ঢাকা, ২০ আগস্ট, ২০২৫ (বাসস) : সুদানের যুদ্ধবিধ্বস্ত দারফুর অঞ্চলে একটি হাসপাতালে সশস্ত্র হামলায় একজন নিহত হয়েছে।
দাতব্য চিকিৎসা সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডার্সের (এমএসএফ) বরাত দিয়ে বুধবার খার্তুম থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে।
সংস্থাটি তাদের কার্যক্রম স্থগিত করতে বাধ্য হয়েছে উল্লেখ করে জানায়, গত সপ্তাহে এক হামলায় পাঁচ জন আহত হন। এদের মধ্যে এমএসএফ-এর একজন স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন।
জাতিসংঘের জানিয়েছে, ২০২৩ সালের এপ্রিলে সুদানের নিয়মিত সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ১২০ জনেরও বেশি সাহায্য কর্মী নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার জাতিসংঘের মানবিক সমন্বয়কারী লুকা রেন্ডা বলেছেন, ‘সুদানে মানবিক সংকট নজিরবিহীন পর্যায়ে পৌঁছেছে। তবুও আমাদের সম্মুখ সারির সাহায্য কর্মী, যারা সাহায্যের জন্য এগিয়ে এসেছেন তাদের ওপর আক্রমণ, আটক ও হয়রানি, এমনকি তাদের হত্যা করা হচ্ছে।’
সেন্ট্রাল দারফুর রাজ্যের রাজধানী জালিংগের ওই হাসপাতালে গুলিবিদ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক ব্যক্তি মারা গেলে তার সশস্ত্র আত্মীয়রা সেখানে হামলা চালালে অন্যান্য সশস্ত্র ব্যক্তিদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়।
জরুরি কক্ষের সামনে একটি হাতবোমা বিস্ফোরণ ঘটে, যার ফলে হতাহতের ঘটনা ঘটে।
হাসপাতালটি ছিল এলাকার প্রায় পাঁচ লাখ জনসংখ্যার একমাত্র রেফারেল হাসপাতাল। এলাকাটির স্থানীয়দের মধ্যে মারাত্মক কলেরার প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে।
সুদানের ডাক্তার ইউনিয়নের মতে, যুদ্ধের সময় দেশের ৯০ শতাংশ হাসপাতাল কোনও না কোনও সময়ে বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছে।
অনেক হাসপাতালে বারবার বোমা হামলা হয়েছে।
ডাক্তারদের ওপর হামলা হয়েছে এবং বন্দুকের মুখে যোদ্ধাদের অস্ত্রোপচার করতে বাধ্য করা হয়েছে।
সুদানের প্রায় আড়াই কোটি মানুষ ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের মুখে রয়েছে। কয়েক লাখ মানুষ জীবন রক্ষাকারী মৌলিক চাহিদা থেকেও বঞ্চিত।