শিরোনাম
ভোলা, ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ (বাসস) : ঘন কুয়াশার কারণে ভোলা-বরিশাল-লক্ষ্মীপুর নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) কর্তৃপক্ষ আজ সোমবার ভোররাত থেকে এই ফেরিগুলো চলাচল বন্ধ করেছে । এতে করে তিন জেলার ফেরিঘাটগুলোতে শতশত যাত্রী, বাস, পণ্যবাহী ট্রাক, লরি ও কার্গো বাহনগুলো চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েছে।
বিআইডব্লিউটিসি’র বরিশাল লাহারহাট ফেরিঘাটের ম্যানেজার শিহাবউদ্দিন বাসস'কে জানান, বরিশাল-ভোলা নৌ-রুটে মোট ৭ টি মাঝারি টাইপের ফেরি চলাচল করে থাকে। এগুলো হলো-চন্দ্র মল্লিকা, মাধবীলতা, কৃষ্ণচুড়া, অপরাজিতা, দোলনচাঁপা, স্বর্ণচাঁপা ও শাপলা শালুক। তিনি বলেন, ঘন কুয়াশায় দুর্ঘটনার ঝুৃঁকি থাকায় কখনই ফেরি চলাচল করতে দেয়া হয় না। তাই অন্যান্য সময়ের মতো আজও ভোর থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
ভোলা-লক্ষ্মীপুর নৌরুটের ফেরি চলাচলও কুয়াশার কারণে বন্ধ করা হয়েছে। আজ ভোররাত থেকেই এ রুটে লঞ্চ ও ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়।
বিআইডব্লিউটিসি ইলিশা ফেরিঘাট এলাকার ম্যানেজার কাওসার হোসেন বাসস'কে জানান, এ রুটে বড় আকারের মোট ৬টি ফেরি চলাচলে করছে।
এগুলো হলো; কাবিরী, সুফিয়া কামাল, কুসুমকলি, কনকচাঁপা, বেগম রোকেয়া ও তরুলতা। তিনি জানান, ঘনকুয়াশা হলেই কর্তৃপক্ষের নির্দেশেমত ফেরি চলাচল বন্ধ করতে হয়। এতে যাত্রী ও পরিবহনগুলোর কিছুটা ভোগান্তি হলেও নিরাপদ নৌচলাচল নিশ্চিত করা যায়। কুয়াশার অন্ধকার কাটলেই ফেরি চলাচল শুরু হবে বলে জানান সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
এদিকে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মেঘনায় কুয়াশার মধ্যেও ট্রলারযোগে যাত্রী পারাপারের রমরমা ব্যবসা চালাচ্ছেন বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন। অসাধু ওই চক্রটি বেশি ভাড়া হাকিয়ে স্পিডবোটযোগেও যাত্রী পারাপারের জমজমাট ব্যবসা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
ভোলার ইলিশা ফেরিঘাট এলাকায় অপেক্ষমান লক্ষ্মীপুরগামী যাত্রী আব্দুর রহিম, মহিউদ্দিন, আবুল হোসেন, নাছিমা বেগম ও শিউলী আক্তার অভিযোগ করে বলেন, ট্রলার ও স্পিডবোটের অসাধু ব্যাক্তিরা অনেকটা জোরপূর্বক যাত্রীদের তাদের বাহনে তুলে গলাকাটা ভাড়া আদায় করছে।
বিআইডব্লিউটিসি'র বরিশাল অঞ্চলের ম্যানেজার শিহাবউদ্দিন বলেন, অসাধু ব্যবসায়ীদের দমনে সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনী সবসময়ই ফেরি ও লঞ্চঘাটের তদারকি এবং টহল জোরদার রেখেছেন। ভোলা নৌ-পুলিশ থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ শাহীন জানান, ঘনকুয়াশাকে পুঁজি করে কোনো চক্রকেই অবৈধভাবে ট্রলার কিংবা স্পিডবোটে যাত্রী পারাপারের ব্যবসা চালাতে দেয়া হবে না।