ঢাকা, ১৫ জুন, ২০২৫ (বাসস) : কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত রোববার বলেছেন থাই সীমান্ত বিরোধ সমাধানে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের কাছে সহায়তা চাওয়া হয়েছে। গত মাসে কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ডের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়।
নম পেন থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।
গত ২৮ মে কম্বোডিয়া, থাইল্যান্ড এবং লাওসের সীমান্তে এমারল্ড ট্রায়াঙ্গেল নামে পরিচিত একটি বিতর্কিত এলাকায় সৈন্যদের গুলিবিনিময়ে এক কম্বোডিয়ান সৈন্য নিহত হয়।
থাই এবং কম্বোডিয়ার সেনাবাহিনী উভয়ই বলেছে, তারা আত্মরক্ষার জন্য এ কাজ করেছে। তবে সংঘর্ষ এড়াতে তাদের সৈন্যদের নিজ নিজ অবস্থানে থাকতে সম্মত হয়েছে।
সাম্প্রতিক দিনগুলোতে থাইল্যান্ড কম্বোডিয়ার সাথে সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ কঠোর করেছে। অন্যদিকে কম্বোডিয়া শুক্রবার সেনাবাহিনীকে ‘পূর্ণ সতর্ক’ থাকার নির্দেশ দিয়েছে এবং টিভি ও সিনেমা থেকে থাই নাটক নিষিদ্ধ করেছে।
রোববার এক ফেসবুক পোস্টে হুন মানেত বলেন, ‘গত মাসের সংঘর্ষের স্থান এবং তিনটি প্রাচীন মন্দির - এই চারটি বিষয়ে সীমান্ত বিরোধের সমাধানের জন্য কম্বোডিয়া আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) একটি আনুষ্ঠানিক চিঠি জমা দিয়েছে।’
কম্বোডিয়ার নেতা বলেন, ‘কম্বোডিয়া আন্তর্জাতিক আইন এবং শান্তিতে বিশ্বাস করে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রতিবেশী দেশগুপলভর সাথে সীমান্ত সীমানা নির্ধারণ এবং সীমানা নির্ধারণে কম্বোডিয়ার কেবল ন্যায়বিচার, ন্যায্যতা এবং স্পষ্টতা প্রয়োজন, যাতে আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের একে অপরের সাথে সমস্যা না থাকে।’
হুন মানেত শুক্রবার বলেন, তার সরকার থাইল্যান্ডের কাছ থেকে শোনার জন্য অপেক্ষা করছে, তারা বিরোধটি আইসিজে-তে পাঠানোর জন্য কম্বোডিয়ার সাথে যোগ দেবে কিনা।
এই বিরোধটি বিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে ইন্দোচীনে ফরাসি দখলের সময় দেশগুলোর ৮০০ কিলোমিটার (৫০০ মাইল) সীমান্ত চিহ্নিত করার সময় থেকে শুরু হয়েছে।
কম্বোডিয়া পূর্বে একটি সীমান্ত মন্দির নিয়ে আঞ্চলিক বিরোধে আইসিজে-র সাহায্য চেয়েছে।
আদালত এ অঞ্চলটি কম্বোডিয়ার বলে রায় দিয়েছে, কিন্তু থাইল্যান্ড বলেছে তারা আদালতের রায় মানেন না।
২০০৮ সাল থেকে এই বিরোধের ফলে সৃষ্ট সহিংসতায় এ অঞ্চলে ২৮ জন নিহত হয়েছে।
সীমান্ত বিরোধ নিয়ে শনিবার নমপেনে দুই দেশের কর্মকর্তারা বৈঠক করেছেন এবং থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে বৈঠকে ‘পারস্পরিক সমঝোতা তৈরিতে অগ্রগতি হয়েছে।
রোববার আরো বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।