তু যুদ্ধবিরতি কীভাবে বাড়ানো যায় তা নিয়ে হামাসের সাথে কয়েক সপ্তাহের মতবিরোধের পর, ১৮ মার্চ ইসরাইল গাজা উপত্যকায় ভারী বোমাবর্ষণ করে বৃহৎ আকারের সামরিক অভিযান পুনরায় শুরু করে।

নিমরোদি জানান, তার ছেলে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের বেসামরিক বিষয়গুলো তত্ত্বাবধানকারী ইসরাইলি সামরিক সংস্থা সিওজিএটি-এর একজন সৈনিক। তিনি তাকে ‘সুখী, কৌতূহলী, পরোপকারী ও সৃজনশীল’ বলে বর্ণনা করেন।

৭ অক্টোবর ভোর থেকে শুরু হওয়া হামাসের হাজার হাজার রকেট হামলা সম্পর্কে তামির তাকে একটি বার্তা পাঠাতে সক্ষম হয়েছিল।

তামিরকে ২০ মিনিট পরে আরো দুই সৈন্যের সাথে জিম্মি করা হয়। দুই মাস পরে গাজার অভ্যন্তরে ওই দুই সৈন্য নিহত হয়।

ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ও তার সরকার জোর দিয়ে বলছেন, জীবিত বা মৃত জিম্মিদের মুক্তি দিতে হামাসকে বাধ্য করার একমাত্র উপায় হলো সামরিক চাপ বৃদ্ধি। ইসরাইলে জিম্মিদের প্রত্যাবর্তনকে অগ্রাধিকার না দেওয়ার অভিযোগ করে নিমরোদি বলেন, দেড় বছর ধরে, তা কাজ করেনি। কাজ হয়েছে আলোচনা এবং চাপ (মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছ থেকে) সৃষ্টি।

বন্দী অবস্থায় ২০ বছর বয়সী তামির ২৪ জন জিম্মির মধ্যে একজন, যাদের জীবিত বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও তার অপহরণের পর থেকে জীবিত থাকার কোনো প্রমাণ পাঠানো হয়নি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
আগামী নির্বাচনকে সম্পূর্ণ কলঙ্কমুক্ত করতে হবে : উপদেষ্টা ফাওজুল কবির   
বাংলাদেশ-মালদ্বীপ প্রতিরক্ষা সহযোগিতা আরও জোরদারের অঙ্গীকার
ঝালকাঠিতে পুলিশ সুপার কাপ ফুটবলে ফাইনাল অনুষ্ঠিত
এক ম্যাচে ১৭ লাল কার্ড
সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি বাউল শিল্পী-সমর্থকদের 
আগামী নির্বাচনকে সম্পূর্ণ কলঙ্কমুক্ত করতে হবে : উপদেষ্টা ফাওজুল কবির   
১ উইকেট দূরে নাসুম
চট্টগ্রামে অবৈধ আর্টিসনাল ট্রলিং বোট, জাল ও সামুদ্রিক মাছসহ ১ জন আটক
ইস্তাম্বুলে বিক্ষোভ মামলায় তুরস্কে ৮৭ জনকে খালাস
ঝিনাইদহে সড়ক দুর্ঘটনায় একব্যক্তি নিহত
১০