ঢাকা, ২০ আগস্ট, ২০২৫ (বাসস) : সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মঙ্গলবার প্যারিসে ইসরাইলি কূটনৈতিক প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করে ‘সিরিয়ার অভ্যন্তরীণ বিষয়ে উত্তেজনা হ্রাস ও হস্তক্ষেপ না করার’ বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সানা এ তথ্য জানিয়েছে।
সংস্থাটি জানিয়েছে যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ধারাবাহিক আলোচনার সর্বশেষ ফলাফলে এই অঞ্চলে স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য একটি সমঝোতা হয়েছে।
দামেস্ক থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, ওয়াশিংটন সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে সিরিয়া ও লেবাননের নিরাপত্তা সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছে।
ওয়াশিংটনের মিত্র ইসরাইল বলেছে যে, দেশটিতে এই নিরাপত্তা জনিত সমস্যা সামরিক পদক্ষেপ নিতে প্ররোচিত করেছে।
গত নভেম্বরে যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও, ইসরাইল লেবাননে ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীর লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানা অব্যাহত রেখেছে।
গত বছর স্বৈরশাসক বাশার আল-আসাদের পতনের পর থেকে ইসরাইল সিরিয়া জুড়ে বিভিন্ন অঞ্চল দখল করেছে এবং দেশটির বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে।
জুলাইয়ের শেষের দিকে বাকুতে সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদ আল-শাইবানি ও ইসরাইলি কৌশলগত বিষয়ক মন্ত্রী রন ডার্মারের মধ্যে বৈঠকের পর মঙ্গলবার প্যারিসে এই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হলো। এর আগে প্যারিসে দু’পক্ষের মধ্যে আরো একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
১৯৪৮ সাল থেকে ইসরাইল ও সিরিয়া যুদ্ধে লিপ্ত রয়েছে এবং আলোচনায় ১৯৭৪ সালের একটি বিচ্ছিন্নতা চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করার বিষয়েও আলোচনা করা হয়েছে, যা দুই দেশের মধ্যে একটি বাফার জোন তৈরি করেছে।
সানা জানায়, ‘সিরিয়ায় নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি এবং এর ভূখণ্ডের ঐক্য ও অখণ্ডতা রক্ষার লক্ষ্যে কূটনৈতিক প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে মার্কিন মধ্যস্থতায় এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।’
দক্ষিণ সিরিয়ার সুয়েইদা প্রদেশে জুলাই মাসে দ্রুজ সম্প্রদায়ের সঙ্গে সুন্নি বেদুইন সম্প্রদায়ের মারাত্মক সংঘর্ষ হয়। এই সংঘর্ষে বহু হতাহতের ঘটনা ঘটে, যার মধ্যে ১ হাজার ৪শ’ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে, দুই দেশের মধ্যে শান্তি আলোচনা শুরু হয়েছে, যা এই অঞ্চলের জন্য একটি ইতিবাচক দিক।
এই সংঘর্ষে প্রথম স্থানীয় দ্রুজ যোদ্ধা ও সুন্নি বেদুইন উপজাতিদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়েছিল। কিন্তু শীঘ্রই সিরিয়ার সরকারি বাহিনী ও ইসরাইলও এতে জড়িয়ে পড়ে।
ইসরাইল জানায়, তারা দ্রুজদের রক্ষা করার জন্য এই পদক্ষেপ নিয়েছে।
গত মাসে, ইসরাইল সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ ও দামেস্কে সেনা সদর দপ্তরে হামলা চালায়।
ইসরায়েলের মিত্র কিন্তু সিরিয়ার নতুন নেতাদের প্রতি সমর্থন প্রকাশকারী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ১৮ জুলাই রাতে উভয় পক্ষের মধ্যে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে।