বাসস
  ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ২২:৩৬
আপডেট : ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ২২:৪১

যুক্তরাষ্ট্র অন্তর্বর্তী সরকারের গণতান্ত্রিক পথচলায় সমর্থন জানিয়েছে: নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত

বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স (সিডিএ) রাষ্ট্রদূত ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ছবি: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

ঢাকা, ১৯ জানুয়ারি, ২০২৫ (বাসস): বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স (সিডিএ) রাষ্ট্রদূত ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন বাংলাদেশের জনগণের জন্য সমৃদ্ধিশালী ও গণতান্ত্রিক পথ রচনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রচেষ্টার প্রতি ওয়াশিংটনের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

তিনি আজ যখন প্রথমবারের মতো পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এবং পররাষ্ট্র সচিব মো. জসিম উদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এই সমর্থন জানান।

সাক্ষাতের পর যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের অফিসিয়াল ফেসবুক পোস্টে জানানো হয়, ‘রাষ্ট্রদূত জ্যাকবসন আমাদের দুই দেশের মধ্যে দৃঢ় অংশীদারিত্ব এবং বাংলাদেশের জনগণের জন্য সমৃদ্ধ ও গণতান্ত্রিক পথ রচনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রচেষ্টার প্রতি আমাদের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন।’

সাক্ষাতের সময় নতুন সিডিএ যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে পারস্পরিক স্বার্থ এবং অগ্রাধিকার বিষয়ে আলোচনা করেন বলে পোস্টে উল্লেখ করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে অনুষ্ঠেয় নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের এক দিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স এই বৈঠকগুলো করেন।

এদিকে, একটি গণমাধ্যম বিবৃতিতে বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, উভয় পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ, মানবাধিকার, শ্রম সংস্কার এবং জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনসহ পারস্পরিক স্বার্থের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক আরও গভীর করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে।

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ‘সিডিএ-কে চলমান সংস্কার কার্যক্রমের অগ্রগতির বিষয়ে অবহিত করে, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা সম্মানিত প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণার আলোকে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।’

এতে আরও বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকারের গৃহীত সংস্কারমূলক পদক্ষেপগুলোকে স্বীকৃতি এবং সমর্থনের জন্য পররাষ্ট্র উপদেষ্টা যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে ধন্যবাদ জানান।

নতুন সিডিএ বাংলাদেশের চলমান গণতান্ত্রিক রূপান্তরে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অব্যাহত সমর্থনের বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করেন।

মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘রাষ্ট্রদূত জ্যাকবসন রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐ্যমত্য প্রতিষ্ঠায় অন্তবর্তী সরকারের অব্যাহত প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন।’

রাষ্ট্রদূত জ্যাকবসন বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনৈতিক ও আর্থিক সংস্কারের মাধ্যমে স্থিতিশীল অর্থনীতি ও শক্তিশালী অর্থনৈতিক ভিত্তি অর্জনের বিষয়ে উচ্চ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

মন্ত্রণালয় জানায়, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তাকে বাংলাদেশে তার দায়িত্বের মেয়াদে পূর্ণ সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দেন এবং আশা প্রকাশ করেন যে তার মেয়াদে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে।