শিরোনাম
চট্টগ্রাম, ৩০ জানুয়ারি, ২০২৫ (বাসস): চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) উদ্যোগে আগামী শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) থেকে শুরু হচ্ছে ২৬ দিনব্যাপী অমর একুশে বইমেলা ২০২৫। চট্টগ্রামের এম. এ. আজিজ স্টেডিয়ামে জিমনেসিয়াম চত্বরে এই মেলা চলবে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
ঢাকা ও চট্টগ্রামের শীর্ষ প্রকাশনা সংস্থাসহ ১৪০টি স্টল নিয়ে জমজমাট হবে এবারের মেলা। এর মধ্যে ঢাকার প্রকাশনা সংস্থা ৪৪টি, চট্টগ্রামের ৭৪টি এবং ডাবল স্টল ৩৩টি। প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা এবং ছুটির দিনে সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) বেলা ১২টার দিকে জিমনেসিয়াম মাঠে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।
মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ১ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা জনাব আদিলুর রহমান খান। মেলায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সার্বিক সহযোগিতায় থাকবে সিসিটিভি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পাশাপাশি থাকবে হেলথ কর্নার, সিটি কর্পোরেশনের সার্ভিস বুথ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সংরক্ষিত আসন।
মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, বইমেলা আয়োজনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করা আমাদের ওপর এক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। আমাদের ছেলেমেয়েরা অনেকেই আজকাল মোবাইল ও মাদকে আসক্ত হয়ে পড়েছে। সময়, অর্থ, স্বাস্থ্য সবই শেষ করছে এর পেছনে। এতে তারা প্রকৃত শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বই অন্যতম বন্ধু যা শিক্ষার্থীদের মোবাইল ও মাদকের আসক্তি থেকে বের করে সৃজনশীল মেধাবী প্রজন্ম হিসেবে গড়ে তুলতে পারে। এ ক্ষেত্রে মা-বাবা, শিক্ষক ও সমাজের সবাইকে সচেতন হতে হবে।
এবার মেলা প্রাঙ্গণে দৃষ্টিনন্দন ‘শহীদ জিয়া স্মৃতি পাঠাগার’, থাকবে জানিয়ে মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন মঞ্চ, সেলফি কর্নার এবং ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে বিশেষ প্রদর্শনী থাকবে। মাসব্যাপী বিভিন্ন আয়োজনের মধ্যে রয়েছে কবিতা উৎসব, লেখক সমাবেশ, রবীন্দ্র-নজরুল উৎসব, মুক্তিযুদ্ধ উৎসব, শিশু উৎসব, লোক উৎসব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, বইমেলা আয়োজন চট্টগ্রামবাসীর দীর্ঘদিনের আকাঙ্খা। এটি তরুণ প্রজন্মকে সৃজনশীল কর্মকাণ্ডে উদ্বুদ্ধ করবে এবং মাদকসহ ক্ষতিকর আসক্তি থেকে দূরে রাখবে। মেলার সাফল্যে সাংবাদিকদের ইতিবাচক ভূমিকা বিশেষভাবে প্রয়োজন।
তিনি বলেন, আমরা আশা করি এই মেলায় চট্টগ্রামের সর্বস্তরের লেখক-পাঠক ও সৃজনশীল নাগরিকদের অংশগ্রহণে সংস্কৃতি ও মননের উৎকর্ষের পাশাপাশি ইতিহাস-ঐতিহ্য-সংস্কৃতির সম্মিলন ঘটবে। জাতীয় জীবনে যেসব ব্যক্তি কৃতিত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন তাদের একুশে সম্মাননা স্মারক পদক ও সাহিত্য পুরস্কার প্রদান করা হবে। বাংলাদেশে ঢাকার পর চট্টগ্রাম দ্বিতীয় বৃহত্তম নগরীই শুধু নয়, বাণিজ্যিক রাজধানীও। সম্মিলিত উদ্যোগে একটি বইমেলার আয়োজন ছিল চট্টগ্রামবাসীর দীর্ঘদিনের আকাঙ্খা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও বইমেলা উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক শেখ মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, সচিব মোহাম্মদ আশরাফুল আমিন, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচি, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. শাহ নওয়াজ, বইমেলা মিডিয়া কমিটির আহ্বায়ক মুস্তফা নঈম, সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদের সভাপতি শাহাব উদ্দিন হাসান বাবু প্রমুখ।