জ্বালানি সংকটে গাজায় স্বাস্থ্যব্যবস্থা ভেঙে পড়ার মুখে : ডব্লিউএইচও

বাসস
প্রকাশ: ১৭ জুন ২০২৫, ২২:০২

ঢাকা, ১৭ জুন, ২০২৫ (বাসস) : বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গাজা উপত্যকার হাসপাতালগুলো জ্বালানির সংকটে চূড়ান্ত বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। অবিলম্বে সেখানে জ্বালানি প্রবেশের অনুমতি না দেওয়া হলে স্বাস্থ্যব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়বে। 

গাজায় বিদ্যুৎ সরবরাহ নেই। তাই জেনারেটরের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য জ্বালানি অপরিহার্য।

জেনেভা থেকে এএফপি জানায়, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ডব্লিউএইচও’র প্রতিনিধি রিক পিপারকর্ন বলেন, গত একশ’ দিনেরও বেশি সময় ধরে গাজায় কোনো জ্বালানি প্রবেশ করেনি এবং খালি করা অঞ্চলগুলো থেকে মজুদ সংগ্রহের সব চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।

তিনি বলেন, চরম সরবরাহ সংকট গাজার স্বাস্থ্যব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়ার দ্বারপ্রান্তে নিয়ে এসেছে।

ডব্লিউএইচও জানায়, গাজার মোট ৩৬টি হাসপাতালের মধ্যে মাত্র ১৭টি বর্তমানে সীমিত বা আংশিকভাবে কার্যকর রয়েছে। এসব হাসপাতালে এখন মাত্র দেড় হাজার শয্যা রয়েছে, যা সংঘাত শুরুর আগের তুলনায় প্রায় ৪৫ শতাংশ কম।

তিনি জানান, উত্তর গাজার সব হাসপাতাল ও প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র এখন সম্পূর্ণরূপে অকার্যকর।

দক্ষিণ গাজার রাফাহ এলাকায় বর্তমানে শুধু রেড ক্রসের একটি ফিল্ড হাসপাতাল এবং দুটি আংশিকভাবে চালু চিকিৎসা কেন্দ্র থেকেই সীমিত পরিসরে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হচ্ছে।

জেরুজালেম থেকে এক ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে পিপারকর্ন আরও বলেন, আংশিকভাবে চালু ১৭টি হাসপাতাল ও সাতটি ফিল্ড হাসপাতাল ন্যূনতম পরিমাণে জ্বালানি দিয়ে কোনোমতে চালু রাখা হয়েছে এবং খুব শিগগিরই তাদের মজুদ শেষ হয়ে যাবে।

তিনি সতর্ক করে বলেন, জ্বালানি ছাড়া স্বাস্থ্যসেবার সব পর্যায়ই বন্ধ হয়ে যাবে। যার ফলে আরও বহু প্রতিরোধযোগ্য মৃত্যু ও দুর্ভোগ দেখা দেবে।

হাসপাতালগুলোতে এখন ভেন্টিলেটর, ডায়ালাইসিস মেশিন ও ইনকিউবেটর চালু রাখতে জেনারেটর ও ব্যাটারি  ব্যবহার করা হচ্ছে। কিন্তু জ্বালানি না থাকলে অ্যাম্বুলেন্স চলবে না, ওষুধ বা চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহও সম্ভব হবে না।

তিনি আরও জানান, ফিল্ড হাসপাতালগুলো সম্পূর্ণভাবে জেনারেটরের ওপর নির্ভরশীল এবং বিদ্যুৎ না থাকলে টিকা কার্যকর রাখতে নির্দিষ্ট তাপমাত্রা (ঠান্ডা অবস্থা) বজায় রাখা যাবে না।

হামাস-নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরাইলি কামলায় এখন পর্যন্ত গাজায় মোট ৫৫ হাজার ৪৯৩ জন নিহত হয়েছেন। যাদের বেশীরভাগ নারী ও শিশু। 
 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
ছয় মাসের মধ্যে ন্যাশনাল ডেটা সেন্টার ও ডিজাস্টার রিকভারি সেন্টার সম্প্রসারণ হবে : ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব
বিশ্ব মশা দিবসে র‌্যালি ও আলোচনা অনুষ্ঠান করেছে ডিএনসিসি
ডাকসুর ২৮ পদে ৫০৯টি ও হল সংসদে ১ হাজার ১০৯টি মনোনয়নপত্র জমা
রংপুরে দ্রুত বিভাগীয় স্টেডিয়ামের কাজ শুরু হবে: যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা
বিএনপি চেয়ারপার্সনের বিশেষ সহকারী শিমুল বিশ্বাস হাসপাতালে 
রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল ও কুমিল্লায় দুদকের অভিযান
নির্বাচনে ছাত্রদের স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে নিয়োগসহ ৯ দফা প্রস্তাব এবি পার্টির
জুলাই সনদ নিয়ে মতামত জমা দিয়েছে বিএনপি
হবিগঞ্জে বিজিবির অভিযান : সোয়া ১ কোটি টাকার ভারতীয় চোরাইপণ্য জব্দ
পিরোজপুরে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মানববন্ধন অনুষ্ঠিত
১০