জুলাইকে আমাদের বাঁচিয়ে রাখতে হবে : নিহা 

বাসস
প্রকাশ: ২৮ জুলাই ২০২৫, ১২:৫০
নিশিতা জামান নিহা। ছবি: সংগৃহীত

॥ মাহমুদুর রহমান নাযীদ ॥

ঢাকা, ২৮ জুলাই, ২০২৫ (বাসস) : ২০২৪ সালের জুলাইয়ের ছাত্র অভ্যুত্থানে যারা সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তাদের মধ্যে অন্যতম নিশিতা জামান নিহা। 

‘জুলাই আমাকে শিখিয়েছে মাথা তুলে দাঁড়াতে হয় কীভাবে’- এমন দৃপ্ত উচ্চারণে ২০২৪ সালের ছাত্র গণঅভ্যুত্থানে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন নিশিতা জামান নিহা। 

‘আমরা শুধু প্রতিবাদ করিনি, ভবিষ্যতের জন্য রাস্তাও দেখিয়েছি’- এই বিশ্বাস থেকে শুরু করে ‘জুলাই আমাদের বিবেকের প্রতীক, তাকে রক্ষা করতেই হবে’ এমন অঙ্গীকারে ফুটে ওঠে এক সাহসী নারীর রাজনৈতিক জাগরণ।

বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলের আবাসিক এই শিক্ষার্থী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের ছাত্রী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের একজন ছাত্র প্রতিনিধি এবং বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার স্থায়ী বাসিন্দা নিশিতা জামান নিহার বাবা মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান একজন ব্যাবসায়ী এবং মা আফরোজা জামান একজন শিক্ষিত গৃহিণী। পরিবারের অগ্রগামী মূল্যবোধ এবং সমাজ সচেতন মনোভাব থেকেই নিহার মধ্যে জন্ম নেয় প্রতিবাদী চেতনা ও নেতৃত্বের আত্মবিশ্বাস। 

সম্প্রতি তিনি জাতীয় বার্তা সংস্থা (বাসস) এর সাথে সাক্ষাৎকারে জুলাই আন্দোলনের স্মতিচারণ করেছেন।

বাসস : জুলাই আন্দোলনের ১ বছর পূর্ণ হলো, ওই সংগ্রামের সময় গুলো এখনো অনুভব করেন কি?

নিশিতা জামান নিহা : জুলাই আন্দোলনের দিনগুলো আমি কখনো ভুলতে পারিনি কারণ আন্দোলনের সময় যে ব্যাপারগুলো ছিলো সেটি শুধু আমার জীবনের জন্য নয়, আমার দেশের জন্যও খুব খারাপ একটা সময় ছিলো। 

আন্দোলনের সময় যে এতোগুলো মানুষের প্রাণ গেলো, যারা চোখ হারিয়েছেন, হাত হারিয়েছেন, পা হারিয়েছে আমি যখন ওইগুলো দেখি আমি এখনো তা ভুলতে পারিনি।

আমার চোখের সামনে তাদের চেহারা ভেসে উঠে। তাদের আকুতি আর্তচিৎকার গুলো আমার কানে বাজে। 

এখন জুলাইয়ে ১ বছর হলেও আমার মনে হয়েছে আমাদের প্রত্যাশা বেশি পূরণ হয়নি। এক জুলাই থেকে আরেক জুলাই আসলেও যে কাজগুলো হওয়ার কথা ছিলো সেগুলো হয় নি। নতুন বাংলাদেশের যে স্বপ্নগুলো দেখেছিলাম যেগুলো পূরণ না হওয়ায় হতাশাও কাজ করে।

বাসস : আপনি ছাত্র রাজনীতিতে আসলেন কীভাবে? 

নিশিতা জামান নিহা : আমি ক্যাম্পাসে প্রথম বর্ষ থেকে ছাত্র রাজনীতিতে যুক্ত হই । আমার প্রথম অ্যাক্টিভিজম ছিলো ‘নিরাপদ সড়ক আন্দোলন’। নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের আগে থেকে আমি বিভিন্ন রাজনৈতিক  কর্মশালা ও সেমিনারে অংশগ্রহণ করতাম। তারপর আমাদের পাঠচক্রের প্রথম দিকের সদস্য ছিলাম। 

বাসস : আপনি কোটা আন্দোলনে যুক্ত হলেন কীভাবে? 

