আমাদের লক্ষ্য ছিল জুলাইয়ের সফলতা, ক্রেডিট নেওয়া নয় : অনিক 

বাসস
প্রকাশ: ০৬ আগস্ট ২০২৫, ১৯:৫৩
আনিসুর রহমান খন্দকার অনিক। ছবি : ফেসবুক

নেছার উদ্দিন

ঢাকা, ৬ আগস্ট, ২০২৫ (বাসস) : আনিসুর রহমান খন্দকার অনিক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার এ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের একজন শিক্ষার্থী। জাতীয়তাবাদী আদর্শের রাজনৈতিক আবহে বেড়ে ওঠা তার। ফলে স্কুল-কলেজ সময় থেকেই ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে তার পরিচয়। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শুরু থেকে ছাত্রদলের রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন তিনি। ২০১৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ছাত্রদলের প্যানেল থেকে জিএস (সাধারণ সম্পাদক) নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন অনিক। এ ছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়কের দায়িত্বে ছিলেন। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। 

ছাত্রদলের রাজনীতি করার ফলে তৎকালীন আওয়ামী ফ্যাসিবাদের নানা ধরনের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তিনি। বেশ কয়েকবার তাকে কারাবরণও করতে হয়েছে। সর্বশেষ ২০২৪ সালের ডামি নির্বাচনের পর গুমের শিকার হন অনিক। এতো অত্যাচারও ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে তার লড়াইকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। সম্প্রতি জাতীয় বার্তা সংস্থা বাসস’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জুলাই গণঅভ্যুত্থান চলাকালের নানান স্মৃতিচারণ করেছেন তিনি। তার রাজনৈতিক জীবনের শুরুর ঘটনাবলীও এতে উঠে এসেছে।   

বাসস : জাতীয়তাবদী রাজনীতির সাথে আপনার পরিচয় এবং পথচলা কবে থেকে শুরু? এ আদর্শ কেন বেছে নিয়েছিলেন? 

অনিক : একদম ছোটবেলাতে যখন থেকে বুঝতে, বলতে শিখেছি তখন থেকেই এক ধরণের রাজনৈতিক আবহ দেখে আমরা বেড়ে উঠেছি। আমার পরিবার, আত্মীয়স্বজনদের শহীদ জিয়ার রাজনৈকি আদর্শ ধারণ করে রাজনীতি করতে দেখেছি। ২০০৫ সালে তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বাড়ির পাশে একটি অনুষ্ঠানে এসেছিলেন। সেদিন উনাকে আমি ফুল দিয়ে বরণ করেছি। সেদিনের এই ঘটনা আমার কাছে খুব চমকপ্রদ লেগেছিল। কেননা, আমি সে সময় বয়সে অনেক ছোট ছিলাম। এরশাদের শাসনামলে খালেদা জিয়ার যে আপোষহীন মনোভাব ছিল তার পূর্ণ রূপ পেয়েছিল ১/১১ এর সময়ে। খালেদা জিয়াকে নিয়ে এই গল্পগুলো ছোটবেলায় বাবার কাছ থেকে শুনতাম। শৈশবের এমন ছোট ছোট ঘটনাগুলো আমাকে দারুণভাবে আকৃষ্ট করেছে। সে জায়গা থেকে জাতীয়তাবাদী দলের প্রতি আগ্রহ ও আকাঙ্ক্ষার জায়গা তৈরি হয়। 

বাসস : বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে কিভাবে যুক্ত হলেন? 

অনিক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর দেখলাম এখানে প্রশাসনিক কাঠামো ছাত্রলীগের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ছিল। বিশেষ করে হলে ওঠার ক্ষেত্রে। বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার পর আমি ছাত্রলীগের যে দখলদারিত্ব ও সন্ত্রাসী আচরণ দেখেছি তা থেকে উত্তরণের জন্য একটি সুন্দর গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের স্বপ্ন তখন থেকেই দেখতাম। সে স্বপ্ন নিয়ে তখন থেকেই ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে যুক্ত হই। 

বাসস : ক্যাম্পাসে আওয়ামী বিরোধী আন্দোলনের সাথে আপনার সম্পৃক্ততা কিভাবে শুরু হয়?  

