বাসস
  ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৫:৫১

সাফল্যের ধারাবাহিকতায় সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ, ৫৩ শিক্ষার্থী পেলেন মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ

নীলফামারীর সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজের একাডেমিক ভবন। ছবি : বাসস

ভুবন রায় নিখিল

নীলফামারী, ২০ জানুয়ারি, ২০২৫ (বাসস) : সাফল্যের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজের ৫৩ জন শিক্ষার্থী দেশের বিভিন্ন মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। 

এর আগে ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে  একই শিক্ষা  প্রতিষ্ঠান থেকে ৫২ জন শিক্ষার্থী মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পান। সাফল্যের এমন ধারাবাহিকতায় খুশি অভিভাবক, শিক্ষার্থীসহ জেলাবাসী।

এই কলেজ থেকে ২০২৪ সালের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় (এইচএসসি) ২৬২ জন অংশ নেন। তাদের মধ্যে  শতভাগ পাশ করে জিপিএ-৫ পান ২৫৫ জন। পাশ করা শিক্ষার্থীদের মধ্যে মেডিকেল পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ৫৩জন বিভিন্ন সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন ।

কলেজের উদ্ভিদ বিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আতাউর রহমান জানান,  ২০২৪ সালে ৫২ জন, ২০২৩ সালে ৩৬ জন, ২০২২ সালে ৪৫ জন, ২০২১ সালে ৪০  জন, ২০২০ সালে ৩৮ জন, ২০১৯ সালে ৩৬জন, ২০১৮ সালে ৩৯ জন  শিক্ষার্থী বিভিন্ন সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পান। এ বছরগুলোতে উল্লেখযোগ্য শিক্ষার্থী বুয়েট, চুয়েট, রুয়েট ছাড়াও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। এবছরের ডেন্টাল কলেজের ভর্তি পরীক্ষার ফলফল বের হলে এ সংখ্যা আরো বাড়বে।

সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজের শিক্ষার্থী সুমাইয়া শারমীন এবছর ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। বাসসের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘আমার স্বপ্ন ছিল মেডিকেলে পড়ার। নিয়মিত অধ্যবসায় ও কঠোর পরিশ্রমে সে স্বপ্ন পূরণ হয়েছে’। 

জেলার সৈয়দপুর উপজেলার বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নের লক্ষণপুর বালাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা সেনাবাহিনীর একজন অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট মো. শফিয়ার হোসেনের কন্যা সুমাইয়া শারমীন । তিন বোনের মধ্যে সুমাইয়া সবার বড়। ভর্তি পরীক্ষায় তার স্কোর ১৮৫। ২০২২ সালে সৈয়দপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি হন। 

সুমাইয়া বলেন, ‘কলেজে নিয়মিত ক্লাসে অংশগ্রহণ এবং প্রতিটি পরীক্ষায় অংশ নিলে ভাল ফলাফল করা সম্ভব।’

সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজের অধ্যক্ষ মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সুশৃঙ্খল শিক্ষার পরিবেশ, পাঠদানে শিক্ষকদের আন্তরিকতা এবং কঠোর তদারকির কারণে প্রতি বছর আশানুরূপ ফলাফল নিয়ে আসছে। কলেজে কঠোর নিয়মকানুনের কারণে শিক্ষার্থীরা নিয়মিত ক্লাসে আসে। 

এতে করে সার্বক্ষণিক লেখাপড়া ও শিক্ষকদের সংস্পর্শে থাকে। আর কলেজে বছরের নির্ধারিত পরীক্ষার পাশাপাশি ক্লাস টেস্ট, মডেল টেস্টসহ আরো অনেকগুলো পরীক্ষা নেয়া হয়। ফলে পরীক্ষার ভীতি অনেকাংশে দূর হয় এবং পরীক্ষার প্রস্তুতিও ভাল হয়’। 

তিনি জানান, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিাভবকদের সমন্বিত প্রচেষ্টায় প্রতিবছর বোর্ড পরীক্ষায় ঈর্ষান্বিত ফলাফলসহ মেডিকেল ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় সাফল্যের ধারাাবাহিকতা ধরে রেখেছে বিজ্ঞান কলেজ। 

১৯৬৪ সালে সৈয়দপুর সরকারি কারিগরি বিজ্ঞান স্কুল নামে কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৭৭ সালে সৈয়দপুর সরকারি কারিগরি কলেজ নামকরণ করা হয়। এরপর ২০১৯ সালে আবার নাম পরিবর্তন করে সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ রাখা হয়।