
ঢাকা, ২৪ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমার কন্যা দুদুজিলে জুমা-সাম্বুডলার বিরুদ্ধে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চলমান যুদ্ধে রুশ ভাড়াটে বাহিনীর জন্য দক্ষিণ আফ্রিকান নাগরিকদের নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
এই ব্যক্তিদেরকে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে রুশ বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগে বলা হয়েছে। দেশটির পুলিশ এই অভিযোগের তদন্ত করছে। খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র।
পুলিশ রোববার জানিয়েছে, জুমা-সাম্বুডলার এক বোন হলপনামায় অভিযোগ এনে আনুষ্ঠানিক তদন্তের অনুরোধ করায়, এই তদন্ত শুরু হয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়েছে, জুমা-সাম্বুডলা ও আরও দুজনকে ১৭ জন দক্ষিণ আফ্রিকানকে রাশিয়ার ভাড়াটে বাহিনীতে পাঠানোর জন্য নিয়োগ করা হয়েছিল।
এ সব ব্যক্তিকে চলতি নভেম্বরের শুরুতে ইউক্রেনের যুদ্ধবিধ্বস্ত দোনবাস অঞ্চল থেকে উদ্ধার করার অনুরোধ জানানো হয়েছিল বলে প্রেসিডেন্সি জানিয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়, ওই ১৭ জন ব্যক্তিকে ভুয়া প্রতিশ্রুতির ফাঁদে ফেলে রাশিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয় এবং এই ব্যক্তিদের অজান্তে একটি রুশ ভাড়াটে গোষ্ঠীর হাতে তাদেরকে তুলে দেওয়া হয়, যাতে তারা ইউক্রেনের যুদ্ধে অংশ নিতে পারে।
পুলিশ জানায়, মামলাটি রাষ্ট্রবিরোধী অপরাধ তদন্তকারী বিশেষ ইউনিটে পাঠানো হয়েছে।
এই বিশেষ ইউনিটই এখন বিষয়টি খতিয়ে দেখে সম্ভাব্য অভিযোগ নির্ধারণ করবে।
চলতি মাসের শুরুতে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্সি জানায় যে ওই ১৭ জন দক্ষিণ আফ্রিকান দোনবাসে ‘অবরুদ্ধ’ হয়ে পড়েছেন। তাদের সেখানে লাভজনক চাকরির প্রলোভন দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
২০২২ সালে রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের মাধ্যমে শুরু হওয়া যুদ্ধে দুই পক্ষেই বিভিন্ন আফ্রিকান দেশ থেকে ভাড়াটে যোদ্ধাদের সংগ্রহ করেছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ১৭ জনকে নিরাপত্তা প্রশিক্ষণের জন্য রাশিয়ায় পাঠিয়েছিল দেশটির বিরোধী দল এমকে পার্টি, যার নেতৃত্বে রয়েছেন জুমার কন্যা।
জুমা ২০০৯ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট ছিলেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার আইনে সরকারি অনুমতি ছাড়া বিদেশি সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়া নিষিদ্ধ।