বাকৃবিতে ‘উচ্চশিক্ষায় স্বীকৃতি বিষয়ক মোটিভেশনাল কর্মশালা’ অনুষ্ঠিত

বাসস
প্রকাশ: ২১ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৪১
আজ সোমবার সকাল ১০টায় কৃষি অনুষদের ডিন অফিসের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) ‘উচ্চশিক্ষায় স্বীকৃতি বিষয়ক মোটিভেশনাল কর্মশালা’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ছবি : বাসস

বাকৃবি (ময়মনসিংহ), ২১ এপ্রিল, ২০২৫ (বাসস) : উচ্চশিক্ষার গুণগতমান নিশ্চিত করে শিক্ষা কার্যক্রমকে আন্তর্জাতিক মানে উত্তীর্ণ করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) ‘উচ্চশিক্ষায় স্বীকৃতি বিষয়ক মোটিভেশনাল কর্মশালা’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল (বিএসি)এর আয়োজনে এবং বাকৃবি ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেল (আইকিউএসি) এর সহযোগিতায় আজ সোমবার সকাল ১০টায় কৃষি অনুষদের ডিন অফিসের সম্মেলন কক্ষে কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।

কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া এবং সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের সদস্য অধ্যাপক ড. এস এম কবির। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন আইকিউএসি পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান সরকার। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের শতাধিক শিক্ষক কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন, “আমি আনন্দের সাথে লক্ষ্য করছি, আমাদের অনেক ফ্যাকাল্টি ইতোমধ্যেই অ্যাক্রেডিটেশন প্রক্রিয়ার বিভিন্ন ধাপে সক্রিয়ভাবে অংশ নিচ্ছেন। তবে কিছু বিভাগ ও শিক্ষক এখনও পিছিয়ে আছেন। আমি বিশ্বাস করি, আজকের এই কর্মশালা তাদের জন্য একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। আমরা কেউ নিখুঁত নই, কিন্তু শেখার ইচ্ছা থাকলে অবশ্যই উন্নতি সম্ভব।

তিনি আরও বলেন, ‘অ্যাক্রেডিটেশন একটি দীর্ঘমেয়াদি চলমান প্রক্রিয়া, যার প্রতিটি ধাপে সক্রিয় অংশগ্রহণ ও আন্তরিকতা প্রয়োজন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে আমরা সর্বোচ্চ সহযোগিতা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর।

অধ্যাপক ড. এস এম কবির বলেন, ‘উচ্চশিক্ষার মান যাচাই, দুর্বলতা চিহ্নিতকরণ ও উন্নয়নের পথ সুগম করতে অ্যাক্রেডিটেশন একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। আমাদের লক্ষ্য, দেশের প্রতিটি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করা। এ লক্ষ্যে শিক্ষক ও প্রশাসনের সক্রিয় অংশগ্রহণ অত্যন্ত জরুরি।


তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সক্ষমতা নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। গবেষণাভিত্তিক শিক্ষায় বাকৃবি দেশের মধ্যে অন্যতম। আমি ব্যক্তিগতভাবে যখন অ্যাক্রেডিটেশনের মানদণ্ড নির্ধারণ করি, তখন বাকৃবিকে বিশেষ গুরুত্ব দিই। দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে বাকৃবির অবদান অনস্বীকার্য।

কর্মশালার এক পর্যায়ে অধ্যাপক ড. এস এম কবির উচ্চশিক্ষায় অ্যাক্রেডিটেশনের বিভিন্ন দিক নিয়ে একটি মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। এতে তিনি অ্যাক্রেডিটেশনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন, শিক্ষার মানোন্নয়ন এবং শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বৃদ্ধির বিষয়ে আলোকপাত করেন।

পরে অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে একটি প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে শিক্ষকরা অ্যাক্রেডিটেশন প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিভিন্ন প্রশ্ন করেন এবং প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা গ্রহণ করেন। এছাড়া কিভাবে অ্যাক্রিডিকেশনের আবেদন করতে হবে প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে এ নিয়েও আলোচনা করা হয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
দেশবরেণ্য আলেম প্রফেসর ড. এ. এইচ. এম ইয়াহইয়ার রহমানের ইন্তেকাল
মোংলা-খুলনা মহাসড়কে ট্রাকের ধাক্কায় তিনজন নিহত
দুদকের মামলায় গ্রেপ্তার কৃষি অধিদপ্তরের সাবেক সহকারী পরিচালক শরীফুল কারাগারে
চলচ্চিত্রে গণমানুষের মুক্তির শৈল্পিক চিত্রায়ণ করেছেন ঋত্বিক ঘটক 
সরকারি উন্নয়ন প্রকল্প ও সেবা খাতে অনিয়মে দুদকের অভিযান
নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে পেশাদারিত্ব ও সততা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ : কেএমপি কমিশনার
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শরীরচর্চা ও সঙ্গীত শিক্ষক নিয়োগ প্রস্তাব বাতিল প্রসঙ্গে ব্যাখ্যা দিলো সরকার
জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত
ধর্মীয় শিক্ষাকে বিএনপি সব সময় গুরুত্ব দেয় : ডা. জাহিদ
দিনাজপুরে নিরাপদ সড়ক বিষয়ে আলোচনা সভা
১০