ফরিদপুর, ৫ আগস্ট, ২০২৫ (বাসস) : ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট দিনটি ছিল সোমবার। কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে রূপ নেওয়া জুলাই আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঘিরে শহীদ আবু সাঈদ ও মুগ্ধসহ সারাদেশে অসংখ্য মানুষের প্রাণহানি, গুম খুন ও সহিংসতার জেরে এক দফা দাবি উঠে শেখ হাসিনার পদত্যাগ।
কারফিউ থাকলেও তা ভেঙ্গে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ছাত্র- জনতা মার্চ টু ঢাকা মুখি হতে থাকে। এক পর্যায়ে শাহবাগ, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সহ ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলো লোকারণ্য হয়ে ওঠে।পুরো ঢাকা মানুষের জনসমুদ্রে পরিণত হয়। সেদিন গণভবন ঘেরাও করার উদ্দেশ্যে ছাত্র জনতা রওনা করলে স্বৈরাচারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছোট বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে গণভবন থেকে পালিয়ে যান ভারতে।
শেখ হাসিনার পদত্যাগের বিষয়টি সেনাপ্রধানের কথায় স্পষ্ট হলে সারা দেশের ন্যায় ফরিদপুরে শুরু হয় বিজয় মিছিল।স্বৈরাচারী সরকারের পালিয়ে যাওয়াতে ফরিদপুরবাসী জেনো স্বস্তির নিশ্বাস ফিরে ফেলো।আনন্দ উল্লাসে মেতে ওঠে পুরো ফরিদপুরবাসী।
বিজয় মিছিলে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছাত্র জনতা জড়ো হতে থাকে ফরিদপুর শহরে। শহরের ভাঙ্গা রাস্তার মোড় এবং জনতার মোড়ে লোকে লোকারণ্য হয়।জনতার মোরে হাজার হাজার জনতার বিজয় মিছিল নিয়ে আসতে থাকে। এ সময় আওয়ামী লীগপন্থী কিছু পুলিশ বিজয় মিছিল কে উদ্দেশ্য করে কাঁদানে গ্যাস,রাবার বুলেট,ককটেল সহ গুলি ছুড়তে থাকে। এতে অনেকেই আহত হয়। গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন পূর্ব খাবাসপুরের শামসু মোল্লা।পুলিশের তাণ্ডবে মিছিলটি ছত্র ভঙ্গ হয়ে যায়।পরে বিক্ষুব্ধ কিছু জনতা ক্ষিপ্ত হয়ে থানায় আগুন ধরিয়ে দেয়।