মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থার অতীত ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে হবে

বাসস
প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ১৬:৪৭
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা, ৯ জুলাই, ২০২৫ (বাসস) : ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থার অতীত ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে হবে। এ শিক্ষা ব্যবস্থার স্বাতন্ত্র্য বজায় রাখতে হবে। 

তিনি বলেন, মাদ্রাসা শিক্ষা একটি বিশেষায়িত শিক্ষা ব্যবস্থা। একে ধরে রাখতে হবে। অতি আধুনিকতার নামে এ শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংসের মুখে পতিত হতে দেওয়া যাবে না।

আজ দুপুরে ঢাকার আইডিইবি মিলনায়তনে  ‘টেকসই উন্নয়নে আলিয়া মাদ্রাসা শিক্ষা ধারা: চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক সেমিনারে  প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। 

বাংলাদেশ মাদ্রাসা ছাত্রকল্যাণ পরিষদ এ সেমিনারের আয়োজন করে।

ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, আলিয়া মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থা যুগযুগ ধরে সমগ্র ভারত উপমহাদেশে ইসলামি জ্ঞান চর্চা, মূল্যবোধের বিকাশ ও ইসলামি চিন্তাধারা প্রসারে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে আসছে। কিছু ত্রুটি-বিচ্যূতি থাকলেও এ শিক্ষা ব্যবস্থার অবদান বিশাল। 

তিনি আরো বলেন, কোলকাতা আলিয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার পর থেকে দেওবন্দ মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার পূর্ব পর্যন্ত মধ্যবর্তী ৮৬ বছর আলিয়া মাদ্রাসা শিক্ষায় শিক্ষিত আলেম-ওলামারাই ভারতে জ্ঞানের মশাল জ্বেলেছিলেন। এখনও আলিয়া মাদ্রাসা থেকে শিক্ষা অর্জন করে অনেক আলেম-ওলামা সমাজের বিভিন্ন স্তরে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছেন। 

তিনি হীনম্মন্যতা বোধ থেকে বের হয়ে আসতে সকলকে অনুরোধ জানান।

ধর্ম উপদেষ্টা আরো বলেন, মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থার টুটি যারা চেপে ধরতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে। ফ্যাসিবাদ যেন পুনরায় সৃষ্টি হতে না পারে, সে বিষয়ে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। 

মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদেরকে হতাশাগ্রস্ত না হয়ে, আশাবাদী হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

মাদ্রাসা শিক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরে ড. খালিদ বলেন, বিগত ষোল বছর মাদ্রাসা শিক্ষাকে অবদমিত করে রাখা হয়েছিলো। সাধারণ কোন বিষয়ে অনার্স চালু করার ক্ষেত্রে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ছিলো ইতিবাচক, কিন্তু ইসলামি স্টাডিজ, আরবি সাহিত্য, ইসলামের ইতিহাস প্রভৃতি বিষয়ের ক্ষেত্রে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের দৃষ্টিভঙ্গি ছিলো নেতিবাচক। এই ধারা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তুলে দেওয়া হয়েছে। এখন মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নত হবে।

বাংলাদেশ মাদ্রাসা ছাত্রকল্যাণ পরিষদের উপদেষ্টা অধ্যক্ষ মাওলানা যাইনুল আবেদীনের সভাপতিত্বে এ সেমিনারে প্রধান আলোচক ছিলেন ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো. শামসুল আলম।  

এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের কারিকুলাম বিশেষজ্ঞ ড. মোহাম্মদ হেদায়েত উল্লাহ।

সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. আহমদ আলী,  ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডীন অধ্যাপক মো. অলিউল্লাহ, বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্র শিবিরের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

এ সেমিনারে শতাধিক ইসলামি পণ্ডিত, আলেম-ওলামা ও মাদ্রাসা শিক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
মীরসরাইয়ে সড়ক দূর্ঘটনায় দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু
ফিলিস্তিন রাষ্ট্রদূতের নৈশভোজে অংশ নিয়েছেন বিএনপির নেতারা
লেবাননের ভেতরে দেয়াল নির্মাণ করেছে ইসরাইল : জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনী
কপ৩০ জলবায়ু সম্মেলনের প্রবেশপথ অবরোধ করল আদিবাসী বিক্ষোভকারীরা
আইএমএফ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে এনসিপি নেতৃবৃন্দের বৈঠক
শেখ হাসিনা দেশে অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা করছেন : ডা. জাহিদ
সিলেটে হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ৫ জন রাজধানীতে গ্রেফতার 
রাঙ্গামাটিতে দুই দিনব্যাপী পার্বত্য চট্টগ্রাম লেখক সম্মেলন
লুক্সেমবার্গের গ্র্যান্ড ডিউকের কাছে পরিচয়পত্র পেশ করলেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত
১০