পরিবারসহ সাবেক মন্ত্রী হাছান মাহমুদের ৭৭ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

বাসস
প্রকাশ: ১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯:৫১
হাছান মাহমুদ। ফাইল ছবি

ঢাকা, ১৬ জানুয়ারি, ২০২৫ (বাসস): সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী হাছান মাহমুদ, তার স্ত্রী নুরান ফাতেমা, মেয়ে নাফিসা জুমাইনা মাহমুদসহ তাদের ৫ প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা ৭৭টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ (ফ্রিজ) করার আদেশ দিয়েছে ঢাকার একটি আদালত।

এসব হিসাবগুলোতে ২৪ কোটি ৬৫ লাখ ৪১ হাজার ৯৫৮ টাকা রয়েছে।

দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন। এ সময় দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিচালক কমলেশ মন্ডল এসব হিসাব অবরুদ্ধের জন্য আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত আবেদন মঞ্জুর করেন।

ব্যাংক হিসাবগুলোর মধ্যে হাছান মাহমুদের নামে ৮টি, নুরান ফাতেমার ১৪টি, নাফিসা জুমাইনা মাহমুদের ৬টি, হাসান মাহমুদ ও স্ত্রীর জয়েন্ট একাউন্ট ৩টি, বিসমিল্লাহ মেরিন সার্ভিসের ৩৪টি, বিসমিল্লাহ মেরিন সার্ভিসেস ম্যানেজমেন্ট এন্ড হোল্ডিংস ৬টি, অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ সোলার পাওয়ার লিমিটেডের ৩টি, সুখি বাংলা ফাউন্ডেশনের ২টি ও বিসমিল্লাহ মেরিন সার্ভিস জেএএস লিমিটেডের ১টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা হয়েছে।

আবেদনে বলা হয়, সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ, তার স্ত্রী নুরান ফাতেমা, মেয়ে নাফিসা জুমাইনা মাহমুদ এবং তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বিসমিল্লাহ মেরিন সার্ভিস লিমিটিড, একাডেমি অব মেরিন এডুকেশন অ্যান্য টেকনোলজি লিমিটেড, বিসমিল্লাহ মেরিন সার্ভিস জে.এ.এস. লিমিটেড, এম/এস বিসমিল্লাহ মেরিন সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড হোল্ডিংস, অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ সোলার পাওয়ার লিমিটেড এবং সুখি বাংলা ফাউন্ডেশনের নামে ব্যাংক হিসাবে সন্দেহজনকভাবে ৭৫৩ কোটি ৩০ লাখ ২৭ হাজার ৫৫৯ টাকা লেনদেন হয়েছে। এই লেনদেনগুলো সন্দেহজনক লেনদেন। এই লেনদেনগুলো মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ প্রতিমন্ত্রী ও মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে সংগঠিত হয়েছে। যেখানে মানিলন্ডারিং উপাদান থাকার সম্ভাবনা অনেক বেশি। এছাড়া বর্তমানে হিসাবগুলোতে ২৪ কোটি ৬৫ লাখ ৪১ হাজার ৯৫৮ টাকার স্থিতি (জমা) আছে।

দুদক অনুসন্ধান শুরুর পর থেকে হাছান মাহমুদসহ পরিবারের সদস্যরা তাদের ব্যাংকে রক্ষিত টাকা উত্তোলনের চেষ্টা করছেন। অপরাধলব্ধ আয়ের মাধ্যমে অর্জিত এসব সম্পদের বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে তা বেহাত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ১৭ ধারা মতে রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা সম্ভব হবে না বিধায় রাষ্ট্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই অপরাধলব্ধ আয়ের মাধ্যমে অর্জিত এসব সম্পদ মানিলন্ডারিং আইনের ১৪ ধারা মতে উত্তোলন, হস্তান্তর বা মালিকানাস্বত্ব বদল রোধে অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ২১ লাখ টন খাদ্যশস্য মজুদ আছে
যৌতুকের টাকা না দেয়ায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
রাজধানীতে বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ দুই মাদক কারবারি গ্রেফতার 
প্রফেসর ড. এম শমসের আলীর মৃত্যুতে বিআইআইটি’র স্মরণসভা ও দোয়া
জমিয়তের সঙ্গে বৈঠক : শিগগিরই নির্বাচনের স্পষ্ট ঘোষণার আশা বিএনপির
জাতি হিসেবে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ত্যাগ বৃথা যেতে দেয়া যাবে না : শিক্ষা উপদেষ্টা
দুধ ও মাংস উৎপাদন বৃদ্ধির পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সরকার 
প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সেবা নিশ্চিত করতে সমাজসেবা কর্মকর্তাদের প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ
পাকিস্তানের সঙ্গে সব অমীমাংসিত বিষয়ে আলোচনা হবে : তৌহিদ হোসেন
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বেকারদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা নেবে : তারেক রহমান
১০