ঢাকা, ২৮ এপ্রিল, ২০২৫ (বাসস) : ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান এবং আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভের মধ্যে বৈঠক দুই দেশের সম্পর্কে বরফ গলতে শুরু করবে।
ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান সোমবার বাকুতে এক বিরল সফরে আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভের সাথে দেখা করেছেন, যা প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে সম্পর্কের বরফ গলানোর সর্বশেষ লক্ষণ।
ইরানের চিরশত্রু ইসরাইলের সাথে বাকুর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক এবং ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে তেহরানে আজারবাইজান দূতাবাসে হামলার কারণে বছরের পর বছর ধরে উভয় দেশের মধ্যে উত্তেজনা চরমে রয়েছে।
গত সপ্তাহে পেজেশকিয়ান ‘সম্পর্ক মেরামতের’ বৃহত্তর প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক এবং সহযোগিতার ‘দ্রুত উন্নতির’ আশা প্রকাশ করেছিলেন।
ইরানি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক সম্প্রীতির লক্ষণ হিসেবে নভেম্বরে কাস্পিয়ান সাগরে ইরান ও আজারবাইজান দুই দিনের যৌথ নৌমহড়া করেছে।
কিন্তু তেহরান দীর্ঘদিন ধরেই উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে, বাকুর প্রধান অস্ত্র সরবরাহকারী ইসরাইল আজারবাইজানের ভূখণ্ড ব্যবহার করে ইরানের ওপর সম্ভাব্য আক্রমণ চালাতে পারে।
২০২৩ সালের জানুয়ারিতে দূতাবাসে হামলায় এক বন্দুকধারী আজারবাইজানি কূটনীতিককে হত্যা করে এবং দুই নিরাপত্তারক্ষীকে আহত করে। ইরান এই সহিংসতার নিন্দা জানালেও এটিকে ‘ব্যক্তিগত’ অভিযোগের জন্য দায়ী করে।
এরপর বাকু তেহরানে তাদের দূতাবাস বন্ধ করে দেয় এবং উভয় দেশই অন্যদের কূটনীতিকদের বহিষ্কারের নির্দেশ দেয়। কিন্তু ২০২৩ সালের শেষের দিকে ইরান আক্রমণকারীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার পর ২০২৪ সালের মাঝামাঝি সময়ে আজারবাইজানের দূতাবাস পুনরায় চালু হয়।
দুই দেশের মধ্যে বিরোধের আরেকটি বিষয় হল তথাকথিত জাঙ্গেজুর করিডোর, যা আজারবাইজান এবং তেহরানের ঐতিহাসিক প্রতিদ্বন্দ্বী তুরস্কের মধ্যে প্রস্তাবিত সরাসরি স্থল যোগাযোগ ব্যবস্থা।
তেহরান এই প্রকল্পের তীব্র বিরোধিতা করে, যা ইরানের আর্মেনিয়া সীমান্ত বরাবর পরিচালিত হবে।
তেহরান ঐতিহাসিকভাবে তার জাতিগত আজারবাইজানি সংখ্যালঘুদের মধ্যে বিচ্ছিন্নতাবাদী মনোভাব সম্পর্কে সতর্ক ছিল। যাদের সংখ্যা প্রায় ১ কোটি।