অনিক : ২০১৩ সালে আমরা প্রথম কোটা বিরোধী আন্দোলন করি। কেননা, কোটা দিয়ে আওয়ামীলীগ সরকার প্রশাসন থেকে শুরু করে প্রতিটি সেক্টরে দলীয়করণ করেছে। সেই আন্দোলনে পুলিশ আমাদের ওপর টিয়ারশেল নিক্ষেপ করলে তা থেকে বাঁচতে চারুকলায় বানানো একটি মোটিফে আমরা আগুন দেই। কিন্তু পরদিনই দেখলাম পত্র পত্রিকায় আমাদের নিয়ে নিউজ হওয়া শুরু হলো যে এই আন্দোলন চরমপন্থীদের হাতে চলে গেছে, যারা বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক অগ্রযাত্রাকে থামিয়ে দিতে চায়। সেই সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে সবচেয়ে বেশি ছাত্রলীগের হাতে অত্যাচারিত হয়েছে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। সেই আন্দোলনের পর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা শিক্ষার্থীদের ধরে ধরে হল থেকে বের করে দিয়েছে। ছাত্রলীগ ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে এই ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ওপর সবচেয়ে বেশি নির্যাতন চালায়। ২০১৩ সালে আমরা যে আন্দোলন করি তখন আমাদের নির্দেশনা ছিল দলীয় পরিচয়ের বাহিরে গিয়ে আন্দোলনের সফলতাকে প্রাধান্য দেওয়া।  এমন পরিস্থিতিতে মুক্তির একমাত্র পথ ছিল ওই আন্দোলন সফল করা। 

এরপর ২০১৪ ও ২০১৫ সালে আমাদের আন্দোলন ছিল একপাক্ষিক নির্বাচনের বিরুদ্ধে। ২০১৮ সালের কোটা আন্দোলনেও আমাদের লক্ষ্য ছিল আন্দোলনের সফলতা। এটাই ছিল আমাদের দলীয় নির্দেশনা। ক্রেডিট নেওয়ার কোন লক্ষ্য আমাদের ছিল না। এবারের অভ্যুত্থানেও আমাদের চাওয়া ছিল ন্যায্য আন্দোলন সফল করা। কোন ধরনের ক্রেডিট নিয়ে টানাটানি আমাদের লক্ষ্য আগেও ছিল না এখনো নেই। যখন সমন্বয়ক কমিটি করা হয়েছিল তখন ছাত্রদলের কোন পদস্থ কেউ এখানে ছিল না। অপেক্ষাকৃত জুনিয়ররা এখানে ছিল। আন্দোলনের বৃহৎ জনগোষ্ঠীর স্বার্থের কারণে আমরা সেই সমন্বয়ক কমিটির সাথে সম্পৃক্ত হইনি। 

বাসস : কোটা আন্দোলনের একেবারে শুরুতে এ আন্দোলনের সফলতা, ব্যর্থতা নিয়ে আপনার মনোভাব কী ছিল? 

অনিক : এই আন্দোলনে কখনোই আমরা মাইক হাতে তুলে নিতে চাইনি, নেতৃত্ব চাইনি। আমরা সফলতা চেয়েছিলাম। আন্দোলনের সফলতার কথা চিন্তা করে শুরুর দিকে সাংগঠনিকভাবে আমরা সেখানে যেতে চাইনি, কিন্তু সে সময় শাহবাগ কেন্দ্রীক যতগুলো জমায়েত হয়েছে আমরা সেখানে সর্বোচ্চ উপস্থিতি নিশ্চিত করেছি। 

জুন থেকে শুরু হয়ে এই আন্দোলনের ব্যাপ্তি জুলাইয়ে এসে বাড়তে থাকে। দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে যুক্ত হয়েছে কিন্তু এর বাইরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছে। শুধুমাত্র জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল নয়, বরং  বাংলাদেশের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ এই আন্দোলনে নেমে আসার ফলেই তা সফল হয়েছে। 

বাসস : ১৪ জুলাই ছিল এ আন্দোলনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। সে দিনের বিষয়ে আপনার মূল্যায়ন কী? 

অনিক : ১৪ জুলাই শেখ হাসিনা শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য করে রাজাকার সম্বোধন করে। এর প্রতিবাদে সেদিন রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সর্বপ্রথম ‘তুমি কে আমি কে, রাজাকার রাজাকার’ স্লোগান দেয়। ছাত্রদলের নেতাকর্মীরাই সেদিন ‘কে বলেছে, কে বলেছে স্বৈরাচার স্বৈরাচার’ অংশটি যুক্ত করে। বিগত ১৬ বছর ধরে আমরাই কেবল শেখ হাসিনাকে স্বৈরাচার হিসেবে স্টাবলিশ করে আসছি। সেদিন রাতে শিক্ষার্থীরা স্যাটায়ার করে স্লোগানে ‘রাজাকার’ শব্দটি উল্লেখ করেছে। সে সময়ের স্লোগানে ‘রাজাকার’ শব্দটি তাদেরকে দায়মুক্তির জন্য দেওয়া হয়নি। বরং ওই স্লোগান ছিল শেখ হাসিনার পতনের ধ্বনি।  

