
ঢাকা, ২০ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু গতকাল বুধবার সিরিয়ার ভেতরে একটি বাফার জোনে মোতায়েন ইসরাইলি সেনাদেও সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
সেখানে ইসরাইলি সেনাদের উপস্থিতিকে দেশের নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন নেতানিয়াহু। অন্যদিকে এ সফরকে কেন্দ্র করে জাতিসংঘ এবং অনেক দেশ তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।
জেরুজালেম থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।
গত বছরের ডিসেম্বরে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পরপরই জাতিসংঘ পর্যবেক্ষিত বাফার জোনে দ্রুত সেনা পাঠায় ইসরাইল। এটি ১৯৭৪ সাল থেকে গোলান মালভূমিতে ইসরাইলি ও সিরীয় বাহিনীকে পৃথক করে রেখেছে।
নেতানিয়াহু ওই জোনের একটি সামরিক ঘাঁটি পরিদর্শন করেন। জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এ সফরকে ‘উদ্বেগজনক’ আখ্যায়িত করেছেন। তুরস্ক, ইরান, জর্ডান ও আলজেরিয়াসহ আরো কয়েকটি দেশ এ সফরের নিন্দা জানিয়েছে।
সফর নিয়ে প্রকাশিত এক ভিডিওতে নেতানিয়াহু সেনাদের উদ্দেশে বলেন, আমরা এখানে আমাদের প্রতিরক্ষামূলক ও আক্রমণাত্মক উভয় ক্ষেত্রেই সক্ষমতাকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মনে করি। তারা ইসরাইল রাষ্ট্র ও এর উত্তর সীমান্তকে সুরক্ষিত করছে।
সিরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে সফরকে ‘অবৈধ’ আখ্যা দিয়ে তীব্র নিন্দা জানায় এবং এটিকে সিরিয়ার সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখণ্ডতার গুরুতর লঙ্ঘন হিসেবে উল্লেখ করেছে। তারা ইসরাইলের সেনাদের অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানায় এবং এ সফর নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবের লঙ্ঘন বলেও উল্লেখ করেছে।
সফরকালে নেতানিয়াহুর সঙ্গে ছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাৎজ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদিওন সার, সেনাপ্রধান এয়াল জামির, শিন বেত নিরাপত্তা সংস্থার পরিচালক ডেভিড জিনি এবং যুক্তরাষ্ট্রে ইসরাইলের রাষ্ট্রদূত ইয়েচিয়েল লেইটার।
১৯৬৭ সালে আরব-ইসরাইল যুদ্ধের সময় ইসরাইল সিরিয়ার কাছ থেকে গোলান মালভূমি দখল করে এবং পরে তা নিজ ভূখণ্ডে সংযুক্ত করে নেয়। তবে, ইসরাইলের এ পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বেশিরভাগই স্বীকৃতি দেয়নি।