হাওরের কৃষিতে এসেছে নতুন মাত্রা সূর্যমুখী চাষ 

বাসস
প্রকাশ: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৬:১৯
হাওরের কৃষিতে সূর্যমুখী চাষ । ছবি : বাসস

নেত্রকোনা, ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ (বাসস) : হাওরের কৃষিতে এসেছে নতুন মাত্রা সূর্যমুখী চাষ। আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য চাষ হচ্ছে সূর্যমুখী, নেত্রকোনার হাওরাঞ্চলে গত দু’বছর ধরে তিন কৃষক চাষ করছেন সুর্যমুখী। পরীক্ষামূলক এ চাষে যেমন লাভবান হচ্ছেন তেমনি মানুষ সৌন্দর্য উপভোগ করতে ছুটে যাচ্ছে দিগন্ত বিস্তৃত হাওরে। একবার ধান চাষ করার পর লম্বা সময় পতিত থাকে হাওরের কৃষি জমি,সে জমি কিভাবে ভিন্নভাবে কাজে লাগানো যায় সে ধারণা মাথায় রেখে কাজ করে যাচ্ছেন কৃষকরা।

জানা গেছে, জেলার হাওরাঞ্চল মদন মোহনগঞ্জ খালিয়াজুরীর মধ্যে মদন উপজেলার অন্যতম গোবিন্দশ্রী হাওর। দিগন্ত বিস্তৃত হাওরে পতিত পড়ে থাকতো কৃষকের অনেক জমি। এসকল জমিতে ধানের  পাশাপাশি  মিষ্টি কুমড়া চাষ করা শুরু হয়েছে বেশ কয়েক বছর ধরে। ভূট্টা চাষও হয় বিভিন্ন রবি শস্যের পাশাপাশি। কিন্তু সূর্যমুখী চাষের প্রচলন এখনো হয়নি। তবে গত বছর থেকে তিনজন কৃষক একসঙ্গে তিন কাঠা জমিতে শুরু করেছেন সুর্যমূখী চাষ। মদন থেকে খালিয়াজুরী বা মোহনগঞ্জ যাওয়ার জন্য ডুবন্ত সড়ক গোবিন্দশ্রী হাওরের বুক চিরে বয়ে গেছে। এদিক দিয়েই যেতে হয় আরো একটি হাওর  উপজেলা খালিয়াজুরী। যে কারনে সূর্যমূখীর সৌন্দর্য দেখতে ভিড় জমান পথচারীরা।

মদন উপজেলার উদ্যোক্তা কৃষক বুলবুল আহমেদ। তারা তিন বন্ধু মিলে গত বছর তিনকাঠা জমিতে ফলিয়েছিলেন সূর্যমুখী। কাঠা প্রতি সংগ্রহ  করেন ৮ লিটার তৈল। উৎসাহ পেয়ে  এবছর তারা ৮ কাঠা জমিতে করেছেন এ চাষ। আশা করছেন ফলনও ভালো হবে।

এদিকে দেখতে আসা পথচারী এবং সৌন্দর্য পিপাসুরা  স্বীকার করেছেন ভেতরে গিয়ে অনেকেই গাছ নষ্ট করে। তাই তারা এখন জরিমানার ভয়ে অনুমতি নিয়েই ভেতরে প্রবেশ করেন। সাইনবোর্ডে লিখা থাকায় এবং জরিমানার পরিমাণ বেশি থাকায় এবছর মেনে চলছেন  সবাই।

কৃষক বুলবুল আহমেদ জানান, মানুষ দেখে খুশি হয় আমাদেরও ভালো লাগে। কিন্তু জমিতে ঢুকে পড়লে জমির ফসল নষ্ট হয়। সব সময় দাঁড়িয়ে থেকে দেখা সম্ভব হয় না। তাই গাছ ভাঙ্গলে বা ফুল ছিড়লে দুই হাজার টাকা জরিমানা ও বিনা অনুমতিতে প্রবেশে এক হাজার টাকা। এখন কেউ আর না জিজ্ঞেস করে ঢুকে না।

তিনি আরও বলেন, কৃষি বিভাগ থেকে পরীক্ষামূলকভাবে বীজ দিয়েছিলো আমরা সেগুলো ছিটিয়ে দিয়ে যত্ন নিয়েছিলাম। এতে প্রতি কাঠায় আমরা আট লিটার তেল পেয়েছি। এটি একটি লাভজনক ফসল বলেও দাবি করেন তিনি। তাই এবছর আরো পাঁচ কাঠা জমি বাড়িয়ে চাষ করেছেন। আগামীতে আরও বাড়তে পারে জমির পরিমাণ।  মাত্র আড়াই মাসে ফলন হওয়ায় বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এ ফুলের চাষ।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
বৈষম্যহীন সমাজ গঠনে মানবতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আহ্বান : মানবাধিকার কনভেনশনে বক্তারা
সিআইডির ছায়া তদন্তে ডাকাতির রহস্য উদঘাটন ও ডাকাত সর্দার গ্রেফতার
শহিদুল আলম বাংলাদেশের অবিচল মনোবলের এক উজ্জ্বল প্রতীক : প্রধান উপদেষ্টা
নৌপরিবহন উপদেষ্টার সাথে আইএমও’র মহাসচিবের বৈঠক
ঢাবিতে অনুষ্ঠিত হলো  দুই দিনব্যাপী  জাতীয় বিতর্ক উৎসব
আইনজীবী ফোরামের নেতাদের সঙ্গে পিরোজপুর জেলা বিএনপির মতবিনিময়
ডিএমপির বিশেষ অভিযানে ১৪ জন গ্রেফতার
কন্যাশিশু নির্যাতন ও সহিংসতা থেকে উত্তরণে ১১টি সুপারিশ তুলে ধরেছে জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরাম
ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে গত চার দিনে ডিএমপির ৫,০৯৯টি মামলা
মহানবী (সা.)-এর সীরাতের প্রামাণ্য উপস্থাপন মানুষের অন্তরে প্রোথিত থাকবে : ধর্ম উপদেষ্টা
১০