নিশিতা জামান নিহা : কোটা আন্দোলনটা প্রথমে শুরু হয়েছিলো আমাদের সেন্ট্রাল লাইব্রেরি থেকে, যখন বিশাল মিছিল হয় তারপর আমাদের এখানে একটা ফেসবুক গ্রুপ খোলা হয়। যার নাম ‘কোটা পুনর্বহাল চাই না ‘ওই গ্রুপের আমি এডমিন ছিলাম। ওইখান থেকে আমার কোটা আন্দোলনের সাথে যুক্ত হওয়া। তারপর সমন্বয়ক দুই কমিটিতে আমি ছিলাম।

বাসস : আন্দোলনে আপনার ভূমিকা কি কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক হিসাবে ছিলো ?

নিশিতা জামান নিহা: আমার মূল দায়িত্ব ছিলো আমার হলের মেয়েদের সবাইকে একত্রিত করা এবং তাদের নিয়ে মিছিলে যাওয়া। প্রথমে মেয়েরা ভালোভাবে আমাদের সাথে যুক্ত হয়নি কিন্তু একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর তারা আমাদের সাথে ভালোভাবে যুক্ত হয়। প্রথমদিকে আমাদের পাঁচ হলের মেয়েদের নিয়ে একটা মেসেঞ্জার গ্রুপ খুলি যেখানে আমরা সিদ্ধান্ত নিতাম যে, কখন কীভাবে আমরা একত্রিত হবো, কীভাবে মিছিলে যাবো। 

আমরা আমাদের সিদ্ধান্তগুলো গ্রুপের ১৫ জন মিলে নিতাম। আমরা হল থেকে মিছিলে যাওয়ার আগে থালা বাটি বাজিয়ে সবাইকে ডেকে এক জায়গায় করতাম। আমাদের হল ক্যাম্পাসের বাইরে হওয়ায় আমরা সবাই একসাথে দলবদ্ধ হয়ে সেন্টাল লাইব্রেরিতে যেতাম। আমাদের মেয়েদের ব্যাপারগুলোর সিদ্ধান্ত গ্রহণের জায়গায় আমি ছিলাম।

বাসস: আন্দোলন আপনার হলের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ কেমন ছিলো? 

নিশিতা জামান নিহা: আসলে বিগত সব আন্দোলনের থেকে আমাদের এই আন্দোলনে মেয়েদের অনেক বেশি অংশগ্রহণ ছিলো। আমাদের হলের অনেক আপুরা নানা কাজে ব্যাস্ত থাকলেও তারা আমাদের সাথে অংশগ্রহণ করতো। কেউ টিউশন শেষ করে আমাদের সাথে যুক্ত হতো বা কেউ নিজের গুরুত্বপূর্ণ কাজ শেষ করে আমাদের সাথে আসতো। আসলে সবার নিজের মন থেকেই আমাদের সাথে যুক্ত হতো, কারণ হলো এটা আমাদের জীবনের সাথে বিশেষ ভাবে যুক্ত। তাই শুরু থেকেই মেয়েদের অংশগ্রহণ ছিলো অনেক বেশি। 

বাসস : ১৪ জুলাই রাতে শিক্ষার্থীদের রাজাকার আখ্যায়িত করেছিলো তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী, ওইদিন রাতে আপনারা কি করে প্রতিবাদ মিছিল করেছিলেন?

নিশিতা জামান নিহা: তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বক্তব্যটি দেওয়ার পর থেকেই সবার মনে একটা গুঞ্জন তৈরি হয়েছিলো যে উনি কীভাবে প্রধানমন্ত্রী হয়ে এমন একটা বক্তব্য দেন।

ওই দিন রাত্রের দিকে ছেলেদের হলে একটা স্লোগান দেওয়া হয় যে- 

‘তুমি কে আমি কে? রাজাকার রাজাকার, কে বলেছে, কে বলেছে? স্বৈরাচার স্বৈরাচার।’

তখন আমরা ভাবলাম যে সেই জায়গায় থেকে আমরা প্রতিবাদ করতে পারি। প্রথমে আমরা কয়েকজন মিলে হলের নিচে এসে স্লোগান দিতে থাকি ঠিক সেই সময় হলের প্রতিটি রুম থেকে মেয়েরা নেমে এসে আমাদের সাথে যোগ দেয়। তারপর আমরা হলের প্রধান ফটকের তালা ভেঙে মিছিল নিয়ে রাজুতে যাই।

বাসস : ১৪ জুলাইয়ের রাতের মিছিলের পর আপনার কি আশংকা করেছিলেন যে ছাত্রলীগ আপনারদের উপর হামলা করতে পারে ?

নিশিতা জামান নিহা : জি, ১৪ জুলাইয়ের মিছিলের পর থেকেই একটা গুঞ্জন উঠে ছাত্রলীগ আমাদের উপর যেকোন সময় হামলা করতে পারে। আমরা যখন মিছিলে যাই তখন আমরা দেখতে পাই ছাত্রলীগের কিছু বহিরাগতরা আমাদের ক্যাম্পাসে অবস্থান করছে। তখন আমরা কিছুটা অনুমান করতে পারি যে তারা হামলা করবে। তাছাড়াও ক্যাম্পাসের বিভিন্ন পয়েন্টে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য মোতায়েন ছিলো। 

পরের দিন ১৫ জুলাই দুপুরের দিকে আমরা শুনতে পাই ইডেন কলেজের মেয়েদের উপর ছাত্রলীগের কর্মীরা গরম পানি নিক্ষেপ করেছে, তারপর আমরা এগুলো দেখে আর বসে থাকতে পারি নি। আমরা হলের গুটিকয়েক মেয়ে ইডেন কলেজে গেলে আমরা দেখতে পাই ঢাকা কলেজের ভাইয়েদের সহায়তায় উনাদের উদ্ধার করা হয়েছে। এই সব ঘটনা গুলো আমাদের কাছে খুবই বেদনাদায়ক ছিলো। ক্যাম্পাসে যে আমাদের উপর ছাত্রলীগের হামলা হয় যেখানে আমাদের হলের এক মেয়ের হাত মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগস্থ হয়।

আমার মনে হয় আমার উপর এই দায়টা যায় কারণ আমি যখন তার খোঁজ খবর নিতে যাই তখন সেই বলে আমার হাতটা এখনো ঠিকভাবে কাজ করছে না, আমি পরীক্ষায় ঠিক করে লিখতে পারি না। 

বাসস: ১৭ জুলাই থেকে হল বন্ধ হয়েছিলো তখন আপনারা সবাই বিছিন্ন হয়ে গেলেন কিন্তু পরে আবার কীভাবে এক হয়ে আন্দোলন করেছিলেন? 

নিশিতা জামান নিহা : আমরা আমাদের হল’কে যানতাম আমাদের একটা নিরাপদ আশ্রয় হিসাবে কিন্তু যখন আমাদের হল থেকে বলা হলো গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎ অফ করে দেওয়া হবে এবং সেকোন সময় যে কোন কিছু ঘটতে পারে তোমরা যদি থাকতে চাও থাকতে পারো। তখন আমাদের অনেক মেয়ে ভীতিকর অবস্থায় পড়ে এবং কান্নাকাটি করে দেয়। তারপর সবাই সবার মতো চলে যায় কারণ আমাদের হল প্রভোস্ট, হাউজ টিউটর যখন এইসব কথা বলে তাতে আমাদের আর কিছুই করার ছিলো না। আমরা তখন আমাদের যে মেসেঞ্জার গ্রুপ ছিলো সেটাতে আমরা কথা বলতাম কীভাবে কি করা যায় এগুলো নিয়ে। 

বাসস: অন্যান্য সমন্বয়কদের সাথে কীভাবে যোগাযোগ করে আন্দোলনে সমন্বয় করতেন? 

নিশিতা জামান নিহা : অবশ্যই, উনাদের সাথে আমাদের যোগাযোগ হতো নিয়মিত যতদিন ক্যাম্পাস খোলা ছিলো। পরবর্তীতে ক্যাম্পাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর আমাদের মোবাইলগুলো গোয়েন্দা নজরদারিতে ছিলো। 

তখন আমাদের যোগাযোগ করাটা ছিলো খুবই বিপদজনক। তারপরও নাহিদ ইসলাম ভাই অন্য একটা ফোন দিয়ে আমার খোঁজ খবর নেয় এবং অন্যদেরও খবর নেয়। 

বাসস: ইন্টারনেট বন্ধ থাকার সময় কীভাবে আপনারা যোগাযোগ করেছিলেন? 

