শিরোনাম
ঢাকা, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫ (বাসস): ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) থেকে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ১০ কাঠার দুটি সরকারি প্লট গ্রহণে অনিয়মের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার ছেলে সজীব আহমেদ ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে পৃথক মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৫ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন ঢাকার একটি আদালত।
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত আজ মামলা দুইটির এজাহার গ্রহণ করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য এ দিন ধার্য করেন।
এর আগে গতকাল রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে (ঢাকা-১) মামলা দুটি করা হয়।
প্রথম মামলায় শেখ হাসিনাসহ আটজন ও দ্বিতীয় মামলায় শেখ হাসিনার ছেলে জয়সহ ১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধিসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে অভিযোগ আনা হয়েছে।
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের করা প্রথম মামলায় গৃহায়ন ও রাজউকের কর্মকর্তাসহ মোট আটজনকে আসামি করা হয়েছে। এই মামলার অপর আসামিরা হলেন- গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব পূরবী গোলদার, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যানের পিএ মো. আনিছুর রহমান মিঞা, সাবেক সদস্য শফি উল হক, সাবেক সদস্য মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, সদস্য (উন্নয়ন) মেজর (অব.) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী, সদস্য মোহাম্মদ খুরশীদ আলম ও উপ-পরিচালক নায়েব আলী শরীফ।
অন্যদিকে জয়ের বিরুদ্ধে দায়ের করা দ্বিতীয় মামলায় শেখ হাসিনা এবং গৃহায়ন ও রাজউকের কর্মকর্তাদেরসহ মোট ১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার আসামিরা হলেন- সজীব ওয়াজেদ জয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম সরকার, সিনিয়র সহকারী সচিব পূরবী গোলদার, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) কাজী ওয়াছি উদ্দিন ও সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার।
এছাড়া রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যানের পিএ মো. আনিছুর রহমান মিঞা, সাবেক সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, সদস্য তন্ময় দাস (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ), সাবেক সদস্য মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, সদস্য (উন্নয়ন) মেজর (অব.) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী, পরিচালক মো. কামরুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক মাজহারুল ইসলাম, উপ-পরিচালক নায়েব আলী শরীফ ও পরিচালক মো. নুরুল ইসলাম।
মামলার এজাহারে বলা হয়, শেখ হাসিনা বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তার ওপর অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজ মালিকানায় ও তার ছেলে, মেয়ে, বোন, বোনের মেয়ে ও বোনের ছেলের নামে ঢাকা শহরে বাড়ি বা ফ্ল্যাট বা আবাসন সুবিধা থাকার পরও তা হলফনামায় গোপন করে পূর্বাচল নতুন শহর আবাসন প্রকল্পের বরাদ্দ সংক্রান্ত আইন-বিধি ও নীতিমালা এবং আইনানুগ পদ্ধতি লঙ্ঘন করেন। তার দপ্তরসহ প্রকল্পের বরাদ্দ বিষয়ক দায়িত্বপ্রাপ্ত গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) গণকর্মচারীদের প্রভাবিত করে নিজে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সরকারের সর্বোচ্চ পদাধিকারী পাবলিক সার্ভেন্ট হিসেবে দায়িত্বরত ও বহাল থাকা অবস্থায় নিজ ক্ষমতার অপব্যবহার করে পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পের অতি মূল্যবান কূটনৈতিক এলাকায় ২৭ নম্বর সেক্টরের ২০৩ নম্বর রাস্তার প্লট নম্বর ০০৯ নিজ নামে বাস্তব দখলসহ রেজিস্ট্রিমূলে গ্রহণ করেন।