বাসস
  ১৪ মে ২০২৪, ২০:৩৬

টেকসই অনুশীলনের মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রবৃদ্ধির হটস্পট হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে : শিল্পমন্ত্রী

ঢাকা, ১৪ মে, ২০২৪ (বাসস) : শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে ভৌগোলিক ও কৌশলগতভাবে বাংলাদেশ টেকসই অনুশীলনের মাধ্যমে প্রবৃদ্ধির হটস্পট হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে।
তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতি সম্প্রসারণে বৈশ্বিক কোম্পানিগুলো এখানে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করছে। গত এক দশকে বাংলাদেশে গড়ে প্রায় ৭ শতাংশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। ১৭২ মিলিয়ন জনসংখ্যার দেশে রয়েছে একটি বড় ভোক্তা বাজার ও বিশাল জনসম্পদ। চীন, জাপান, ভারত, কোরিয়ার মতো উন্নত ও বৃহৎ দেশগুলো বাংলাদেশে বড় আকারে বিনিয়োগ করছে।
মন্ত্রী আরো বলেন,  এতে আমাদের বৈশ্বিক বাণিজ্যের পরিসর ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রধান শিল্প টেক্সটাইল ছাড়াও আমরা অন্যান্য মূল শিল্পগুলোতে বৈচিত্র্যের দিকে নজর দিচ্ছি।
মন্ত্রী আজ রাজধানীর হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ের বলরুমে বিশ্ব বিখ্যাত নলেজ শেয়ারিং কোম্পনী ‘বিগ মিন্ট’ এর উদ্যোগে আয়োজিত দুই দিনব্যাপী ফোর্থ বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড সামিট ২০২৪’র  কী এন্ড স্পেশাল এড্রেস সেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
বিগ মিন্ট’র বাংলাদেশ পার্টনার দিলশাদ আহমেদের  সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেশনটিতে প্যানেল আলোচক হিসেবে বক্তৃতা করেন ফোর্থ বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড সামিটের উদ্বোধক একুশে পদক প্রাপ্ত বিশিষ্ট শিল্পপতি সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, বাংলাদেশে নিযুক্ত নরওয়ের রাষ্ট্রদূত  ইস্পেন রিক্টার সেভেনজেন ও বিএসআরএমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমের আলী হোসেন।
এতে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বাংলাদেশ স্টিল ম্যানুফ্যাকচারার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ড. সুমন চৌধুরী।
মন্ত্রী বলেন, দুই দিনের এ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সামিট শিল্প খাতের নেতৃবৃন্দ, নীতিনির্ধারক, ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীসহ ইস্পাত, সিমেন্ট এবং বিদ্যুৎ খাতের মূল স্টেকহোল্ডারদের একত্রিত করবে।
তিনি বলেন,  তাছাড়া এটি এসব সেক্টরে সহযোগিতার নতুন দিগন্ত উন্মোচন, পারস্পরিক নেটওয়ার্ক সৃষ্টি এবং বাজারের প্রবণতা, সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করবে।
 বাংলাদেশের অর্থনীতি সম্ভাবনা, গতিশীলতা এবং স্থিতিস্থাপকতার সাথে আবদ্ধ বলে উল্লেখ করে  তিনি বলেন, আমরা এখন শিল্প ও বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য টেকসই সমাধান গ্রহণের মাধ্যমে একটি ভবিষ্যতমুখী পদ্ধতি গ্রহণ করেছি।
এ সময় বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে সম্মেলনটি এক নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিবে এবং আঞ্চলিক সহযোগিতা ও অংশীদারিত্ব আরো বৃদ্ধি করবে মর্মে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
সেশনটিতে স্টিল, সিমেন্ট ও শিপ ব্রেকিং অ্যান্ড রিসাইক্লিং ইন্ডাস্ট্রি এবং পাওয়ার সেক্টরসহ বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দ ও পরামর্শকগণ অংশগ্রহণ করেন।
এতে  ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, ইতালি, চীন, ভিয়েতনাম, তাইওয়ান, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, বেলজিয়ামসহ ২৫টি দেশের স্টিল, সিমেন্ট, শিপ রিসাইক্লিং ইন্ডাস্ট্রি ও পাওয়ার সেক্টরের প্রায় ৫০০ জন প্রতিনিধিবৃন্দ অংশগ্রহণ করছে।