নিশিতা জামান নিহা : আমি তখন আমার গ্রামের বাড়িতে ছিলাম। তখন টুকটাক মোবাইলে কথা হতো। 

অনেকে বাটন ফোনে যোগাযোগ করেছিলো। আসলে এর বাইরে আর কিছু করার সুযোগ ছিলো না আমাদের কাছে। 

বাসস: আপনি ব্যক্তিগত ভাবে বা আপনার পরিবার কোন হুমকির মুখে ছিলেন কিনা? 

নিশিতা জামান নিহা : ক্যাম্পাস বন্ধ হওয়ার আগে ছাত্রলীগের এক নেত্রী আমার সব তথ্য সংগ্রহ করে ডিবেটিং ক্লাবের একজন আপুর থেকে, তারপর আমি গ্রামের বাসায় যাওয়ার পর স্থানীয় ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ থেকে টুকটাক হুমকি আসতো। স্থানীয় থানায় আমার সব তথ্য উনাদের কাছে ছিলো এবং তাদের উপর দায়িত্ব ছিলো যাতে আমার ব্যাপারটা তদন্ত করে দেখে। তারপর পুলিশ আমার কাছে আসে এবং খোঁজ-খবর নেয়। তারা আমার পরবর্তী কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চায়। পুলিশ আমাকে সরাসরি বলে যে তুমি কি করছো না করছো সব আমরা দেখছি, তোমার মোবাইল থেকে পরিবার সব আমাদের নজরে আছে। এরপর যদি তুমি কিছু করো আজকে শুধু বলে গেলাম এরপর আর কিছু করার থাকবে না।

বাসস : আন্দোলনে আপনাদের শিক্ষকদের ভূমিকা বা সমর্থন কেমন ছিলো? 

নিশিতা জামান নিহা : একটি নিদিষ্ট সময় পর্যন্ত শিক্ষকদের কোন ভূমিকা আমি দেখতে পাইনি, আমাদের উপর যখন হামলা হলো তখন আমার বিভাগের দুই-একজন শিক্ষক আমাকে কল দিয়ে খোঁজ খবর নেয়। 

তারপর যখন হল বন্ধ করে দেওয়া হয় তখন একজন শিক্ষক আমার কল করে বলে যে তোমার যদি কোন থাকার সমস্যা হয় তাহলে আমার বাসায় চলে আসো। 

১৫ তারিখ রাত্রে আমরা হল থেকে প্রভোস্ট বরাবর একটা দরখাস্ত দেই যে, আমাদের হলকে রাজনীতি মুক্ত করতে হবে। সেই ঘোষণা আমরা ১৫ তারিখ রাত্রে এ নিয়ে নেই।

হলের ছাত্রলীগের যারা ছিলো তার যখন দেখলো রোকেয়া হলের ছাত্রলীগের মেয়েদের বের করে দেওয়া হলো তখন তারা হল থেকে যে যার মতো চলে গিয়েছিলো। 

বাসস: শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার খবর প্রথম কীভাবে শুনেছিলেন এবং আপনার অনুভূতি কেমন ছিলো? 

নিশিতা জামান নিহা : শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার খবর আমি প্রথমে ফেসবুক দেখতে পায় এবং পরবর্তীতে টিভিতে দেখি। উনি পালিয়ে যাওয়ার পর আমার মনে হয়েছিলো যে ঠিক আছে এবার আমরা মুক্ত স্বাধীন ভাবে বাঁচতে পারবো। এতোগুলো মানুষের জীবন নিয়ে তিনি যেভাবে সুস্থভাবে সেইফ এক্সিট নিয়ে দেশ থেকে চলে গেলো এটা আমার কাছে দুঃখজনক ছিলো। 

বাসস : নতুন বাংলাদেশের রাজনীতিতে নারীদের কেমন অংশগ্রহণ প্রত্যাশা করেন? নারীদের নিয়ে আপনার ভাবনা কী?

