বাসস
  ১৭ নভেম্বর ২০২৩, ১৫:১১
আপডেট : ১৭ নভেম্বর ২০২৩, ১৮:৪৫

ঘুর্ণিঝড় মিধিলির অগ্রভাগ উপকূল অতিক্রম করছে॥ মোংলায় পণ্য উঠা-নামা বন্ধ 

বাগেরহাট, ১৭ নভেম্বর, ২০২৩ (বাসস): বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘুর্ণিঝড় মিধিলির অগ্রভাগ উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করেছে। 
বাগেরহাটের মোংলা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন অর-রশীদ জানান, শুক্রবার দুপুর থেকে ঘুর্ণিঝড়টির অগ্রভাগ খেপুপাড়া দিয়ে মোংলা-পায়রা উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করেছে। এটি আরো উত্তর-উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে। ঝড়টি বর্তমানে মোংলা বন্দর থেকে ১৪৫ কিলোমিটার দুরে অবস্থান করছে। জেলার বিভিন্ন এলাকার আশ্রয় কেন্দ্রে মানুষ আসতে শুরু করেছে। শুক্রবার বেলা ১২টা পর্যন্ত জেলার শরণখোলার বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে দুই হাজার নারী-পুরুষ আশ্রয় নিয়েছে।
তিনি বলেন,ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’ ধেয়ে আসায় ৭ নম্বর বিপদ সংকেত জারির পর মোংলা বন্দরে অবস্থানরত ১৪টি বিদেশী জাহাজে পন্য ওঠা-নামার কাজ সম্পূর্ন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। জারি করা হয়েছে বন্দরে নিজস্ব সতর্ক সংকেত ‘এলার্ট থ্রি’। বন্দর জেটি ও পশুর চ্যানেলসহ বহি:নোঙ্গরে অবস্থানরত সব বাণিজ্যিক জাহাজকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে নির্দেশ দিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। 
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানাগেছে,বঙ্গোপসাগর উত্তাল থাকায় কয়েক হাজার ফিশিং ট্রলার সুন্দরবনসহ উপকূলের বিভিন্ন মৎস্য বন্দরে আশ্রয় নিয়েছে। দুইদিন ধরে টানা বৃষ্টির কারণে সুন্দরবনের দুবলার চরে শুঁটকি পল্লীর  জেলে-মহাজনরা প্রায় দুই কোটি  টাকার ক্ষতির মুখে পড়েছেন। বাগেরহাট জেলা জুড়ে ভারিবৃষ্টির কারণে বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের দুবলা জেলে পল্লী টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দিলীপ মজুমদার জানান, সুন্দরবন থেকে দেশী-বিদেশী সব পর্যটককে সকালের মধ্যে নিরাপদ আশ্রয়ে লোকালয়ে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। 
এ ব্যাপারে বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক  মোহা: খালিদ হোসেন জানান, ঘুর্ণিঝড় মিধিলি মোকাবেলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরণের প্রস্তুতি রয়েছে। দুর্গত এলাকার মানুষদের আশ্রয় নেওয়ার জন্য ৩৫৯টি সাইক্লোনসেল্টার প্রস্তত রাখা হয়েছে। মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।  এছাড়াও ১ হাজার ৯শ ২০ জন সিপিবি সদস্যসহ দুই হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছে। সেই সাথে শুকনা খাবার, ৬৫ মেট্রিকটন চাল এবং ৯ লাখ নগদ টাকা মজুত রাখা হয়েছে।