বাসস : ১৫ জুলাই শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার দিনের বিষয়ে কিছু বলুন।

অনিক : আওয়ামী ফ্যাসিস্ট পতনের অগ্রযাত্রায় ১৫ জুলাই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সেদিনের হামলার পর ছাত্রলীগ তার সর্বোচ্চ শক্তি দিয়েও ক্যাম্পাসে তার অবস্থান ধরে রাখতে পারেনি। সেই হামলা প্রতিরোধে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা জোরালো ভুমিকা রেখেছিল। আমার বন্ধু মাসুম সেদিন মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়। তার মাথা থেকে রক্ত পড়ছিল এমন অবস্থাতেও আমরা তাকে হাসপাতালে নিতে পারছিলাম না। সে বারবার বলছিল, যারা আমার ভাই-বোনদের মেরেছে তাদের জবাব না দিয়ে আমি হাসপাতালে যাবো না। মাসুমের এ কথার মধ্য দিয়ে ছাত্রদলের প্রতিটি নেতাকর্মীর মনোভাবের প্রতিচ্ছবি দেখা যায়। সেদিন হামলা প্রতিরোধে আমাদের একটাই লক্ষ্য ছিল, তা হলো সাধারণ শিক্ষার্থীদেরকে ছাত্রলীগের হাত থেকে রক্ষা করা। ১৫ জুলাই ছাত্রলীগের মাসেল পাওয়ার ভেঙ্গে যায়। হামলার পরদিন আমাদের যতটুকু সুযোগ হয়েছে আমরা শিক্ষার্থীদের পাশে ছিলাম। শিক্ষার্থীদের সাথে থেকে আমরা ছাত্রলীগকে ক্যাম্পাস থেকে বিতাড়িত করেছি।  

বাসস : কারফিউ চলাকলীন সময়ে আপনি কোন এলাকায় আন্দোলনে সক্রিয় থেকেছেন। গ্রেপ্তার এড়িয়ে আন্দোলন চালিয়ে গেলেন কীভাবে? 

অনিক : ২০২৪ সালের ডামি নির্বাচনের পর আমাকে গুম করা হয়েছিল। তাই কারফিউ শুরু হওয়ার পর আন্দোলনের এই পর্যায়ে গুম, গ্রেপ্তার হওয়ার একটা ভয় ছিল। এছাড়া, আন্দোলনের এ সময়ে বিএনপির অনেক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই সময়টাতে আমি ছিলাম সানারপাড়, মৌচাক এলাকায়। মৌচাকে পুলিশ, আর্মির টহলের মধ্যেও নানান শ্রেণি-পেশার মানুষদের রাস্তায় জড়ো হতে দেখতাম। কারফিউ চলাকালে সারাদেশের বিভিন্ন জায়গায় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা সম্মুখসারীতে নেতৃত্ব দিয়েছে। আমরা বন্ধু, ছোট ভাই যারা ওই এলাকায় থাকতো তাদের নিয়ে প্রতিদিন আন্দোলনে যুক্ত হতাম। মাঠে থেকে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে গল্প করে উৎসাহ দেওয়ার চেষ্টা করতাম। পুলিশের টিয়ারশেলের বিপরীতে কিভাবে সার্ভাইভ করতে হবে এমন অনেক ধরনের কৌশল শিক্ষার্থীদের বলে দিতাম। কারফিউ চলাকালে  আমি আমার বন্ধু হানিফ আল হাদীকে নিয়ে আন্দোলনে অংশগ্রহণ করতাম। বন্ধুকে একটাই কথা বলতাম, ‘যদি আমি মারা যাই তুমি আমার লাশটা  নিয়ে আসবা। কিন্তু আমার পরিবারকে জানানো যাবে না।’ ১৯ জুলাই থেকে একেবারে জুলাইয়ের শেষ পর্যন্ত মৌচাক এলাকায় আন্দোলনে যুক্ত থেকে তা চালিয়ে গেছি। প্রতিদিনই লক্ষ্য ছিল, আন্দোলনে অংশ নেওয়া মানুষদের উজ্জীবিত রাখা। একইসাথে ছাত্রদলের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীদের সাথে যোগাযোগ করে তাদের সাহস দেওয়ার চেষ্টা করতাম। 

কারফিউয়ের ওই সময়টায় আমার প্রতিদিনের কাজ ছিল সারাদিন ঢাকায় আন্দোলন করা। রাত নামার সাথে সাথে যতদ্রুত সম্ভব ঢাকা ছেড়ে গ্রামে যাওয়া। আবার ভোর বেলায় ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করা। কেননা, আমাদের অনেককে ফোন ট্রেস করে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাই গ্রেপ্তার এড়ানোর জন্য আমি এই কৌশল অবলম্বন করি। এই সময়টাতে সমন্বয়কদের ডিবি কার্যালয়ে  নিয়ে  জোর করে ভিডিও বার্তা নেওয়া হলে সকলে কিছুটা ঘাবড়ে যায়। কিন্তু আমরা তাদেরকে আশা না হারাতে বলি।

আন্দোলনের ওই পর্যায়ে এর নিয়ন্ত্রণ একক কোন ব্যক্তি বা গ্রুপের  হাতে ছিল না। যেদিন থেকে কারফিউ জারি করা হয়েছে সেদিন থেকে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের আন্দোলন থেকে পিছু হটার আর কোন উপায় ছিল না। অনেকেই বেনামে আন্দোলনে যুক্ত হয়েছে। কিন্তু আমরা আমাদের নিজ পরিচয়ে আন্দোলনে যুক্ত হয়েছি নিপীড়িত মানুষদের ফ্যাসিস্টের হাত থেকে রক্ষা করতে। আর আমরাই ছিলাম ফ্যাসিস্টের  প্রধান শত্রু। আমাদের একটি মাত্র রাস্তা খোলা ছিল, তা হলো হাসিনার পতন। 

বাসস : একদফা ঘোষণার দিন আপনি কোথায় ছিলেন? শহীদ মিনারে এসেছিলেন? 

অনিক : ১৯ জুলাইয়ের পর প্রতিদিন ঢাকা থেকে গ্রামে আসা-যাওয়ার ফলে আমি অসুস্থ হয়ে পড়ি। সে কারণে আগস্টের শুরুতে দাউদকান্দিতেই আন্দোলনে অংশগ্রহণ করি। ৪ আগস্ট দাউদকান্দির শহীদনগর এলাকাতে সর্বোচ্চ মুভমেন্ট হয়েছিল। সেদিন শহীদনগরে আওয়ামী গুন্ডা বাহিনী রিফাতকে হত্যা করেছিল। এরপর যখন ঢাকার খবর এলাকায় ছড়িয়ে গেল যে ঢাকায় আওয়ামীলীগ কোথাও দাঁড়াতে পারেনি। সে খবর থেকে উজ্জীবিত হয়ে আন্দোলনকারীরা কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তুলে দাউদকান্দিতে আওয়ামীলীগের আর কাউকে দাঁড়াতে দেয়নি। 

বাসস : অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে আপনার প্রত্যাশা কী? কেমন বাংলাদেশ আপনি দেখতে চান? 

অনিক : ৫ আগস্টের পর আমাদের নেতাকর্মীদের প্রতি নির্দেশনা ছিল, ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা অনধিকার চর্চা করবে না। আইন নিজের হাতে তুলে নেবে না। একই সাথে এই রাষ্ট্রকে জনগণের রাষ্ট্রে পরিণত করার কথা আমরা বলেছি। আমরা এমন বাংলাদেশ চাই, যে বাংলাদেশ কোন একক রাজনৈতিক  দলের বা নেতার হবে না। এ বাংলাদেশ এদেশের আপমর জনসাধারণের হবে। আমরা চাই, সৌন্দর্যের রাজনীতি বাংলাদেশে শুরু হোক।  

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানোর মামলায় অভিযোগ গঠন বিষয়ে শুনানি শুরু
হবিগঞ্জে বাসের ধাক্কায় কিশোর নিহত
রাজধানীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ২,১৭২টি মামলা 
আরপিও সংশোধন নিয়ে ইসির নবম কমিশন সভা শুরু
বার্ষিক মুনাফার পূর্বাভাস কমিয়েছে টয়োটা, শেয়ারদরে পতন
টাঙ্গাইলে পিকআপ ও মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষে ৩ জন নিহত
সারাদেশে বৃষ্টির সম্ভাবনা, কোথাও কোথাও হতে পারে ভারী বর্ষণ
ভারতীয় পণ্যে ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ
ট্রাম্পের শুল্ক হুমকিতে বৃহস্পতিবার ‘জরুরি বৈঠকে’ বসছে সুইস ফেডারেল সরকার
মাদ্রাসার পঞ্চম শ্রেণিতে ফের চালু হচ্ছে বৃত্তি পরীক্ষা
১০