ঢাকা, ২৫ এপ্রিল, ২০২৫ (বাসস) : যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট বুধবার বলেছেন, জাপানের সঙ্গে শুল্ক সংক্রান্ত আলোচনায় ওয়াশিংটনের ‘মুদ্রা সংক্রান্ত কোনো নির্দিষ্ট লক্ষ্য নেই’। যদিও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বারবার জোর দিয়ে ইয়েনের মূল্যবৃদ্ধির কথা বলেছেন।
ওয়াশিংটন, থেকে এএফপি জাপানি গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে জানায়, ১ মে ওয়াশিংটনে দ্বিতীয় দফা আলোচনা হবে, যা অন্য দেশগুলোর জন্যও শুল্ক ছাড় পাওয়ার বিষয়ে এক প্রকার মানদণ্ড হিসেবে দেখা হবে।
বেসেন্ট বলেন, জাপানের সঙ্গে আলোচনায় তারা শুল্ক, অ-শুল্ক বাণিজ্য বাধা, মুদ্রা নিয়ে কারসাজি এবং শ্রম ও মূলধনী বিনিয়োগে সরকারি ভর্তুকির বিষয়গুলো খতিয়ে দেখছেন।
তবে তিনি জোর দিয়ে বলেন, :মুদ্রা নিয়ে কোনো লক্ষ্যই নেই।'
জাপানের অর্থমন্ত্রী কাতসুনোবু কাতো জানিয়েছেন, তিনি বেসেন্টের সঙ্গে ওয়াশিংটনে আইএমএফ বৈঠকের ফাঁকে বৃহস্পতিবার মুদ্রাবিনিময় হার নিয়ে ঘনিষ্ঠভাবে আলোচনা করতে প্রস্তুত।
এক দুর্বল ইয়েন জাপানি রপ্তানিকে তুলনামূলকভাবে সস্তা করে তোলে, আর একটি শক্তিশালী ডলার যুক্তরাষ্ট্রের রপ্তানি প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ে।
ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের ঘোষণা আসার পর ইয়েনের মান উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে গেছে—মধ্য জানুয়ারিতে এটি প্রতি ডলারে ১৫৮ ইয়েন ছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র ও বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতি জাপানকে ১০ শতাংশের প্রাথমিক শুল্কহার আরোপের আওতায় আনা হয়েছে, যা অধিকাংশ দেশের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। পাশাপাশি গাড়ি, স্টিল ও অ্যালুমিনিয়ামের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।
ট্রাম্প জাপানের ওপর ‘পারস্পরিক’ ভিত্তিতে ২৪ শতাংশ হারে শুল্ক আরোপ করেছিলেন, তবে তা ৯০ দিনের জন্য স্থগিত রাখা হয়েছে—চীন ছাড়া অন্য সব দেশের ক্ষেত্রেই এই অবস্থা।
গত সপ্তাহে জাপানি দূত রিওসেই আকাজাওয়া ট্রাম্প ও যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। জাপানি গণমাধ্যম জানিয়েছে, তিনি আবার ১ মে আরেক দফা আলোচনার জন্য ওয়াশিংটন আসছেন।
জাপানের সম্প্রচারমাধ্যম এনএইচকে বৃহস্পতিবার অজ্ঞাত সূত্রের বরাতে জানিয়েছে, মার্কিন আলোচকরা বলছেন, ওয়াশিংটন জাপানের জন্য কোনো ব্যতিক্রম করতে পারবে না।
অন্য কিছু গণমাধ্যম জানিয়েছে, টোকিও যুক্তরাষ্ট্র থেকে চাল ও সয়াবিন আমদানি বাড়ানো এবং গাড়ির নিরাপত্তা বিধান শিথিল করার মতো কিছু ছাড়ের বিষয় বিবেচনায় নিচ্ছে।