শিরোনাম
মুন্সীগঞ্জ, ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ (বাসস): দুনীর্তি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আব্দুল মোমেন বলেছেন, ক্রয় পদ্ধতি, বাজারমূল্য ও চাহিদা সর্ম্পকে সচেতন থাকলে দুর্নীতি অনেকাংশে কমে যাবে। কারণ বড় বড় দুর্নীতির বড় অংশ ক্রয় সংক্রান্ত।
আজ সোমবার মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার চর বাউশিয়া এলাকায় বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ার স্টাফ কলেজের সেমিনার কক্ষে দুদক কর্মকর্তাদের সরকারি ক্রয় নীতির ওপর ১৫ দিনব্যাপী এক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন শেষে দুদক চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের একথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘বড় বড় দুনীতির প্রধান উৎস হচ্ছে ক্রয় প্রক্রিয়া। আমরা যদি ক্রয় করার ক্ষেত্রে এর প্রয়োজনীয়তা সর্ম্পকে সচেতন থাকি, তাহলে দুর্নীতি অনেকাংশে কমে যাবে।’
তিনি স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতির প্রসঙ্গ টেনে বলেন, কেনাকাটায় অসংখ্য দুর্নীতির খবর এসেছে কোথাও অস্বাভাবিক বেশি দামে মালামাল কেনা হয়েছে কোথাও নিম্নমানের মালামাল কেনা হয়েছে, যা এখন ব্যবহার করা যায় না। এসব ব্যাপারে দুদক কর্মকর্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি।
দুর্নীতি করে বিদেশে পালিয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের দেশে ফিরিয়ে আনতে দুদক কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘এটি একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। তবে আমাদের চেষ্টা থাকবে, তাদের দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করানোর।’
ইঞ্জিনিয়ার্স ইনষ্টিটিউশন বাংলাদেশ (আইইবি)-এর সভাপতি প্রকৌশলী মোহাম্মদ রেজাউল ইসলাম রিজুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্থাটির মহাপরিচালক (প্রশিক্ষণ ও তথ্য প্রযুক্তি) মো. আক্তার হোসেন।
প্রশিক্ষণে দুদকের সহকারী পরিচালক এবং উপ-সহকারী পরিচারক মিলিয়ে ৩০ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।