ঢাকা, ২১ এপ্রিল ২০২৫ (বাসস) : প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ ঘোষিত ১২ দফা নির্দেশনার আলোকে বিচার সেবা প্রদানে দুর্নীতির বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির আলোকে পদক্ষেপ নেয়া শুরু হয়েছে।
এরই অংশ হিসেবে একজন বেঞ্চ সহকারীকে সাময়িক বরখাস্ত করার পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে দুদক আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ বিষয়ে বলা হয়েছে, গত ১৮ সেপ্টেম্বর প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বিচার সেবা সহজিকরণসহ পেশাগত কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণে সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রির সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে ১২ দফা নির্দেশনা প্রদান করেন। পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সকল প্রকার আর্থিক লেনদেন বর্জন করা ১২ দফা নির্দেশনার মধ্যে অন্যতম। তবে সম্প্রতি ‘সংবাদ ২৪ ঘন্টা’ নামক একটি স্থানীয় অনলাইন মিডিয়ায় রাজশাহীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে কর্মরত বেঞ্চ সহকারী মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণ, নথি ব্যবস্থাপনায় অনিয়ম ও অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ সম্পর্কিত একটি রিপোর্ট প্রচারিত হয়।এক্ষেত্রে প্রধান বিচারপতি ঘোষিত ১২ দফা নির্দেশনার আলোকে বিচারসেবা প্রদানে যে কোনো দুর্নীতির বিষয়ে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অবলম্বনের অংশ হিসেবে সুপ্রিম কোর্ট কর্তৃক বেঞ্চ সহকারী মোহাম্মদ নজরুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ দেওয়া হয়।
এছাড়া ৩০ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় তদন্ত সম্পন্নপুর্বক প্রতিবেদন প্রেরণের জন্য রাজশাহীর জেলা জজকে নির্দেশনা প্রদান করে হাইকোর্ট বিভাগ হতে আদেশ জারি হয়েছে। ইতোমধ্যে অভিযুক্ত বেঞ্চ সহকারী মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে দুদক আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।