নিশিতা জামান নিহা : ৫ আগস্টের পর নারীদের রাজনীতিতে আসার একটা অনুপ্রেরণা ছিলো। কিন্তু সময় যত যেতে থাকে যে নারীরা আন্দোলন সম্মুখ সারিতে ছিলো তাদের উপর নানা রকম সাইবার বুলিং, থ্রেট আসতে থাকে। বিশেষ করে আমি বলবো সাইবার বুলিং অনেক বেড়েছে এটা একটি হতাশার ব্যাপার। পরাজিত শক্তি ও একটি গোষ্ঠী নারীদের রাজনীতিতে আসার পথটি পিছন থেকে টেনে ধরছে। 

কারণ তারা নারীদের আন্দোলনে দেখেছে যে- তারা কি করতে পারে। এটি তাদের মধ্যে একটি ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমার আশেপাশে যত মেয়ে ছিলো তারা কোন সময় একবার হলেও সাইবার বুলিং এর শিকার হয়েছে। অনেক ভুঁইফোড় মিডিয়া মেয়েদের ভিডিওগুলো কেটে প্রচার করে, যাতে অনেক খারাপ কমেন্ট লক্ষ করা যায় তারা এগুলো করে ভিউয়ের জন্য যা হতাশাজনক। এগুলো থেকে মেয়েদের মধ্যে হতাশা তৈরি করে। যার ফলে অনেক মেয়ে রাজনীতি ছেড়েও দিচ্ছে। 

আমার একটা পরামর্শ হলো মেয়েরা যারা রাজনীতিতে আসতে চায় তাদেরকে রাজনৈতিক দলগুলো একটা জায়গায় করে দিতে পারে এবং তাদেরকে আশ্বস্ত করতে পারে যে তারা এগুলো থেকে তাদের সেইফ করবে। 

তাছাড়াও মেয়েদের সাথে কোন খারাপ ঘটনা ঘটলে যে আপনি সাথে সাথে কোন প্রতিকার বা অভিযোগ করবেন এমন কোন হটলাইন নেই। 

তাই আমার পরামর্শ থাকবে এমন একটা হটলাইনের ব্যবস্থা করা এবং থানাগুলোতে শুধুমাত্র নারীদের জন্য একটা হেল্প ডেস্কের ব্যবস্থা করা। নারীদের সরাসরি নির্বাচনে যাওয়ার যে ব্যাপারটা সেটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ যখন নারীরা সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় যাবে তখন নারীদের কথা ভালো ভাবে বলতে পারবে এবং নারীদের ক্ষমতায়নটা ভালোভাবে করতে পারবে। 

যদি আমি আমার প্রত্যাশা পূরণের কথা বলি তাহলে বর্তমানে খুব বেশি প্রত্যাশা পূরণ হয়নি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কাজ করে যাচ্ছে কিন্তু যতগুলো পরিবর্তন আসার কথা ছিলো খুব বেশি আসলে পরিবর্তন আসে নাই।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
কুমিল্লায় ছাত্রদের পুনরায় সংগঠিত হওয়ার দিন
নতুন সৌদি রাষ্ট্রদূতের সাথে মীর নাছিরের সৌজন্য সাক্ষাৎ
টানা দ্বিতীয় জয় বাংলাদেশের
সবার জন্য একটি উন্নত খাদ্য ভবিষ্যৎ গড়তে প্রস্তুত বাংলাদেশ: খাদ্য  উপদেষ্টা
চরফ্যাশনে মেয়াদোত্তীর্ণ দুই ইউপিতে প্রশাসক ও সদস্য নিয়োগে হাইকোর্টের নির্দেশ
দুদককে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করার বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে : অধ্যাপক আলী রীয়াজ
‘জুলাই পুনর্জাগরণ উৎসব-২০২৫’ উপলক্ষ্যে নৌবাহিনীর মেডিকেল ক্যাম্প
সাবেক সিইসি নুরুল হুদার বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু
সাম্প্রতিক দুর্ঘটনায় নিহতদের সমাধীতে বিমানবাহিনীর শ্রদ্ধাজ্ঞাপন
গাজা যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্পের প্রতি সিসির বিশেষ আহ্বান
১০