ঢাকা, ২০ এপ্রিল, ২০২৫ (বাসস) : মার্কিন নাগরিকদের বাংলাদেশ ভ্রমণে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সতর্কতা জারি নিয়ে ভারতীয় কিছু সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন বিভ্রান্তিকর বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
আজ রোববার প্রেস উইংয়ের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজ ‘সিএ প্রেস উইং ফ্যাক্টস’ এ পোস্ট করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারতীয় কিছু সংবাদ মাধ্যম বাংলাদেশ সম্পর্কে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভ্রমণ সতর্কতা নিয়ে বিভ্রান্তিকর প্রতিবেদন প্রচার করছে। বিশেষ করে পরামর্শ দিচ্ছে, সাম্প্রদায়িক সহিংসতার কারণে পার্বত্য চট্টগ্রাম (সিএইচটি) অঞ্চলকে নতুন করে সতর্কতা স্তর ৪ - ‘ভ্রমণ করবেন না’ হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, এই দাবিটি তথ্যগত ভুল। মূলত নিয়মিত পর্যায়ক্রমিক পর্যালোচনার অংশ হিসেবে বাংলাদেশের জন্য মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আনুষ্ঠানিক সতর্কতা পুনঃপ্রকাশ করা হয়েছে। ভ্রমণ সতর্কতায় স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, এখানে কেবল ছোটখাটো সম্পাদনা করা হয়েছে।
বিবৃতি অনুসারে, পার্বত্য চট্টগ্রাম বা বাংলাদেশের অন্য কোনো অঞ্চলের ক্ষেত্রে ভ্রমণ সতর্কতার কোনো স্তরে পরিবর্তন হয়নি।
বর্তমান ভ্রমণ সতর্কতাটি হলো-
- পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলকে স্তর ৪ হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে: ‘ভ্রমণ করবেন না’ (এই স্ট্যাটাস অনেক দিন ধরেই বিদ্যমান)।
- বাংলাদেশের বাকি অঞ্চলকে স্তর ৩ হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে: ‘ভ্রমণ পুনর্বিবেচনা করুন’।
প্রেস উইংয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতির প্রতিক্রিয়ায় সতর্ক স্তর নতুনভাবে বাড়ানো বা সংশোধন করা হয়েছে, এই তথ্যটি ভুল ও বিভ্রান্তিকর।
তথ্যগত এই ভুল উপস্থাপনা সাংবাদিকতার মানদণ্ডে একটি উদ্বেগজনক ত্রুটি প্রতিফলিত করে এবং এই ধরনের প্রতিবেদনের পেছনের উদ্দেশ্য নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন উত্থাপন করে।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, এ সময়ে দায়িত্বশীল ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা আগের চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমরা সকল গণমাধ্যমকে তথ্য যাচাই না করে বা বিকৃত তথ্য প্রচার থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করছি।
মার্কিন ভ্রমণ সতর্কতা সম্পর্কে সঠিক ও আনুষ্ঠানিক হালনাগাদ তথ্যের জন্য বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার জনসাধারণ ও গণমাধ্যমকে সরাসরি মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইট দেখার জন্য উৎসাহিত করেছে।
ওয়েবসাইটের লিঙ্ক- https://travel.state.gov/content/travel/en/traveladvisories/traveladvisories/bangladesh-travel-advisory.html