ঢাকা, ২০ আগস্ট, ২০২৫ (বাসস): ইরান বুধবার জানিয়েছে যে তারা ইসরাইলি যেকোনো নতুন আক্রমণের জন্য প্রস্তুত। তারা ঘোষণা করেছে যে তাদের নতুনভাবে উন্নত ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে যা সাম্প্রতিক ১২ দিনের যুদ্ধে ব্যবহৃত ক্ষেপণাস্ত্রের চেয়ে অনেক শক্তিশালী।
তেহরান থেকে এএফপি।
সরকারি আইআরএনএ সংবাদ সংস্থা জানায়, ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী আজিজ নাসিরজাদেহ বলেছেন, ১২ দিনের যুদ্ধে ব্যবহৃত ক্ষেপণাস্ত্রগুলো কয়েক বছর আগে নির্মিত হয়েছিল। আজ আমরা পূর্বের ক্ষেপণাস্ত্রের চেয়ে অনেক বেশি ক্ষমতাসম্পন্ন ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করেছি। যদি জায়নবাদী শত্রু আবার কোনো অ্যাডভেঞ্চারে অংশ নেয়, তাহলে আমরা অবশ্যই সেগুলো ব্যবহার করব।
জুনের মাঝামাঝি সময়ে, ইসরাইল ইরানের বিরুদ্ধে বোমা হামলা শুরু করে, যার ফলে যুদ্ধ শুরু হয় এবং ইরান ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার মাধ্যমে পাল্টা আক্রমণ চালায়।
ইসরাইলের আক্রমণে জ্যেষ্ঠ সামরিক কমান্ডার, পারমাণবিক বিজ্ঞানী এবং শত শত অন্যান্য ব্যক্তি নিহত হয়। তারা সামরিক স্থাপনা এবং আবাসিক এলাকা উভয়ই স্থানেই আঘাত হানে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলা চালিয়ে যুদ্ধে সংক্ষিপ্তভাবে যোগ দেয়।
২৪ জুন থেকে ইরান ও ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর রয়েছে।
ইরানের কর্মকর্তারা সতর্ক করেছেন যে, যেকোনো মুহূর্তে নতুন লড়াই শুরু হতে পারে। তবে তেহরান যুদ্ধ চায় না।
কিন্তু লড়াই শুরু হলে তা মোবিলার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
সোমবার প্রথম উপ-রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ রেজা আরেফও বলেছেন, ইরানকে প্রত্যেক মুহূর্তে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা যুদ্ধবিরতিতে নেই, আমরা শত্রুতা বন্ধের অবস্থায় রয়েছি।
ইরানি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সেনাবাহিনী বৃহস্পতিবার থেকে দুই দিনের সামরিক মহড়া শুরু করবে, যেখানে শর্ট ও মিডিয়াম-রেঞ্জ ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র প্রদর্শন করা হবে।
পশ্চিমা সরকারগুলো বারবার ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এটিকে আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে দেখছে।
জুলাইয়ে ফ্রান্স তেহরানের সঙ্গে ‘ব্যাপক চুক্তি’ করার আহ্বান জানিয়েছিল যা শুধুমাত্র পারমাণবিক কর্মসূচি নয়, ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি এবং তার আঞ্চলিক উচ্চাকাঙ্ক্ষাকেও অন্তর্ভুক্ত করবে।
ইরান জোর দিয়ে বলেছে যে তাদের সামরিক ক্ষমতা কোনো আলোচনার বিষয় নয়।