খুলনায় সাবেক এমপি-মেয়রসহ ৫৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

বাসস
প্রকাশ: ১৯ আগস্ট ২০২৫, ১২:২১
ছবি: বাসস

খুলনা, ১৯ আগস্ট ২০২৫ (বাসস): খুলনায় পতিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তিন চাচাতো ভাইসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ৫৫ নেতার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। 
চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে মার্চ ফর জাস্টিস কর্মসূচিতে ছাত্রজনতার ওপর হামলা, হত্যা চেষ্টা, বিস্ফোরক দ্রব্য ও অস্ত্র আইনে মামলাগুলো করা হয়েছে। 

খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালত রোববার মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

এর আগে মঙ্গলবার মামলাটি করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়ক সাজিদুল ইসলাম বাপ্পি।

আসামিরা হলেন, কেসিসি’র সাবেক মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) শেখ সালাউদ্দিন জুয়েল, সাবেক এমপি এসএম কামাল হোসেন, সাবেক এমপি বেগম মুন্নুুজান সুফিয়ান, সাবেক এমপি আব্দুস সালাম মুর্শেদী, সাবেক এমপি শেখ হেলাল উদ্দিন, যুবলীগ নেতা শেখ সোহেল, সাবেক এমপি নারায়ণচন্দ্র চন্দ, সাবেক এমপি আক্তারুজ্জামান বাবু, সাবেক এমপি রশীদুজ্জামান মোড়ল, রইজ হাওলাদার, এডভোকেট সাইফুল ইসলাম।

এছাড়া মহানগর যুবলীগের সভাপতি শফিকুর রহমান পলাশ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হারুনুর রশীদ, মহানগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ শাহাজালাল সুজন, সাবেক কেএমপি কমিশনার মোজাম্মেল হক, খাদ্য নিয়ন্ত্রক (আরসি ফুড) খুলনার ইকবাল বাহার চৌধুরী, সাবেক উপ-পুলিশ কমিশনার সোনালী সেন, সাবেক এডিসি গোপিনাথ কানজিলাল, সাবেক ডিবি কর্মকর্তা নুরুজ্জামান, জহিরুল ইসলাম, আমজাদ, আবুল কালাম আজাদ।

আরও হলেন, খুলনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এসএম নজরুল ইসলাম, ঢামেক’র ছাত্রলীগের ক্যাডার ডা. সিয়াম, ছাত্রলীগ ক্যাডার ও পরিচালক ডিএমসি স্কলারস ডা. মঈনুল, শেখ ওমর আলী, আবজাল শিকারী, মোস্তাফিজুর রহমান মিলন, রতন সরদার, সোহেল হাসান রুমি, ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর জেড এ মাহমুদ ডন, স্বেচ্ছাসেবকলীগ খুলনা মহানগর সভাপতি আসাদুজ্জামান রাসেল।

অন্য আসামিরা হলেন, কেসিসি’র সাবেক ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. শাহাদাত হোসেন মিনা, ইসমাইল, শিপার, এবিএম সাত্তার, মো. মিজান শেখ, শফিকুল ইসলাম, রতন মণ্ডল, মো. জসিম শিকদার, মো. সাবুদ্দিন, মোহাম্মদ শিকদার, নাসির, মো. খায়রুল বাসার, মো. নাজির হোসেন, মো. কামাল হোসেন, মো. শরিফুল ইসলাম, শাহাজাদা খান, নজরুল ইসলাম, শরীফ আতিয়ার রহমান, রাজ্জাক, সুজা, সৈয়দ মুরসালিন প্রিন্স এবং শেখ শামীম।

এজাহারে বলা হয়, ২০২৪ সালের ৩১ জুলাই দুপুর ১২টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা মার্চ ফর জাস্টিস বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মিছিল বের করে।

মিছিলটি সাতরাস্তা মোড় পৌঁছালে ১-১০ নম্বর আসামির নির্দেশে অন্যরা ছাত্রদের লক্ষ্য করে শর্টগান, পিস্তল বোমা এবং ইট নিয়ে হামলা করে। এতে অন্তত ১৫-২০ জন আহত হন। আহতদের স্থানীয় ক্লিনিকে নিয়ে গেলে সেখানেও হামলা চালানো হয়। গরীব নেওয়াজ ক্লিনিকে হামলার সময় ৮ ও ৩৬ নম্বর আসামির বিরুদ্ধে আহতদের পুলিশ ভ্যানে তুলে নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে।

বাদী সাজিদুল ইসলাম বাপ্পি বলেন, গত ৩১ জুলাই আমরা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করতে গেলে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ আমাদের ওপর বর্বর হামলা চালায়। আমার বহু বন্ধু রক্তাক্ত হয়। এক বছর পার হলেও কেউ বিচারের আওতায় আসেনি। বাধ্য হয়ে আদালতের শরণাপন্ন হয়েছি। ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করছি।

বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট কামাল হোসেন বলেন, হত্যাচেষ্টা, বিস্ফোরক দ্রব্য এবং অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়েছে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
ইউক্রেন সংকট সমাধানে শান্তিপূর্ণ প্রচেষ্টাকে সমর্থন চীনের
সনদপত্রসহ মেধাবৃত্তি পেলেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৭৫ শিক্ষার্থী
প্রধান উপদেষ্টা ঘোষিত ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন অনুষ্ঠানে সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ : আইন উপদেষ্টা
কুড়িগ্রামে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কৃষকের মৃত্যু
নোয়াখালীতে পুকুরে ডুবে দুই বোনের মৃত্যু 
পটুয়াখালীতে স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত
রাজশাহীতে অনুমোদনহীন বেকারিকে জরিমানা
ইরানে হত্যার দায়ে ১ ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর
ইউক্রেনকে তাদের ভূখণ্ড ছেড়ে দিতে বাধ্য করা উচিত নয় : জার্মান চ্যান্সেলর
চাঁদপুর আদালত প্রাঙ্গণে বিশ্রামাগার ‘ন্যায়কুঞ্জ’ উদ্বোধন
১০