বাসস
  ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ২০:৪২

চট্টগ্রাম আদালতের ১,৯১১টি নথি চুরির ঘটনায় বিচারাধীন মামলায় প্রভাব পড়বে না

ছবি : বাসস

চট্টগ্রাম, ৭ জানুয়ারি ২০২৫ (বাসস) : বিকল্প কেইস ডকেট সংরক্ষিত থাকায় এবং অধিকাংশ মামলা নিস্পত্তি হয়ে যাওয়ায় চট্টগ্রামে আদালত থেকে চুরি হওয়া ১ হাজার ৯১১টি নথি সংশ্লিস্ট মামলার বিচারকার্র্যে কোন প্রভাব পড়বে না বলে  এক তদন্ত প্রতিবেদনে জানিয়েছেন হাইকোর্টের বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান। 

আজ মঙ্গলবার  বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বপন কুমার সরকার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়। 

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় কেইস ডকেটগুলো ছিল ২০১৫ সালের আগের ফৌজদারি মামলা সংক্রান্ত। বেশিরভাগ মামলা এর মধ্যে নিষ্পত্তি হয়ে গেছে। এছাড়া ফৌজদারি যেকোনো মামলার কেস ডকেটের একটি কপি সংশ্লিষ্ট সার্কেল সহকারী পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংরক্ষিত থাকে। এর ফলে আদালতে বিচারাধীন কোনো ফৌজদারি মামলা ক্ষতিগ্রস্ত হবে না।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, সংবাদপত্রে প্রকাশিত নথি গায়েবের ঘটনা অবহিত হয়ে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য চট্টগ্রাম-১ অঞ্চলের অধঃস্তন আদালতসমূহের কার্যক্রম মনিটরিংয়ের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত হাইকোর্টের বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানকে নির্দেশনা দেন।

বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের তদন্ত প্রতিবেদন উদ্ধৃত করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের কোনো এজলাস বা চেম্বার থেকে কোনো ফৌজদারি মামলার নথি চুরি হয়নি। সংবাদপত্রে যে ১ হাজার ৯১১টি কেস ডকেট চুরির বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে, সেগুলো চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটরের কার্যালয়ের বারান্দা থেকে চুরি হয়েছে।

এর আগে, চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালত থেকে হত্যা, মাদক, চোরাচালান, বিস্ফোরণ, হত্যাচেষ্টাসহ ১ হাজার ৯১১টি মামলার নথি গায়েবের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গত রোববার (৫ জানুয়ারি) মহানগর দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মফিজুল হক ভুঁইয়া নগরীর কোতোয়ালি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। 

জিডিতে উল্লেখ করা হয়, চট্টগ্রাম মহানগর পিপি কার্যালয়ে ২৮ থেকে ৩০টি আদালতের কেস ডকেট রক্ষিত ছিল। পিপি কার্যালয়ে জায়গা-স্বল্পতার কারণে ২০২৩ সালের ২৪ এপ্রিল থেকে পিপি কার্যালয়ের সামনের বারান্দায় প্লাস্টিকের বস্তায় ১ হাজার ৯১১টি মামলার কেস ডকেট পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় রাখা ছিল।

আদালতের অবকাশকালীন ছুটির সময় অফিস বন্ধ থাকায় গত ১৩ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নথিগুলো হারিয়ে গেছে। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও পাওয়া যায়নি। বিষয়টি থানায় ডায়েরিভুক্ত করে রাখার জন্য আবেদন করা হলো।