ঢাকা, ৭ আগস্ট, ২০২৫ (বাসস) : প্রধান বিচারপতি দেশের আটটি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিচারপতিদের নিয়ে অধস্তন আদালতের কার্যক্রম, প্রশাসনিক কার্যাবলি ও নীতিমালার কার্যকর বাস্তবায়নে একটি মতবিনিময় সভা করেছেন।
সুপ্রিম কোর্টের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলামের দেওয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে যে, গতকাল ৬ আগস্ট বিকেলে সুপ্রিম কোর্টের কনফারেন্স কক্ষে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের সভাপতিত্বে দেশের আটটি বিভাগের ১৩টি মনিটরিং কমিটি ফর সাবঅর্ডিনেট কোর্টস এর দায়িত্বপ্রাপ্ত বিচারপতিদের উপস্থিতিতে অধস্তন আদালতের কার্যক্রম, প্রশাসনিক কার্যাবলি ও নীতিমালার কার্যকর বাস্তবায়ন নিয়ে একটি মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
এই মতবিনিময় সভায় ১৩টি মনিটরিং কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত বিচারপতিবৃন্দ তাদের দায়িত্বপ্রাপ্ত অঞ্চলের আদালতসমূহের কার্যক্রমের সামগ্রিক চিত্র প্রধান বিচারপতির নিকট উপস্থাপন করেন। বিশেষ করে, অধস্তন আদালতসমূহের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ এবং বিচারিক সেবার মান উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট কমিটিগুলো বিচারকদের কাজের মূল্যায়ন ও বিচার প্রক্রিয়াকে আরও কার্যকর ও স্বচ্ছ করার জন্য যে সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে সেগুলো প্রধান বিচারপতির নিকট উপস্থাপন করেন। এর মধ্যে ভার্চুয়াল বা সরাসরি মিটিং, ন্যায়কুঞ্জ কার্যকর সংক্রান্ত সর্বশেষ তথ্য এবং বিভিন্ন সমস্যা চিহ্নিত করে যে সকল ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা সংক্ষিপ্ত আকারে প্রধান বিচারপতির নিকট উপস্থাপন করেন।
মতবিনিময় সভায় প্রধান বিচারপতি মনিটরিং কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত বিচারপতিবৃন্দকে অধস্তন আদালতগুলোর বিচারিক সেবার মান উন্নয়ন, বিচার প্রক্রিয়াকে আরও কার্যকর, স্বচ্ছ ও সহজ করতে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা প্রদান করেন।
উল্লেখ্য, প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ দায়িত্বগ্রহণের পর থেকেই একটি শক্তিশালী, স্বাধীন, কার্যকর ও ন্যায়বিচার ভিত্তিক বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠায় নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। এ উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রধান বিচারপতি গত ২১ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতি ও সারাদেশের জেলা আদালতসমূহে কর্মরত বিচারকগণের সম্মুখে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিতকরণে বিচার বিভাগ সংস্কারের রূপরেখা নিয়ে একটি পরিপূর্ণ রোডম্যাপ তুলে ধরেন। তার ঘোষিত সেই রোডম্যাপ বাস্তবায়নের জন্য প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বিভিন্ন দেশীয় ও আন্তর্জাতিক স্টেকহোল্ডারদের সাথে বিশেষ করে অধস্তন আদালতের বিচারকদের সাথে সভা, সেমিনার ও কর্মশালা অব্যাহত রেখেছেন।
এছাড়া, বিচারপ্রার্থীরা যাতে সহজভাবে বিচারসেবা পায় এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয় সে জন্য প্রধান বিচারপতি ইতোমধ্যে ১২ দফা নির্দেশনা দিয়েছেন। এরই অংশ হিসেবে সেবাগ্রহীতাদের অভিযোগ ও পরামর্শ দেওয়ার জন্য ইতোমধ্যে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টসহ দেশের সকল অধস্তন আদালতে হেল্পলাইন সার্ভিস চালু করা হয়েছে।